Ajker Patrika

সাহ্‌রির ফজিলত ও আদব

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৪: ২১
সাহ্‌রির ফজিলত ও আদব

‘সাহ্‌রি’ শব্দটি আরবি ‘সাহর’ বা ‘সুহুর’ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ বা ভোররাত। সাহ্‌রি অর্থ শেষ রাতের বা ভোর রাতের খাবার। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে আহার করা হয়, একে শরিয়তের পরিভাষায় সাহ্‌রি বলা হয়। রোজা রাখার নিয়তে সাহ্‌রি খাওয়া সুন্নত। রমজান মাসে সাহ্‌রির সময় মুসলিম বিশ্বে এক অন্য রকম আবহ তৈরি হয়। মসজিদের মিনারগুলো থেকে ভেসে আসে হামদ-নাত ও সাহ্‌রি খাওয়ার আহ্বান। তখন রোজাদার মুসলমানরা সাহ্‌রি খাওয়ার জন্য জেগে ওঠেন।

হাদিস শরিফে সাহ্‌রি খাওয়ার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব আর আমাদের (মুসলমান) রোজার মধ্যে শুধু সাহ্‌রি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সাহ্‌রি খায় না আর আমরা সাহ্‌রি খাই।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)

ক্ষুধা না থাকলেও দু-একটা খেজুর খেয়ে নিলে অথবা এক ঢোক পানি পান করে নিলেও সাহ্‌রির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সাহ্‌রি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। অর্থাৎ শরীরে প্রফুল্লতা ও শক্তি থাকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

সাহ্‌রি খাওয়ার সময় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পানাহার করো—যতক্ষণ রাতের অন্ধকারের কালো রেখা থেকে প্রভাতের শুভ্র রেখা স্পষ্ট না হয়।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)

শেষ সময়ে সাহ্‌রি খাওয়া মুস্তাহাব। তাফসিরে কাশশাফ রচয়িতা সাহ্‌রির নিয়ম প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘সমস্ত রাতকে ছয় অংশে ভাগ করে শেষাংশে সাহ্‌রি খাও।’ রোজাদারের জন্য রাতের শেষাংশে সুবহে সাদিকের আগে-আগে সাহ্‌রি খাওয়াই সুন্নত। সুবহে সাদিক না হওয়া পর্যন্ত সাহ্‌রি খাওয়া যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত