শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা ও তরুণ চক্রবর্তী, কলকাতা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের নেপথ্যের পরিচালক, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানাকে দ্রুত দেশে ফেরত আনতে পারছে না পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ের তথ্য-প্রমাণ দেওয়া তৃতীয় দফা চিঠিতেও জবাব দেয়নি ভারত। পুলিশ বলছে, বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য কোচবিহারে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ফেরানো যাচ্ছে না। আর তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, সোহেল রানাকে না পেয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে করা ২১ মামলার ২০টিই থমকে আছে। খোঁজ মিলছে না গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া শত শত কোটি টাকার সম্পদের হিসাবেরও।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর চেষ্টা করছে। তবে খুব দ্রুত সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না। আর ভারতীয় আইনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, সে দেশের আইনে বেআইনি অনুপ্রবেশের সাজা সর্বোচ্চ সাত বছর। এর আগে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।
গত আগস্টে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আলোচনায় আসেন। এর কয়েক দিন পর ই-অরেঞ্জের আরেক গ্রাহক সোহেল রানার বিরুদ্ধে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই রাতেই ভারতে পালাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় বিএসএফের হাতে আটক হন সোহেল রানা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্র বলছে, ই-অরেঞ্জের এই জালিয়াতিতে সর্বশেষ ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২১টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও একটি অর্থ পাচারের মামলা। এই ছয় মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায় রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, একটি মামলা ছাড়া বাকি ২০ মামলাতেই এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক এই পুলিশ পরিদর্শক।
সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোহেল রানার পরিচালিত ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ২৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ই-অরেঞ্জের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে এই পরিমাণ টাকা দেশে ও দেশের বাইরে সরানো হয়েছে। তা ছাড়া সোহেল রানার ব্যক্তিগত অর্থসম্পদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাঁচটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা তদন্ত করছেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে ই-অরেঞ্জসহ ও অন্য চারটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মালিকও সোহেল রানা—সেটার প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ই-অরেঞ্জের অন্য আসামি সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাশুকুর রহমান, সোহেল রানার চতুর্থ স্ত্রী বীথি আক্তারসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন। কিন্তু সোহেল রানাকে না পেয়ে মামলা গুছিয়ে আনা যাচ্ছে না। তদন্তের স্বার্থে সোহেল রানাকে প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।
সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তথ্য-প্রমাণ সংযুক্ত করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেই চিঠিরও কোনো জবাব দেয়নি।
বাংলাদেশ পুলিশ দপ্তরের এনসিবি সূত্র বলছে, ভারতীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ আদালতে যে মামলা রুজু হয়েছে, তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। একই কথা বলেছেন কোচবিহার জেলার এসপি সুমিত কুমারও। তিনিও আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোহেলের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগপত্র দাখিল করেনি পুলিশ। তদন্ত চলছে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলে বন্দি সোহেল রানা। তাঁকে ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। সোহেলকে হাতে পেতে দেরি হবে।
শত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ নেই
ই-অরেঞ্জের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রথম দিকে হওয়া দুটি মামলার তদন্ত করেছিলেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা দুটি সর্বশেষ ৫ অক্টোবর সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে তিনি দুই মাস মামলাগুলোর তদন্ত করেছেন। তাঁর তদন্তে গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির তিন নম্বর টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট আর গ্রামের বাড়িতে জমি ছাড়া তেমন কোনো সম্পদের তথ্য পাননি। তবে ব্যাংকে কী পরিমাণ টাকা আছে, তা জানতে চেয়ে আবেদন করলেও তাঁর তদন্তের সময় সে হিসাব আসেনি।
বর্তমান তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা বলছেন, কিছু সম্পদের তথ্য তাঁরা পেয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে গণমাধ্যমে যেভাবে অঢেল সম্পদের কথা বলা হয়েছিল, সেভাবে তাঁরা কিছু পাননি। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা সরানো হয়েছে। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সেই টাকা সম্পদ না করে ব্যাংকেই গচ্ছিত রেখেছেন।
আমাদের টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সোহেল রানার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে। তাঁর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন। গ্রামের বাড়িতে ৮-১০ কাঠা জমির ওপর একটি বাড়ি আছে তাঁদের। সেখানে তাঁর সৎ মা থাকেন। ২০২০ সালে বাবা মারা গেলে তিনি শেষবারের মতো গ্রামে এসেছিলেন। প্রতিবেশী মাওলানা কাইয়ুম জানান, এলাকায় সম্পদ বলতে বিলের ভেতর ১১ বিঘা জমি কিনেছেন সোহেল রানা। তাঁদের দুই ভাই, দুই বোনের কেউ আসেন না। এলাকার মানুষ সেভাবে তাঁদের চেনেও না।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের নেপথ্যের পরিচালক, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানাকে দ্রুত দেশে ফেরত আনতে পারছে না পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ের তথ্য-প্রমাণ দেওয়া তৃতীয় দফা চিঠিতেও জবাব দেয়নি ভারত। পুলিশ বলছে, বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য কোচবিহারে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ফেরানো যাচ্ছে না। আর তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, সোহেল রানাকে না পেয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে করা ২১ মামলার ২০টিই থমকে আছে। খোঁজ মিলছে না গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া শত শত কোটি টাকার সম্পদের হিসাবেরও।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর চেষ্টা করছে। তবে খুব দ্রুত সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না। আর ভারতীয় আইনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, সে দেশের আইনে বেআইনি অনুপ্রবেশের সাজা সর্বোচ্চ সাত বছর। এর আগে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই।
গত আগস্টে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আলোচনায় আসেন। এর কয়েক দিন পর ই-অরেঞ্জের আরেক গ্রাহক সোহেল রানার বিরুদ্ধে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই রাতেই ভারতে পালাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় বিএসএফের হাতে আটক হন সোহেল রানা।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্র বলছে, ই-অরেঞ্জের এই জালিয়াতিতে সর্বশেষ ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২১টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও একটি অর্থ পাচারের মামলা। এই ছয় মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায় রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, একটি মামলা ছাড়া বাকি ২০ মামলাতেই এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক এই পুলিশ পরিদর্শক।
সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোহেল রানার পরিচালিত ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ২৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ই-অরেঞ্জের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে এই পরিমাণ টাকা দেশে ও দেশের বাইরে সরানো হয়েছে। তা ছাড়া সোহেল রানার ব্যক্তিগত অর্থসম্পদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাঁচটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা তদন্ত করছেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে ই-অরেঞ্জসহ ও অন্য চারটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মালিকও সোহেল রানা—সেটার প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ই-অরেঞ্জের অন্য আসামি সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাশুকুর রহমান, সোহেল রানার চতুর্থ স্ত্রী বীথি আক্তারসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন। কিন্তু সোহেল রানাকে না পেয়ে মামলা গুছিয়ে আনা যাচ্ছে না। তদন্তের স্বার্থে সোহেল রানাকে প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।
সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনার সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তথ্য-প্রমাণ সংযুক্ত করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেই চিঠিরও কোনো জবাব দেয়নি।
বাংলাদেশ পুলিশ দপ্তরের এনসিবি সূত্র বলছে, ভারতীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ আদালতে যে মামলা রুজু হয়েছে, তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। একই কথা বলেছেন কোচবিহার জেলার এসপি সুমিত কুমারও। তিনিও আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোহেলের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগপত্র দাখিল করেনি পুলিশ। তদন্ত চলছে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলে বন্দি সোহেল রানা। তাঁকে ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। সোহেলকে হাতে পেতে দেরি হবে।
শত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ নেই
ই-অরেঞ্জের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রথম দিকে হওয়া দুটি মামলার তদন্ত করেছিলেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলা দুটি সর্বশেষ ৫ অক্টোবর সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে তিনি দুই মাস মামলাগুলোর তদন্ত করেছেন। তাঁর তদন্তে গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির তিন নম্বর টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট আর গ্রামের বাড়িতে জমি ছাড়া তেমন কোনো সম্পদের তথ্য পাননি। তবে ব্যাংকে কী পরিমাণ টাকা আছে, তা জানতে চেয়ে আবেদন করলেও তাঁর তদন্তের সময় সে হিসাব আসেনি।
বর্তমান তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তা বলছেন, কিছু সম্পদের তথ্য তাঁরা পেয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে গণমাধ্যমে যেভাবে অঢেল সম্পদের কথা বলা হয়েছিল, সেভাবে তাঁরা কিছু পাননি। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা সরানো হয়েছে। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সেই টাকা সম্পদ না করে ব্যাংকেই গচ্ছিত রেখেছেন।
আমাদের টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সোহেল রানার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা গ্রামে। তাঁর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন। গ্রামের বাড়িতে ৮-১০ কাঠা জমির ওপর একটি বাড়ি আছে তাঁদের। সেখানে তাঁর সৎ মা থাকেন। ২০২০ সালে বাবা মারা গেলে তিনি শেষবারের মতো গ্রামে এসেছিলেন। প্রতিবেশী মাওলানা কাইয়ুম জানান, এলাকায় সম্পদ বলতে বিলের ভেতর ১১ বিঘা জমি কিনেছেন সোহেল রানা। তাঁদের দুই ভাই, দুই বোনের কেউ আসেন না। এলাকার মানুষ সেভাবে তাঁদের চেনেও না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে