Ajker Patrika

ঝোপঝাড়ের আনারসে টাকা আসে অনায়াসে

আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১২: ৫১
ঝোপঝাড়ের আনারসে টাকা আসে অনায়াসে

গ্রামাঞ্চলে এক সময়ে বসতবাড়ির আশপাশে, ঝোপঝাড়ে ও পতিত জমিতে দেখা মিলত দেশি আনারসের। এখন অবশ্য তা দুষ্প্রাপ্য। আগের মতো নজরে পড়ে না এসব দেশি আনারস। এমনকি নিজেদের খাওয়ার জন্যও কোনো পরিবার এ আনারস লাগায় না।

গ্রামাঞ্চলের যখন এমন অবস্থা তখন ঝিকরগাছার পানিসারা ইউনিয়নের নারাঙ্গালী গ্রামে দেখা গেছে দেশি আনারস। ঝোপঝাড়, গাছের নিচে, পতিত জমিতে এ আনারসের বাগান। আঁকারে এতটাই বড় যে দেখে বোঝার উপায় নেই এটা দেশি আনারস। এ আনারস বাগানের মালিক কাজী শাহজামাল। বাড়িরপাশে পাঁচ বিঘা পতিত জমিতে তাঁর এই দেশি আনারসের খেত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন গাছ-গাছালির নিচে ঝোপ-ঝাড়, গাছের নিচে, পতিত জমিতে রয়েছে দেশি আনারসের গাছ। গাছগুলো প্রায় সব নুয়ে পড়েছে আনারসের ভারে। পাঁচ বিঘা জমিতে সাড়ে তিন হাজার আনারস গাছ রয়েছে। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই এ বাগান থেকে প্রতিবছর ৬০-৭০ হাজার টাকার আনারস বিক্রি করা যায়। এ বছর প্রায় লাখ টাকার আনারস বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

কাজী শাহজামাল বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে বাড়ির পাশে জঙ্গলে আনারসের গাছগুলো রয়েছে। যা থেকে বছরে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার আনারস বিক্রি করা হয়। বিনা পরিচর্যায় পতিত জমি থেকে আনারস বিক্রি করে প্রতিবছর এ টাকা পাই। প্রতিটা আনারস পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। এবার লাখের কাছাকাছি টাকা বিক্রি করতে পারব। গত কয়েক দিন ধরে যা বিক্রি করেছি তাতে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।

শাহজামাল আরও বলেন, প্রতিটি গাছে একটি করে আনারস ধরে। তার গোঁড়া থেকে একাধিক বোগ (নতুন গাছ) বের হয়। এ বোগ লাগালে তিন বছর পর তাতে আনারস ধরে। দেশি আনারসের গুণাগুণ বেশি তাই এর চাহিদাও অনেক বেশি। আনারস চাষে কোনো কীটনাশক, সেচ ও পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ঝিকরগাছার মাটি বেলে ও দোআঁশ মাটি। এ মাটিতে আনারস ভালো হয়। আনারসে রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। এতে সার-কীটনাশক ও সেচ একেবারেই লাগে না। শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পরিচর্যা লাগে না বলে খরচও কম। স্থানীয় কৃষকেরা যদি আনারস চাষে আগ্রহী হন তাহলে কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত