এস এস শোহান (বাগেরহাট) ও ফরিদ খান মিন্টু (শরণখোলা)
সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনের বাঘ ও শিকার প্রাণী জরিপ, উঁচুটিলা ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। বাঘের ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাস নিয়ে হবে গবেষণা। সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনে বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। এতে মানুষের হাতে বাঘ হত্যা কমবে এবং বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে বাঘ ও শিকার প্রাণী জরিপ। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ, শিকার প্রাণী ও খাল জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। নভেম্বর মাসে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে জরিপ শুরু হবে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বন্যা, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় যাতে বাঘগুলো আশ্রয় নিতে পারে এ জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ১২টি উঁচুটিলা তৈরি করা হবে। শরণখোলা রেঞ্জের ধানসাগর এলাকায় বাঘের আশ্রয়স্থলে দুর্বৃত্তের আগুন নিয়ন্ত্রণে একটি টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এই টাওয়ার থেকে ওই এলাকায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে লাগা আগুন দেখে দ্রুত নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে পারবেন বনরক্ষী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা।
এ ছাড়া সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে যাতে বাঘ প্রবেশ না করতে পারে সে জন্য প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪-৫ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেড়া (ফেন্সিং) দেওয়া হবে। এটি সফল হলে পরবর্তী সময়ে ৬০ কিলোমিটার ফেন্সিং করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় বাঘের ক্যানাইন (মুখে থাকা সামনের বড় দুটি দাঁত) ডিসটেম্পার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হবে। এ জন্য সুন্দরবন থেকে বাঘের মল সংগ্রহ করা হবে। এই মলের মাধ্যমেই বাঘের দাঁতে সংক্রমিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করবেন দেশীয় গবেষকেরা।
অন্য দিকে সুন্দরবনে বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ৩৪০ জন ভিটিআরটি সদস্য ও ১৮৪ জন সিপিজি সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর সঙ্গে লোকালয়ে আসা দুটি বাঘের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রাকার লাগানো হবে। বাঘের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য বনকর্মী-কর্মকর্তা, সিপিজি ও ভিটিআরটি সদস্যদের বিশেষ অ্যাপস দেওয়া হবে। তাঁরা এই অ্যাপসের মাধ্যমে মুঠোফোনে বাঘের গতিবিধি দেখতে পারবেন। এর ফলে লোকালয়ে বাঘ এলে তাঁরা দ্রুত সুন্দরবনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে।
সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ড্রোন ক্যামেরা, স্যাটেলাইট ট্রাকার, নাইলনের বেড়া, জিপিএস, বাঘকে অচেতন করার জন্য ট্রাংকুলাইজিং গান, ক্যামেরাসহ বেশ কিছু আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। প্রকল্প শেষে প্রকল্পের সব কার্যক্রম নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি করা হবে।
তবে প্রকল্প প্রস্তাবে বাঘ না থাকা এলাকায় বাঘ স্থানান্তরের মাধ্যমে বাঘের আবাসস্থল সংরক্ষণের কথা থাকলেও খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের সময় বাঘের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এতে বাঘ না থাকা এলাকায় বাঘ স্থানান্তরের বিষয়টি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ খুব ভালোভাবে চলছে। সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের বাঘ জরিপের জন্য ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সিপিজি, ভিটিআরটিদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনের বাঘ ও শিকার প্রাণী জরিপ, উঁচুটিলা ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। বাঘের ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাস নিয়ে হবে গবেষণা। সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনে বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন হবে। এতে মানুষের হাতে বাঘ হত্যা কমবে এবং বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে বাঘ ও শিকার প্রাণী জরিপ। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ, শিকার প্রাণী ও খাল জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। নভেম্বর মাসে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে জরিপ শুরু হবে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বন্যা, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় যাতে বাঘগুলো আশ্রয় নিতে পারে এ জন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ১২টি উঁচুটিলা তৈরি করা হবে। শরণখোলা রেঞ্জের ধানসাগর এলাকায় বাঘের আশ্রয়স্থলে দুর্বৃত্তের আগুন নিয়ন্ত্রণে একটি টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এই টাওয়ার থেকে ওই এলাকায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে লাগা আগুন দেখে দ্রুত নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে পারবেন বনরক্ষী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা।
এ ছাড়া সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে যাতে বাঘ প্রবেশ না করতে পারে সে জন্য প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪-৫ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেড়া (ফেন্সিং) দেওয়া হবে। এটি সফল হলে পরবর্তী সময়ে ৬০ কিলোমিটার ফেন্সিং করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় বাঘের ক্যানাইন (মুখে থাকা সামনের বড় দুটি দাঁত) ডিসটেম্পার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হবে। এ জন্য সুন্দরবন থেকে বাঘের মল সংগ্রহ করা হবে। এই মলের মাধ্যমেই বাঘের দাঁতে সংক্রমিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করবেন দেশীয় গবেষকেরা।
অন্য দিকে সুন্দরবনে বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ৩৪০ জন ভিটিআরটি সদস্য ও ১৮৪ জন সিপিজি সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর সঙ্গে লোকালয়ে আসা দুটি বাঘের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রাকার লাগানো হবে। বাঘের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য বনকর্মী-কর্মকর্তা, সিপিজি ও ভিটিআরটি সদস্যদের বিশেষ অ্যাপস দেওয়া হবে। তাঁরা এই অ্যাপসের মাধ্যমে মুঠোফোনে বাঘের গতিবিধি দেখতে পারবেন। এর ফলে লোকালয়ে বাঘ এলে তাঁরা দ্রুত সুন্দরবনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে।
সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ড্রোন ক্যামেরা, স্যাটেলাইট ট্রাকার, নাইলনের বেড়া, জিপিএস, বাঘকে অচেতন করার জন্য ট্রাংকুলাইজিং গান, ক্যামেরাসহ বেশ কিছু আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। প্রকল্প শেষে প্রকল্পের সব কার্যক্রম নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি করা হবে।
তবে প্রকল্প প্রস্তাবে বাঘ না থাকা এলাকায় বাঘ স্থানান্তরের মাধ্যমে বাঘের আবাসস্থল সংরক্ষণের কথা থাকলেও খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের সময় বাঘের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এতে বাঘ না থাকা এলাকায় বাঘ স্থানান্তরের বিষয়টি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ খুব ভালোভাবে চলছে। সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের বাঘ জরিপের জন্য ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সিপিজি, ভিটিআরটিদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে