মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। লাগামহীনভাবে মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন কোরবানির পশু প্রস্তুতকারী খামারিরা। লোকসানের আশঙ্কায় এরই মধ্যে অনেক খামারি তাঁদের পালিত পশু বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এতে কোরবানির হাটগুলোতে পশুর পর্যাপ্ত আমদানি নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
খামারিরা বলছেন, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের গোখাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা ভুসিতে বেড়েছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রতিকেজি গমের ময়দায় ২০, ব্যান্ড প্রতি বস্তায় ৫০০ , খুদে বেড়েছে ৪০০ টাকা। প্রতিকেজি খৈলে বেড়েছে ১০ টাকা করে।
খামারিদের অভিযোগ, প্রতিবছর কোরবানির আগে সব ধরনের গোখাদ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের চিত্রটি পুরোপুরি উল্টো। দানাদার খাবারের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। একই সঙ্গে বেড়েছে খড়ের দামও। তাই কোরবানির পশু বিক্রিতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলায় ৪ হাজার ৩৩১ জন খামারি গবাদিপশু মোটা-তাজাকরণ করছেন। এর মধ্যে ষাঁড় ৮ হাজার ৫২৩ টি, বলদ ৩ হাজার ২৮১ টি, গাভি ৮ হাজার ২২১টি ও মহিষ ৬২টি। এ ছাড়া ছাগল ৭ হাজার ২৬৫ টি ও ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৫৭৪ টি। এবারের ঈদে এলাকায় গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ২৫৬ টি। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ১ হাজার ৬৭০টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হবে। গত বছরও একইভাবে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট পশু বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।
নিজ কুলিহার গ্রামের খামারি আব্দুল খালেক বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে তাঁর খামারের তিনটি শেডে ৩২টি গরু প্রস্তুত করছিলেন। হঠাৎ করেই গোখাদ্যের দাম বাড়তে থাকে। আগের তুলনায় ব্যয় বাড়তে থাকায় তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। লোকসানের আশঙ্কায় নিজের জন্য একটি ষাঁড় রেখে সবগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৈনম গ্রামের খামারি রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁর খামারে বর্তমানে ১০টি ও ৭টি ছাগল রয়েছে। কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য এগুলো পালন করা হচ্ছে। কিন্তু পশুখাদ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে ব্যয়ের সঙ্গে মিল রেখে পশুগুলো বিক্রি করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে তিনি সন্দিহান। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে পশু লালন-পালনের পর ঈদে বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।
ভোক্তা শাহজাহান আলী বলেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। এতে কোরবানির হাটে নাগালের মধ্যে পশু কেনা যাবে কিনা এ নিয়ে উদ্বেগ তিনি।
এ দিকে পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুধ উৎপাদন খামারিরাও বিপাকে পড়েছেন। দুগ্ধ খামারি মাসুদ রানা বলেন, প্রতিদিন তিনি ২০ লিটার দুধ পান। বাজার দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা লিটার দরে। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করতে হবে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে। তাহলে খরচ বাদে লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
উপজেলার দেলুয়াবাড়ি বাজারের গোখাদ্য বিক্রেতা মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ‘সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোকাম থেকেই সব ধরনের গোখাদ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শায়লা শারমিন বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ছোটবড় বিভিন্ন খামারে পশু মোটা-তাজাকরণ করছেন খামারিরা। এবারে পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত আছে। তিনি আরও বলেন, দানাদার খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন।
নওগাঁর মান্দায় নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। লাগামহীনভাবে মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন কোরবানির পশু প্রস্তুতকারী খামারিরা। লোকসানের আশঙ্কায় এরই মধ্যে অনেক খামারি তাঁদের পালিত পশু বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এতে কোরবানির হাটগুলোতে পশুর পর্যাপ্ত আমদানি নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
খামারিরা বলছেন, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের গোখাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা ভুসিতে বেড়েছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রতিকেজি গমের ময়দায় ২০, ব্যান্ড প্রতি বস্তায় ৫০০ , খুদে বেড়েছে ৪০০ টাকা। প্রতিকেজি খৈলে বেড়েছে ১০ টাকা করে।
খামারিদের অভিযোগ, প্রতিবছর কোরবানির আগে সব ধরনের গোখাদ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের চিত্রটি পুরোপুরি উল্টো। দানাদার খাবারের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। একই সঙ্গে বেড়েছে খড়ের দামও। তাই কোরবানির পশু বিক্রিতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলায় ৪ হাজার ৩৩১ জন খামারি গবাদিপশু মোটা-তাজাকরণ করছেন। এর মধ্যে ষাঁড় ৮ হাজার ৫২৩ টি, বলদ ৩ হাজার ২৮১ টি, গাভি ৮ হাজার ২২১টি ও মহিষ ৬২টি। এ ছাড়া ছাগল ৭ হাজার ২৬৫ টি ও ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৫৭৪ টি। এবারের ঈদে এলাকায় গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ২৫৬ টি। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ১ হাজার ৬৭০টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হবে। গত বছরও একইভাবে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট পশু বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।
নিজ কুলিহার গ্রামের খামারি আব্দুল খালেক বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে তাঁর খামারের তিনটি শেডে ৩২টি গরু প্রস্তুত করছিলেন। হঠাৎ করেই গোখাদ্যের দাম বাড়তে থাকে। আগের তুলনায় ব্যয় বাড়তে থাকায় তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। লোকসানের আশঙ্কায় নিজের জন্য একটি ষাঁড় রেখে সবগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৈনম গ্রামের খামারি রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁর খামারে বর্তমানে ১০টি ও ৭টি ছাগল রয়েছে। কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য এগুলো পালন করা হচ্ছে। কিন্তু পশুখাদ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে ব্যয়ের সঙ্গে মিল রেখে পশুগুলো বিক্রি করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে তিনি সন্দিহান। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে পশু লালন-পালনের পর ঈদে বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।
ভোক্তা শাহজাহান আলী বলেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। এতে কোরবানির হাটে নাগালের মধ্যে পশু কেনা যাবে কিনা এ নিয়ে উদ্বেগ তিনি।
এ দিকে পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুধ উৎপাদন খামারিরাও বিপাকে পড়েছেন। দুগ্ধ খামারি মাসুদ রানা বলেন, প্রতিদিন তিনি ২০ লিটার দুধ পান। বাজার দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা লিটার দরে। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করতে হবে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে। তাহলে খরচ বাদে লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
উপজেলার দেলুয়াবাড়ি বাজারের গোখাদ্য বিক্রেতা মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ‘সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোকাম থেকেই সব ধরনের গোখাদ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শায়লা শারমিন বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ছোটবড় বিভিন্ন খামারে পশু মোটা-তাজাকরণ করছেন খামারিরা। এবারে পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত আছে। তিনি আরও বলেন, দানাদার খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে