ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বৈচিত্র্যময় এবং নির্দিষ্ট কাঠামোভিত্তিক একটি বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভাগটিতে চার বছরের স্নাতক, এক বছরের স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত পূর্ণাঙ্গভাবে পড়ানো হয়, এ রকম দ্বিতীয় কোনো বিভাগ নেই। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী বা অন্য যেকোনো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিভাগটিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া একই শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করা হচ্ছে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্স।
যাত্রা শুরু
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে একাডেমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশে বিভাগটির প্রথম যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯৯৯ সালের ৮ জুন। সে সময় মূলত মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। কয়েক বছর পরেই স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাদান শুরু হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে (বিইউপি) একই নামে বিভাগটির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
যা পড়ানো হয়
আমাদের কোর্স কারিকুলামের একটা বড় জায়গাজুড়ে রয়েছে হিউম্যান রাইটস, পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্টের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি কনফ্লিক্ট রেজল্যুশন, আন্তর্জাতিক আইন, পরিবেশসহ নানাবিধ কোর্স। শান্তি ও সংঘর্ষের পৃথক ধারণা, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক আইন, কূটনৈতিক গতিধারার বিস্তর আলোচনা, সামাজিক আন্দোলন, শরণার্থী ইস্যুর বিস্তারিত বর্ণনা, জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত আলোচনা করা হয় পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগে।
চাকরির সুযোগ
আমাদের শিক্ষার্থীদের মূলত ন্যাশনাল এনজিও, ইন্টারন্যাশনাল এনজিও থেকে শুরু করে ইউনাইটেড ন্যাশনসের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ রয়েছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ব্র্যাক, কেয়ার বাংলাদেশ, অক্সফাম বাংলাদেশ, অ্যাকশন এইড, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পাশাপাশি রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, অধিকার, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস সেন্টার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের মতো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ
উচ্চশিক্ষায় বিভাগটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। বিদেশে স্কলারশিপের অনুপাতে বিভাগটির অবস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে। প্রতিবছর নর্থ আমেরিকা ও ইউরোপের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের সুযোগ পাচ্ছেন। পিস রিসার্চ বা শান্তি গবেষণা একটি অন্যতম ডিস্-কোর্স হিসেবে রয়েছে, বিশ্বে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা পঁচিশের অধিক। বিশেষ করে সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রিসার্চ বিভাগ, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব ওসলোতে রয়েছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ প্রোগ্রাম, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে অধ্যয়নের অন্যতম প্রধান গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
বিভাগটির গুরুত্ব অনুধাবন করে মূলত যাঁরা ইউএন মিশনে যাচ্ছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, দেশের ডেভেলপমেন্ট এনজিওর সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন, এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এ বিভাগটির একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিষয় বৈচিত্র্য, যুগোপযোগী কারিকুলাম এবং দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী,বিভাগীয় প্রধান, পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বৈচিত্র্যময় এবং নির্দিষ্ট কাঠামোভিত্তিক একটি বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভাগটিতে চার বছরের স্নাতক, এক বছরের স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত পূর্ণাঙ্গভাবে পড়ানো হয়, এ রকম দ্বিতীয় কোনো বিভাগ নেই। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী বা অন্য যেকোনো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিভাগটিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া একই শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করা হচ্ছে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্স।
যাত্রা শুরু
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে একাডেমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশে বিভাগটির প্রথম যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯৯৯ সালের ৮ জুন। সে সময় মূলত মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। কয়েক বছর পরেই স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাদান শুরু হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে (বিইউপি) একই নামে বিভাগটির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
যা পড়ানো হয়
আমাদের কোর্স কারিকুলামের একটা বড় জায়গাজুড়ে রয়েছে হিউম্যান রাইটস, পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্টের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি কনফ্লিক্ট রেজল্যুশন, আন্তর্জাতিক আইন, পরিবেশসহ নানাবিধ কোর্স। শান্তি ও সংঘর্ষের পৃথক ধারণা, মানবাধিকার আইন, আন্তর্জাতিক আইন, কূটনৈতিক গতিধারার বিস্তর আলোচনা, সামাজিক আন্দোলন, শরণার্থী ইস্যুর বিস্তারিত বর্ণনা, জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত আলোচনা করা হয় পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগে।
চাকরির সুযোগ
আমাদের শিক্ষার্থীদের মূলত ন্যাশনাল এনজিও, ইন্টারন্যাশনাল এনজিও থেকে শুরু করে ইউনাইটেড ন্যাশনসের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ রয়েছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ব্র্যাক, কেয়ার বাংলাদেশ, অক্সফাম বাংলাদেশ, অ্যাকশন এইড, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পাশাপাশি রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, অধিকার, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস সেন্টার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটসের মতো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ
উচ্চশিক্ষায় বিভাগটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। বিদেশে স্কলারশিপের অনুপাতে বিভাগটির অবস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে। প্রতিবছর নর্থ আমেরিকা ও ইউরোপের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের সুযোগ পাচ্ছেন। পিস রিসার্চ বা শান্তি গবেষণা একটি অন্যতম ডিস্-কোর্স হিসেবে রয়েছে, বিশ্বে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা পঁচিশের অধিক। বিশেষ করে সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রিসার্চ বিভাগ, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব ওসলোতে রয়েছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ প্রোগ্রাম, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে অধ্যয়নের অন্যতম প্রধান গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
বিভাগটির গুরুত্ব অনুধাবন করে মূলত যাঁরা ইউএন মিশনে যাচ্ছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, দেশের ডেভেলপমেন্ট এনজিওর সঙ্গে যুক্ত, যাঁরা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন, এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এ বিভাগটির একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিষয় বৈচিত্র্য, যুগোপযোগী কারিকুলাম এবং দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী,বিভাগীয় প্রধান, পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে