জমজমাট ভোটের হাওয়া

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০৭: ৩৩
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২: ১৯

জমে উঠেছে নীলফামারী পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার। পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। জনপ্রিয় গানের সূর-ছন্দে প্রার্থীদের মাইকের আওয়াজ শহরের অলিতে গলিতে। গণসংযোগে রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। থেমে নেই কর্মীরা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। থেমে নেই নারী কর্মীরাও। তাঁরাও ভোট চাইতে যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই সরগরম হচ্ছে ভোটের মাঠ। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে হচ্ছে কোনো কোনো প্রার্থীর উঠান বৈঠক অথবা পথসভা। পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে ভোটারদের গাল-গল্প।

চা-বিস্কুটের আড্ডার সঙ্গে চলছে প্রার্থীদের চুলচেরা বিশ্লেষণ। ভোটের নানা সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত প্রার্থীর সঙ্গে কর্মীরাও।

উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌরসভার নেতৃত্বে পরিবর্তনের কথা বলছেন, স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী জহুরুল আলম ও নুরুজ্জামান বুলেট। তবে থেমে নেই টানা পাঁচ বারের মেয়র আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান কামাল আহমেদ।

অন্যদিকে, দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত-এমনটাই আশা করছেন তিনি।

তবে, নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য থেমে নেই সাধারণ ভোটাররা, তাঁদের একমাত্র চাওয়া উন্নয়ন। পৌরসভার উন্নয়নে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে পারবেন এমন প্রার্থীই খুঁজছেন তাঁরা। ভোটের মাঠে প্রতীককে গুরুত্ব না দিয়ে ব্যক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। যোগ্য প্রার্থী যে প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে থাকুক, তাঁকেই নির্বাচিত করবেন তাঁরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর নীলফামারী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আলম জানান, প্রথমবারের মতো পৌরবাসী ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এই মেশিন সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই ভোটারদের। বিশেষ করে নতুন, বয়স্ক ও কম শিক্ষিত ভোটাররা বিব্রতকর অবস্থায় পরবেন।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভার উন্নয়নই এখন একমাত্র চাওয়া ভোটারদের। তাই পৌরবাসী তাঁদের অধিকার আদায়ে অবশ্যই যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সীমানা জটিলতার কারণে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ১৬টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে নেওয়া হবে ভোট।

নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ সদস্য পদে ৬০ জন ও সংরক্ষিত আসনে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ৩৫ হাজার ৯৮১ জন ভোটারের মধ্যে নারী ১৮ হাজার ৫৬৫ ও পুরুষ ১৭ হাজার ৪১৬ জন রয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত