উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
অন্যের জমি চাষ করতে বর্গাদারকে সরকারি ফরমে ভূমির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। প্রতিটি চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। চুক্তি ছাড়া কোনো বর্গাচাষিকে জমি চাষ করার অনুমতি দিতে পারবেন না জমির মালিক। একজন বর্গাদার সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা (৪৯৫ শতক) জমি চাষ করতে পারবেন। এর ব্যত্যয় হলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে।
এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির মালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারবে না। থাকলে অতিরিক্ত জমি সরকার অধিগ্রহণ করবে। এসব বিধান রেখে ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। গত বছরের ১৯ মে আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমি সংস্কার আইনে বর্গাদারদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, ৬০ বিঘার বেশি জমি ব্যক্তিমালিকানায় থাকতে পারবে না। এটা আগেও ছিল, এখন আমরা এটাকে এনফোর্স করছি। কারণ, দেশে জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, তিন ফসলি জমি যেকোনো পরিস্থিতিতে রক্ষা করতে হবে। না হলে তো আমাদের ফুড সেফটি (খ্যাদ্যনিরাপত্তা) নিয়ে সমস্যা হবে।’
আইনের খসড়ায় বর্গা চাষের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে বিপুল পরিমাণ জমি বর্গা চাষ করা হয়। এর সঙ্গে বেশির ভাগ প্রান্তিক কৃষক জড়িত। এ-সংক্রান্ত কোনো আইন দেশে প্রচলিত নেই। বর্গা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এই আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কার্যকর হলে বর্গা প্রথার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি ভূমির মালিক ও বর্গাদার উভয়ের স্বার্থ সুরক্ষায় আইনটি ভূমিকা রাখবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার আগে কোনো ব্যক্তির ভূমির বর্গাদার হিসেবে চাষকারী ব্যক্তি এই আইন অনুযায়ী ওই ভূমির বর্গাদার বলে গণ্য হবেন। আইনটি কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ভূমির মালিক ও বর্গাদার নির্ধারিত ফরমে চুক্তি সম্পাদন করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চুক্তি না হলে তাঁদের মধ্যে যেকোনো একজন সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত দেবেন।
কোনো বর্গাদার বর্গাচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মারা গেলে এই আইনের অধীন বর্গাচুক্তির অবসান না হওয়া মৃত বর্গাদারের পরিবারের জীবিত সদস্য ওই ভূমির চাষ অব্যাহত রাখবেন। বর্গাদারের পরিবারে বর্গাভূমি চাষ করার মতো কোনো জীবিত সদস্য না থাকলে ভূমির মালিক নিজে বা অন্য কোনো বর্গাদারকে ভূমি চাষের অনুমতি দিতে পারবেন।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষিজমির মালিকানা লাভের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কৃষিশিল্পের ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা লাভের সুযোগ থাকছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে বর্গাদারদের জন্য অবশ্যই চুক্তি থাকতে হবে। কারণ, সরকারি প্রণোদনা পান জমির মালিকেরা, কিন্তু বর্গাদাররা কিছুই পান না। চুক্তিপত্র থাকলে সরকারি প্রণোদনা বর্গাচাষিরাই পাবেন। আর ব্যক্তিমালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে তা অধিগ্রহণ করে ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হবে; সম্পদশালীদের মধ্যে নয়।’
অন্যের জমি চাষ করতে বর্গাদারকে সরকারি ফরমে ভূমির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। প্রতিটি চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। চুক্তি ছাড়া কোনো বর্গাচাষিকে জমি চাষ করার অনুমতি দিতে পারবেন না জমির মালিক। একজন বর্গাদার সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা (৪৯৫ শতক) জমি চাষ করতে পারবেন। এর ব্যত্যয় হলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে।
এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির মালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারবে না। থাকলে অতিরিক্ত জমি সরকার অধিগ্রহণ করবে। এসব বিধান রেখে ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। গত বছরের ১৯ মে আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমি সংস্কার আইনে বর্গাদারদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, ৬০ বিঘার বেশি জমি ব্যক্তিমালিকানায় থাকতে পারবে না। এটা আগেও ছিল, এখন আমরা এটাকে এনফোর্স করছি। কারণ, দেশে জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, তিন ফসলি জমি যেকোনো পরিস্থিতিতে রক্ষা করতে হবে। না হলে তো আমাদের ফুড সেফটি (খ্যাদ্যনিরাপত্তা) নিয়ে সমস্যা হবে।’
আইনের খসড়ায় বর্গা চাষের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে বিপুল পরিমাণ জমি বর্গা চাষ করা হয়। এর সঙ্গে বেশির ভাগ প্রান্তিক কৃষক জড়িত। এ-সংক্রান্ত কোনো আইন দেশে প্রচলিত নেই। বর্গা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এই আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কার্যকর হলে বর্গা প্রথার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি ভূমির মালিক ও বর্গাদার উভয়ের স্বার্থ সুরক্ষায় আইনটি ভূমিকা রাখবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার আগে কোনো ব্যক্তির ভূমির বর্গাদার হিসেবে চাষকারী ব্যক্তি এই আইন অনুযায়ী ওই ভূমির বর্গাদার বলে গণ্য হবেন। আইনটি কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ভূমির মালিক ও বর্গাদার নির্ধারিত ফরমে চুক্তি সম্পাদন করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চুক্তি না হলে তাঁদের মধ্যে যেকোনো একজন সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত দেবেন।
কোনো বর্গাদার বর্গাচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মারা গেলে এই আইনের অধীন বর্গাচুক্তির অবসান না হওয়া মৃত বর্গাদারের পরিবারের জীবিত সদস্য ওই ভূমির চাষ অব্যাহত রাখবেন। বর্গাদারের পরিবারে বর্গাভূমি চাষ করার মতো কোনো জীবিত সদস্য না থাকলে ভূমির মালিক নিজে বা অন্য কোনো বর্গাদারকে ভূমি চাষের অনুমতি দিতে পারবেন।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষিজমির মালিকানা লাভের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কৃষিশিল্পের ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা লাভের সুযোগ থাকছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে বর্গাদারদের জন্য অবশ্যই চুক্তি থাকতে হবে। কারণ, সরকারি প্রণোদনা পান জমির মালিকেরা, কিন্তু বর্গাদাররা কিছুই পান না। চুক্তিপত্র থাকলে সরকারি প্রণোদনা বর্গাচাষিরাই পাবেন। আর ব্যক্তিমালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে তা অধিগ্রহণ করে ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হবে; সম্পদশালীদের মধ্যে নয়।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে