Ajker Patrika

অজানা ছত্রাকের হানা শিরীষগাছের মড়ক

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা (খুলনা) 
অজানা ছত্রাকের হানা শিরীষগাছের মড়ক

খুলনার পাইকগাছায় শিরীষগাছের মড়ক লেগেছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় লক্ষাধিক গাছের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের ছত্রাকনাশক ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হলেও তাতে তেমন কাজ হচ্ছে না।

জানা গেছে, খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্যাপকভাবে শিরীষগাছ মরে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে লক্ষাধিক শিরীষগাছ রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই ছত্রাকের আক্রমণে মরে যাচ্ছে। জীবিত গাছগুলো বাঁচাতে ও রোগটি চিহ্নিত করে প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

কপিলমুনি ইউনিয়নের হরিঢালী এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩০টি শিরীষগাছ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়েছে।কপিলমুনি ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারীর কাছে পরামর্শ নিলে তিনি ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটানোর জন্য বলেন। ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটালেও কাজ হয়নি।’

জুলফিকার বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ শিরীষগাছ মরে গেছে। জীবিত থাকতে যে গাছের দাম ২০-২৫ হাজার টাকা ছিল, এখন অর্ধেক দামে তা বিক্রি করতে হচ্ছে। পোকায় এমনভাবে গাছ মরে গেলে জ্বালানি সংকটসহ কাঠের সংকট দেখা দেবে।’

লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রায় ৮০ শতাংশ শিরীষগাছ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে মরে গেছে। যে গাছগুলো জীবিত আছে, সেগুলো আক্রান্ত হওয়ার পথে।’

কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার ও গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বন বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এ মুহূর্তে এ পোকার আক্রমণ ঠেকাতে না পারলে এক বছরের মধ্যে পুরো উপজেলার গাছ মরে যাবে এবং পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।’

বন বিভাগের কর্মকর্তা প্রেমানন্দ দাস বলেন, ‘১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অধিকাংশ শিরীষগাছ মরে যাচ্ছে। আমি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা প্রায় দুই বছর আগে এ পোকার নমুনা নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠালেও সেখান থেকে কোনো জবাব আসেনি। এ সপ্তাহে আবারও কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখব, যাতে গাছগুলো বাঁচানো যায়।’

পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ছত্রাকের আক্রমণে মরছে শিরীষগাছ। আমাদের কাছে বিভিন্ন কৃষক এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে এসেছেন। আমরা তাঁদের বলেছি পানিতে সাবান-সোডা মিশিয়ে ছিটাতে। পরে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটালে পোকা মারা যায়।ছত্রাকের আক্রমণ আবহাওয়ার কারণে হয়। ছত্রাক পোকার বিভিন্ন গোত্র রয়েছে। গোত্র চিহ্নিত করে ওষুধ ব্যবহার করতে পারলে গাছের মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত