বেশির ভাগের পেশা ব্যবসা, সম্পদ বেশি শওকতের

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২২, ১২: ২০
Thumbnail image

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া রজনীকান্ত সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে চাকরি করেও রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন ইউসুফ হোসেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তালা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে বিচারাধীন আটটি মামলা।

হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুসারে, ইউসুফ হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। পেশায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। নির্বাচনী ব্যয় ৭০ হাজার টাকার উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন বেসরকারি চাকরি (শিক্ষকতা)। তাঁর আয়ের উৎসের ঘর শূন্য। সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ, ব্যাংকে ১ লাখ, একটি মোটরসাইকেল এবং এক বিঘা কৃষিজমি।

রতনদিয়া রজনীকান্ত উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, তাঁদের স্কুল ২০১৮ সালে সরকারি হয়েছে।

ইউসুফ হোসেন বলেন, ‘হলফনামার এক জায়গায় বেসরকারি চাকরি উল্লেখ আছে আর স্কুল সরকারি হলেও আমাদের চাকরি সরকারি হয়নি। এখনো বেসরকারি বেতনই পাই।’

রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান সরকারি হলেও উনি এখনো সরকারি হননি। ওই প্রার্থী সরকারি কোষাগার থেকে টাকা উত্তোলন করেন তাহলে বাদ পড়ে যাবেন।

জানা গেছে, রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার পাঁচ ওয়ার্ডে সদস্য পদে লড়ছেন ১৮ জন প্রার্থী। ১ নম্বর ওয়ার্ড সদর উপজেলায়  ৫, ২ নম্বর ওয়ার্ড গোয়ালন্দ উপজেলায়  ৩, ৩ নম্বর ওয়র্ডে পাংশা উপজেলায় ২, ৪ নম্বর ওয়র্ডে বালিয়াকান্দি উপজেলায়  ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড কালুখালী উপজেলায়  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। প্রার্থীদের মধ্যে একজন স্বশিক্ষিত, দুজন অষ্টম শ্রেণি পাস, দুজন নবম শ্রেণি, তিনজন এসএসসি, তিনজন এইচএসসি, তিনজন বিএ, দুজন এলএলবি, একজন এমএ এবং একজন প্রযোজ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন। বেশির ভাগ প্রার্থীই পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। আইনজীবী দুজন, একজন আছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুসারে, ১ নম্বর ওয়ার্ডের শওকত হাসান সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন আর বার্ষিক আয় বেশি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রোকনুজ্জামান।

শওকত হাসানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম পাস। তাঁর কৃষিজমির পরিমাণ ৩০ বিঘা। ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪৮ লাখ এবং নগদ আছে ২ লাখ টাকা। কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার, বাড়ি-দোকান ভাড়া থেকে ৬০ হাজার এবং পেনশন থেকে ৬০ হাজার টাকা তাঁর বার্ষিক আয়।

প্রার্থীদের মধ্যে বার্ষিক আয়ে এগিয়ে রয়েছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রোকনুজ্জামান। তাঁর পেশা ব্যবসা। তাঁর বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৮৪ হাজার ৬০, নগদ টাকা আছে ৫ লাখ এবং ব্যাংকে রয়েছে ২০ লাখ টাকা। তাঁর নামে আদালতে ছয়টি মামলা বিচারাধীন।

১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আজম মণ্ডলের পেশা ঠিকাদারি। কৃষি খাত থেকে তাঁর আয় ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর আয়ও তাই। ব্যবসা খাতে আয় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। স্ত্রীর আয় ১ লাখ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ২৫ লাখ, স্ত্রীর ২ লাখ টাকা। ব্যাংকে ২৫ লাখ, স্ত্রীর নামে ২ লাখ টাকা।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ব্যাংকে দেনার পরিমাণ দেড় কোটি টাকা। পেশা হিসেবে তিনি এটিএম নিটওয়্যার, কুতুবপুর, নারায়ণগঞ্জ বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তাঁর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৪২০ টাকা। বাড়ি-দোকান ভাড়া থেকে আয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সম্পদের মধ্যে নগদ ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৩০ লাখ টাকা। কৃষিজমি ৪২.৫ শতাংশ এবং রেডিসন অ্যাপারেন্স লিমিটেড, গাজীপুর, যার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা।  তাঁর স্ত্রীর ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা জমা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত