আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গত ১৯ জুলাই নিহত হন পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক কিশোরকে আটক করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালতও পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে ওই কিশোরকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠান। শুধু তা-ই নয়, রিমান্ড শুনানির সময় অন্যান্য আসামির সঙ্গে তাকেও হাতকড়া পরিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে পরদিন রিমান্ড বাতিল করে ওই শিশুকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
রিমান্ডে পাঠানো ওই কিশোরের প্রকৃত বয়স ১৭ বছর ৩ মাস। শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী সে একজন শিশু। তাকে আটক থেকে শুরু করে আদালতে হাজির করা পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, শিশুটিকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা উচিত হয়নি। ভুল হয়েছে।
এ ঘটনার দুই দিন পর একই ঘটনা ঘটে মিরপুর থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায়। ওই মামলায় একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছর ১০ মাস বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ৩০ জুলাই ঢাকার পেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মিরপুর থানা-পুলিশ। তাকেও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তার আইনজীবী জন্মনিবন্ধন ও এসএসসির সনদ দাখিল করলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ (শিশু আদালত) ওই শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তার আগেই শিশু আইনের ব্যত্যয় ঘটে। এর আগে গত ১৯ জুলাই নীলফামারীতে দুই শিশুকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করে সদর থানার পুলিশ। এই দুই শিশুর একজনের বয়স ১৬ বছর, আরেকজনের ১৭।
২০১৩ সালের শিশু আইনে বলা হয়েছে, ‘১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু হিসেবে গণ্য হবে। গ্রেপ্তার করার পর কোনো শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি বা রশি লাগানো যাবে না।’ কিন্তু প্রায় সময় দেখা যায়, এ আইন মানছে না পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, জবাবদিহি না থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে হাতকড়া পরিয়ে ও অনেক সময় কোমরে রশি বেঁধে আদালতে পাঠাচ্ছে। এটা আইনের ব্যত্যয়। আবার যখন বিচারকের সামনে আটক কেউ শিশু এটা প্রমাণ হয়, তখন শিশু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বিচারক। কিন্তু ব্যবস্থা না নিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে শিশুকে রিমান্ডে পাঠানো এটা আরেকটা অপরাধ।
আইন মানা হচ্ছে না আরও তিন ক্ষেত্রে—শিশু আইনের ৪৪-এর (৫) ধারায় বলা আছে, গ্রেপ্তার হওয়া শিশু নিরাপদ স্থানে আটক রাখার ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক বা ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এইরূপ কোনো অপরাধীর সঙ্গে রাখা যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আটক সব শিশুকেই প্রাপ্তবয়স্ক আসামি বা অপরাধীদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে এবং একই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
শিশু আইনে আরও বলা আছে, শিশু-আদালতের আসন বিন্যাস এমনভাবে করতে হবে, যেন সব শিশু বিচার প্রক্রিয়ায় তার মাতা-পিতা, অভিভাবক বা আইনজীবীরা শিশুর পাশে বসতে পারেন।
ঢাকার শিশু আদালত ঘুরে দেখা গেছে, এজলাসকক্ষে শিশুদের বসার জন্য পৃথক কোনো আসন নির্ধারণ করা নেই।
শিশু আইনের ১৯ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত কর্তৃক শিশুর বিচার চলাকালীন, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোনো কর্মচারী আদালতকক্ষে তাহাদের পেশাগত বা দাপ্তরিক পোষাক (ইউনিফরম) পরিধান করতে পারবেন না।’
কিন্তু আদালতে সরেজমিন দেখা গেছে, শিশু আইনের মামলা পরিচালনা ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাগুলো শুনানি বিচারকরা একই সেশনে শেষ করছেন। তবে বিচারক, আইনজীবী সবাই নির্ধারিত পোশাক পরেই শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, বিচারের সময় আইন অনুসরণ করে বিচার করতে হবে। আইন না মেনে শিশুদের প্রতি যেকোনো আচরণ মানসিক নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। এটা কাম্য নয়।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গত ১৯ জুলাই নিহত হন পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক কিশোরকে আটক করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালতও পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে ওই কিশোরকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠান। শুধু তা-ই নয়, রিমান্ড শুনানির সময় অন্যান্য আসামির সঙ্গে তাকেও হাতকড়া পরিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে পরদিন রিমান্ড বাতিল করে ওই শিশুকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
রিমান্ডে পাঠানো ওই কিশোরের প্রকৃত বয়স ১৭ বছর ৩ মাস। শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী সে একজন শিশু। তাকে আটক থেকে শুরু করে আদালতে হাজির করা পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, শিশুটিকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা উচিত হয়নি। ভুল হয়েছে।
এ ঘটনার দুই দিন পর একই ঘটনা ঘটে মিরপুর থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায়। ওই মামলায় একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছর ১০ মাস বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ৩০ জুলাই ঢাকার পেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মিরপুর থানা-পুলিশ। তাকেও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তার আইনজীবী জন্মনিবন্ধন ও এসএসসির সনদ দাখিল করলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ (শিশু আদালত) ওই শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তার আগেই শিশু আইনের ব্যত্যয় ঘটে। এর আগে গত ১৯ জুলাই নীলফামারীতে দুই শিশুকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করে সদর থানার পুলিশ। এই দুই শিশুর একজনের বয়স ১৬ বছর, আরেকজনের ১৭।
২০১৩ সালের শিশু আইনে বলা হয়েছে, ‘১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু হিসেবে গণ্য হবে। গ্রেপ্তার করার পর কোনো শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি বা রশি লাগানো যাবে না।’ কিন্তু প্রায় সময় দেখা যায়, এ আইন মানছে না পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, জবাবদিহি না থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে হাতকড়া পরিয়ে ও অনেক সময় কোমরে রশি বেঁধে আদালতে পাঠাচ্ছে। এটা আইনের ব্যত্যয়। আবার যখন বিচারকের সামনে আটক কেউ শিশু এটা প্রমাণ হয়, তখন শিশু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বিচারক। কিন্তু ব্যবস্থা না নিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে শিশুকে রিমান্ডে পাঠানো এটা আরেকটা অপরাধ।
আইন মানা হচ্ছে না আরও তিন ক্ষেত্রে—শিশু আইনের ৪৪-এর (৫) ধারায় বলা আছে, গ্রেপ্তার হওয়া শিশু নিরাপদ স্থানে আটক রাখার ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক বা ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এইরূপ কোনো অপরাধীর সঙ্গে রাখা যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আটক সব শিশুকেই প্রাপ্তবয়স্ক আসামি বা অপরাধীদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে এবং একই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
শিশু আইনে আরও বলা আছে, শিশু-আদালতের আসন বিন্যাস এমনভাবে করতে হবে, যেন সব শিশু বিচার প্রক্রিয়ায় তার মাতা-পিতা, অভিভাবক বা আইনজীবীরা শিশুর পাশে বসতে পারেন।
ঢাকার শিশু আদালত ঘুরে দেখা গেছে, এজলাসকক্ষে শিশুদের বসার জন্য পৃথক কোনো আসন নির্ধারণ করা নেই।
শিশু আইনের ১৯ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, শিশু-আদালত কর্তৃক শিশুর বিচার চলাকালীন, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোনো কর্মচারী আদালতকক্ষে তাহাদের পেশাগত বা দাপ্তরিক পোষাক (ইউনিফরম) পরিধান করতে পারবেন না।’
কিন্তু আদালতে সরেজমিন দেখা গেছে, শিশু আইনের মামলা পরিচালনা ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাগুলো শুনানি বিচারকরা একই সেশনে শেষ করছেন। তবে বিচারক, আইনজীবী সবাই নির্ধারিত পোশাক পরেই শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, বিচারের সময় আইন অনুসরণ করে বিচার করতে হবে। আইন না মেনে শিশুদের প্রতি যেকোনো আচরণ মানসিক নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। এটা কাম্য নয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে