কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছে একটি চক্র। পরে সেখানে অবৈধভাবে ১০৫টি দোকানঘর নির্মাণ করেছে তারা। উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের কেউ এসব দোকানঘর পাননি। এখন তাঁদের পথে বসার অবস্থা। বিপরীতে উচ্চমূল্যে দোকানঘরগুলো বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা প্রায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকার ১৯৯১ সালে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে তাঁদের জমি হুকুমদখল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ব্যবসায়ীরা তখন বাঁধের একাংশে ব্যবসা চালিয়ে যান। ২০০৯ সালের মে মাসে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে উত্তরত্রিশ গ্রামের মো. মোস্তফাকে অস্থায়ী দোকানঘর স্থাপনের জন্য ৪৫ শতাংশ জমি ইজারা দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু পাউবোর কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক আব্দুল মজিদ জমি বুঝিয়ে দিতে কালক্ষেপণ করেন। ২০২০ সালে জায়গা বুঝে পেতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে মো. মোস্তফা হাইকোর্টে রিট করেন। এটি নিষ্পত্তি না হতেই রিটের তথ্য গোপন করে প্রভাব খাটিয়ে একই স্থানে ২০২০ সালের অক্টোবরে ৬১ শতাংশ জমি ইজারা নেন ধামঘর ইউনিয়নের ভুবঘন গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। পরে ইজারার শর্ত ভেঙে স্থায়ী দোকানঘর তৈরি করেন। এরপর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে ১০৫টি দোকান প্রায় ১৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। এসব দোকানের প্রতিটির দাম ধরা হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফরিদ মিয়া, মো. মাসুক, মাছুম বিল্লাহ ও মো. সুমন বলেন, ৫০-৬০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় এখানে ব্যবসা করে আসছেন তাঁরা। জায়গাটি সরকার তাঁদের পূর্বপুরুষদের কাছে থেকে অধিগ্রহণ করে। এখন একটি মহল তাঁদেরই বিতাড়িত করে পথে বসিয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থাপনা সরিয়ে নিতে নজরুল ইসলামকে নোটিশ দেয় পাউবো। কিন্তু এখনো স্থাপনা সরানো হয়নি।
রিটকারী মো. মোস্তফা বলেন, নজরুল ইসলাম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মেরেছেন। তাঁরা এখন খেয়ে না খেয়ে আছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আগের ইজারা বহাল রাখতে হবে। আদালতে এখনো রিট আছে। এ অবস্থায় এখানে কেউ স্থাপনা তুলতে পারেন না।
এ বিষয়ে জমির বর্তমান ইজারাদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জমিটি পাউবো থেকে আমি ইজারা নিয়েছি। আগে কার ছিল না ছিল, সেটা পাউবো জানে। আমার দেখার বিষয় না। তা ছাড়া জমিটিতে আমি অস্থায়ী স্থাপনাই নির্মাণ করেছি।’ দোকানঘর বিক্রির বিষয়ে নজরুল বলেন, এগুলো ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে।
নজরুলের কাছে থেকে দোকানঘর কেনার কথা জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের নেতা তফাজ্জল হোসেন। তফাজ্জল দোকান কিনেছেন ১৩ লাখ টাকায়। আরেক ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান কিনেছেন ১০ লাখে। এই দুই ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা ৩০০ টাকার স্টাম্পের মাধ্যমে দোকান কিনেছেন।
কুমিল্লা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পাউবো কাউকে স্থায়ী ইজারা বা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন দেয় না। একসনা (বার্ষিক) ইজারা দেয়। নজরুল ইসলামকে এ বিষয়ে চিঠি দিলে জবাবে তিনি অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের দাবি করেছেন। সব বিষয়ই ঢাকায় জানানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দোকান বিক্রির বিষয়ে ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ‘দোকানঘর কেনাবেচার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। মেয়াদ শেষ হলে যেকোনো সময় আমাদের জমি আমরা নিয়ে নেব। সরকারি জমির ওপর নির্মিত দোকানঘর যাঁরা কিনবেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছে একটি চক্র। পরে সেখানে অবৈধভাবে ১০৫টি দোকানঘর নির্মাণ করেছে তারা। উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের কেউ এসব দোকানঘর পাননি। এখন তাঁদের পথে বসার অবস্থা। বিপরীতে উচ্চমূল্যে দোকানঘরগুলো বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা প্রায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকার ১৯৯১ সালে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে তাঁদের জমি হুকুমদখল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ব্যবসায়ীরা তখন বাঁধের একাংশে ব্যবসা চালিয়ে যান। ২০০৯ সালের মে মাসে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে উত্তরত্রিশ গ্রামের মো. মোস্তফাকে অস্থায়ী দোকানঘর স্থাপনের জন্য ৪৫ শতাংশ জমি ইজারা দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু পাউবোর কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক আব্দুল মজিদ জমি বুঝিয়ে দিতে কালক্ষেপণ করেন। ২০২০ সালে জায়গা বুঝে পেতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে মো. মোস্তফা হাইকোর্টে রিট করেন। এটি নিষ্পত্তি না হতেই রিটের তথ্য গোপন করে প্রভাব খাটিয়ে একই স্থানে ২০২০ সালের অক্টোবরে ৬১ শতাংশ জমি ইজারা নেন ধামঘর ইউনিয়নের ভুবঘন গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। পরে ইজারার শর্ত ভেঙে স্থায়ী দোকানঘর তৈরি করেন। এরপর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে ১০৫টি দোকান প্রায় ১৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। এসব দোকানের প্রতিটির দাম ধরা হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফরিদ মিয়া, মো. মাসুক, মাছুম বিল্লাহ ও মো. সুমন বলেন, ৫০-৬০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় এখানে ব্যবসা করে আসছেন তাঁরা। জায়গাটি সরকার তাঁদের পূর্বপুরুষদের কাছে থেকে অধিগ্রহণ করে। এখন একটি মহল তাঁদেরই বিতাড়িত করে পথে বসিয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থাপনা সরিয়ে নিতে নজরুল ইসলামকে নোটিশ দেয় পাউবো। কিন্তু এখনো স্থাপনা সরানো হয়নি।
রিটকারী মো. মোস্তফা বলেন, নজরুল ইসলাম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মেরেছেন। তাঁরা এখন খেয়ে না খেয়ে আছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আগের ইজারা বহাল রাখতে হবে। আদালতে এখনো রিট আছে। এ অবস্থায় এখানে কেউ স্থাপনা তুলতে পারেন না।
এ বিষয়ে জমির বর্তমান ইজারাদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জমিটি পাউবো থেকে আমি ইজারা নিয়েছি। আগে কার ছিল না ছিল, সেটা পাউবো জানে। আমার দেখার বিষয় না। তা ছাড়া জমিটিতে আমি অস্থায়ী স্থাপনাই নির্মাণ করেছি।’ দোকানঘর বিক্রির বিষয়ে নজরুল বলেন, এগুলো ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে।
নজরুলের কাছে থেকে দোকানঘর কেনার কথা জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের নেতা তফাজ্জল হোসেন। তফাজ্জল দোকান কিনেছেন ১৩ লাখ টাকায়। আরেক ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান কিনেছেন ১০ লাখে। এই দুই ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা ৩০০ টাকার স্টাম্পের মাধ্যমে দোকান কিনেছেন।
কুমিল্লা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পাউবো কাউকে স্থায়ী ইজারা বা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন দেয় না। একসনা (বার্ষিক) ইজারা দেয়। নজরুল ইসলামকে এ বিষয়ে চিঠি দিলে জবাবে তিনি অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের দাবি করেছেন। সব বিষয়ই ঢাকায় জানানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দোকান বিক্রির বিষয়ে ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ‘দোকানঘর কেনাবেচার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। মেয়াদ শেষ হলে যেকোনো সময় আমাদের জমি আমরা নিয়ে নেব। সরকারি জমির ওপর নির্মিত দোকানঘর যাঁরা কিনবেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে