Ajker Patrika

২১ অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ মে ২০২২, ২০: ১৫
২১ অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ

পটুয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার বালার নেতৃত্বে গতকাল রোববার দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২১টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে আরও ২৪টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সন্ধান পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলায় গত শনিবার থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, জেলায় ১২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, এর মধ্যে ৪৫টি প্রতিষ্ঠান অনিবন্ধিত। ইতিমধ্যে সদর উপজেলায় ৫টি, বাউফলে ৬টি, মির্জাগঞ্জে ৩টি, দশমিনায় ১টি, দুমকিতে ২টি ও গলাচিপায় ৪টিসহ মোট ২১টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ২৪টিকে বন্ধ করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

গতকাল রোববার শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো খোলা রেখেই পালিয়ে যান এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা। এ ছাড়া এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

এ সময় অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার বালা, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদ, সিনিয়র ল্যাব টেকনোলজিস্ট রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার বালা বলেন, ‘সদর উপজেলার পাঁচটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো কাগজপত্র নেই এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের কাজী পাড়া এলাকার ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুনসেফপাড়া এলাকার রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বদরপুর ইউনিয়নের গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি দুটি সিটিজেন হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এম এস ডায়াগনস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সদরসহ ৮ উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। জেলায় ১২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ৪৫টি অনিবন্ধিত রয়েছে। ইতিমধ্যে ২১টি বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলো বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান সফল করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত