গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ভিড় করছে আখের রস ও ডাবের দোকানে। কিন্তু আখের রসের কদর বাড়লেও আয় বাড়েনি বিক্রেতার।

বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালে আখ কিনতে খরচ কম হতো। তাই রস বিক্রি কম হলেও যে পরিমাণ লাভ হতো; গরমের সময় বিক্রি বেশি হলেও লাভ প্রায় সমানই থাকে।

জয়পুরহাট জেলা শহরের জিরোপয়েন্ট পাঁচুর মোড়ে দেখা গেছে লাইন ধরে মানুষ আখের রস পান করছেন। আর ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে আখ মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রস ব্যবসায়ীরা।

কেবল জয়পুরহাট জেলা শহরেই নয়। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারেও আখের রসের দোকানে মানুষের ভিড় বেড়েছে।

আখের রস বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জেলা শহরের জিরোপয়েন্ট পাঁচুর মোড় এলাকায় আমি সারা বছরই আখের রস বিক্রি করি। শীতকালে রস বিক্রি কম হলেও যে পরিমাণ লাভ হয়; গরমের সময় রস বিক্রি বেশি হলেও লাভ প্রায় সমান থাকে।’

কারণ জানতে চাইলে ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এখন প্রতিটি আখ কিনতে গড়ে খরচ হচ্ছে ১০ টাকা। শীতকালে প্রতিটি আখ কিনতে গড়ে খরচ হতো ৬ টাকা। শীতকালে প্রতিদিন গড়ে ১০০টি আখের রস বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকত ৩০০ টাকা। এখন প্রতিদিন গড়ে ৪০০টি আখের রস বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। তবে আর কিছুদিন গেলে আরও একটু গরম পড়বে। তখন রস বিক্রি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাভও বাড়বে বলে আশা করছি।’

জেলা শহরের সবুজনগর থেকে আখের রস কিনতে আসা মুরাদুজ্জামান বলেন, ‘এখন গরমে তৃষ্ণা বাড়ে। তাই আখের রসের শরবত পান করছি। কারণ এটা শরীরের ক্লান্তি দূর করে। আর শরীর-মন ভালো রাখে।’

রেজোয়ান হোসেন এবং রহমত আলী নামের দুজন যুবক এসেছেন আখের রসের শরবত পান করতে। কথা বলে জানা গেছে, ইটভাটায় কাজ করেন তাঁরা। ভাটার আগুনের প্রভাবে শরীরে অস্বস্তিবোধ হয়। ডাবের দাম বেশি তাই তৃষ্ণা মেটাতে আখের রস পান করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিক আহমেদ জেবাল বাপ্পী বলেন, আখের রস মানবদেহের জন্য উপকারী। কারণ আখের রস পান করার সঙ্গে সঙ্গে দেহে প্রবেশ করে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের মতো উপকারী উপাদান। এ রস পানে তৃষ্ণা কমে। ক্লান্তি দূর হয়।