আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
দোয়ারাবাজার উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ। মুদি, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন খোলা স্থানে সহজে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।
এর ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাত করতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ বিক্রেতার নেই এলপি গ্যাস বিক্রির বৈধ লাইসেন্স। অনেকের কাগজপত্র থাকলেও মানছেন না শর্ত।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দোকান ও গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রেখেছেন। দোকানের সামনের ফুটপাতে, জনাকীর্ণ এলাকায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা সদর, আমবাড়ি, মহব্বতপুর, পশ্চিম বাংলাবাজার, চকবাজার, টেংরাটিলা, পান্ডারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ব্যবসায়ীরা রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রেখেছেন গ্যাস সিলিন্ডার। এসব ব্যবসায়ীর সংখ্যা শতাধিক।
এদিকে খোলাবাজারে পেট্রল বিক্রির অনুমোদন নেই। কিন্তু অনেকে চায়ের দোকান, ইলেকট্রনিকস, মুদিদোকান কিংবা অন্য ব্যবসার পাশাপাশি অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন এলপি গ্যাস ও পেট্রলের ব্যবসা। এতে যেকোনো মুহূর্তে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ অগ্নিদুর্ঘটনার সূত্রপাত হচ্ছে বিস্ফোরক দ্রব্যের দোকান থেকে। ২০২১ সালের ২২ জুন উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পূর্ব বাংলাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জুমা এন্টারপ্রাইজ ও প্রভা এন্টারপ্রাইজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসব দোকানে সার, কীটনাশক, পেট্রল-ডিজেলসহ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হতো। ওই সময় আগুনে আশপাশের আরও পাঁচটি দোকান পুড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরদারির অভাবে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি হচ্ছে। অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব বন্ধের আহ্বান জানান তাঁরা।
কথা হয় একাধিক এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, এলপি গ্যাস ও পেট্রল বিক্রির নিয়মকানুন তাঁরা জানেন না। কীভাবে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স করতে হয়, তা-ও জানা নেই তাঁদের। বাজারে গ্রাহকদের চাহিদা থাকায় ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সিলিন্ডার গ্যাস ও পেট্রল বিক্রির লাইসেন্স পেতে বিভিন্ন জায়গায় তদবির করতে হয়। এতে হিসাবের বাইরে আরও পাঁচ-সাত লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। তাঁর ওপর নির্দিষ্ট সময় পর লাইসেন্স নবায়ন, সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স তো আছেই।’
উপজেলার বোগলাবাজারের আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী সাব্বির আকন্দ বলেন, ‘আমরা লাইসেন্স করে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করছি। তবে যত্রতত্র অনুমোদনহীন ব্যবসায়ীদের কারণে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। অপর দিকে সরকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘অনুমোদনহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ ছাড়া কীভাবে লাইসেন্স করা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সিলেট বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক আলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ১০টির বেশি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম নেই। খোলাবাজারে পেট্রল বিক্রিরও অনুমোদন নেই। এসব অনুমোদনহীন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান জোরদার করেছি। জনবলসংকটের কারণে সব জায়গায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ। মুদি, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন খোলা স্থানে সহজে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।
এর ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাত করতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ বিক্রেতার নেই এলপি গ্যাস বিক্রির বৈধ লাইসেন্স। অনেকের কাগজপত্র থাকলেও মানছেন না শর্ত।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দোকান ও গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রেখেছেন। দোকানের সামনের ফুটপাতে, জনাকীর্ণ এলাকায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা সদর, আমবাড়ি, মহব্বতপুর, পশ্চিম বাংলাবাজার, চকবাজার, টেংরাটিলা, পান্ডারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ব্যবসায়ীরা রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রেখেছেন গ্যাস সিলিন্ডার। এসব ব্যবসায়ীর সংখ্যা শতাধিক।
এদিকে খোলাবাজারে পেট্রল বিক্রির অনুমোদন নেই। কিন্তু অনেকে চায়ের দোকান, ইলেকট্রনিকস, মুদিদোকান কিংবা অন্য ব্যবসার পাশাপাশি অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন এলপি গ্যাস ও পেট্রলের ব্যবসা। এতে যেকোনো মুহূর্তে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ অগ্নিদুর্ঘটনার সূত্রপাত হচ্ছে বিস্ফোরক দ্রব্যের দোকান থেকে। ২০২১ সালের ২২ জুন উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পূর্ব বাংলাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জুমা এন্টারপ্রাইজ ও প্রভা এন্টারপ্রাইজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসব দোকানে সার, কীটনাশক, পেট্রল-ডিজেলসহ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হতো। ওই সময় আগুনে আশপাশের আরও পাঁচটি দোকান পুড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরদারির অভাবে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি হচ্ছে। অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব বন্ধের আহ্বান জানান তাঁরা।
কথা হয় একাধিক এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাঁরা জানান, এলপি গ্যাস ও পেট্রল বিক্রির নিয়মকানুন তাঁরা জানেন না। কীভাবে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স করতে হয়, তা-ও জানা নেই তাঁদের। বাজারে গ্রাহকদের চাহিদা থাকায় ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সিলিন্ডার গ্যাস ও পেট্রল বিক্রির লাইসেন্স পেতে বিভিন্ন জায়গায় তদবির করতে হয়। এতে হিসাবের বাইরে আরও পাঁচ-সাত লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। তাঁর ওপর নির্দিষ্ট সময় পর লাইসেন্স নবায়ন, সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স তো আছেই।’
উপজেলার বোগলাবাজারের আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী সাব্বির আকন্দ বলেন, ‘আমরা লাইসেন্স করে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করছি। তবে যত্রতত্র অনুমোদনহীন ব্যবসায়ীদের কারণে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। অপর দিকে সরকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘অনুমোদনহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ ছাড়া কীভাবে লাইসেন্স করা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সিলেট বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক আলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ১০টির বেশি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম নেই। খোলাবাজারে পেট্রল বিক্রিরও অনুমোদন নেই। এসব অনুমোদনহীন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান জোরদার করেছি। জনবলসংকটের কারণে সব জায়গায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে