মায়ের পেটে গুলি খাওয়া সেই সুরাইয়া স্কুলে যাচ্ছে

মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪: ১৯
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ২১

মাতৃগর্ভেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সুরাইয়া। তখন তার জীবন রক্ষা করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সুরাইয়া এবার স্কুলে যাচ্ছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে মাগুরা শহরের পুলিশ লাইনস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে। গত রোববার সকালে মা-বাবার কোলে চড়ে স্কুলে যায় সুরাইয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেড়ে ওঠায় এখনো সে ঠিকমতো হাঁটতে পারে না।

২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরা শহর এলাকার দোয়ারপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন পথচারী নাজমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন, গুলি লাগে তাঁর গর্ভে থাকা শিশুর শরীরেও। গুলিটি শিশুর পিট দিয়ে ঢুকে বুকের ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে ডান চোখে আঘাত করে। মাগুরা সদর হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুরাইয়া পৃথিবীর আলো দেখে।

নাজমা বেগম জানান, গুলির আঘাতে সুরাইয়ার ডান চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ডান চোখে সে কিছু দেখতে পায় না। বাঁ চোখের অবস্থাও ভালো নয়। ঢাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ডান চোখ তুলে না ফেললে বাঁ চোখটিও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

মা নাজমা বেগম আক্ষেপ নিয়ে বলেন, সুরাইয়ার বয়সী অন্য শিশুরা দৌঁড়ে খেলাধুলা করে বেড়াতে পারলেও, সে কিছুই পারে না। এমনকি দাঁড়াতেও পারে না। কারও সাহায্য ছাড়া সে হাঁটতে পারে না। সম্প্রতি সুরাইয়ার গলার কাছে একটি টিউমার ধরা পড়েছে জানিয়ে নামজা বেগম বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের যে চিকিৎসকদের দেখানো হয়েছিল তাঁরা করোনার জন্য সময় দিতে পারেননি। তবে আমরা জেনেছি, তার উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সেই অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই যে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেব। সুরাইয়ার জন্মের সময় অনেকে কথা দিয়েছিল, কিন্তু এখন কেউ আর পাশে নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত