রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
শিশুশ্রম বন্ধে দেশে আইন থাকেলেও নেই তার প্রয়োগ। ফলে বন্ধ হচ্ছে না শিশুশ্রম। জীবিকার তাগিদে কম বয়সেই সংসারের ভার বইতে হয় অনেক শিশু-কিশোরকে। এ কারণে বেড়েই চলেছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। দেশের অন্য অনেক জেলার মতো খুলনার তেরখাদা উপজেলায়ও বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা।
সংসারের খরচ জোগাতে কাজে নামা এমনই এক শিশুর নাম তুফান শেখ (১১)। পিতা টুকু শেখ, দুই বোন, দুই ভাই ও মাকে নিয়ে তেরখাদার বারাসাত গ্রামে তাদের বাস। বাবার অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। ভ্যান চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে কষ্টে সংসার চলে তুফানের। তেরখাদা সদরের কাটেংগা গাজিরহাট সড়কে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তুফানের সঙ্গে দেখা। সে জানায়, ইচ্ছে ছিলো পড়াশোনা করার। তবে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ হয়েছে তার। তবে সংসারের অনটনে পড়ে শেষ পর্যন্ত বই-খাতা ছেড়ে ভ্যান চালাতে হচ্ছে তাকে।
তেরখাদা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় তুফানের মতো কম বয়সের শিশুরা হোটেল, চায়ের দোকান, রাজমিস্ত্রীর হেলপার, মোটরসাইকেলের গ্যারেজে কাজ করছে। পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জনে নিজের স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে পরিবারের মুখে আহার যোগাচ্ছে তারা।
তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় শিশুশ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অথচ যেখানে সরকার শিশুশ্রম বন্ধের জন্য বিশেষ আইন করেছে তার তোয়াক্কা করছে না কেউই। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় পরিশ্রমের কাজ থেকে ফেরানো যাচ্ছে না এসব শিশু-কিশোরদের। আবার পিতা-মাতার সদিচ্ছার অভাবেও শিশুশ্রম বন্ধ হচ্ছে না।
সচেতন মহলের দাবি, এভাবে ৯/১০ বছরের শিশুরা পড়াশোনা ছেড়ে শ্রম বিক্রি করলে জাতি কোনোভাবেই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। তবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব বলেও মনে করছেন তারা।
জানতে চাইলে পশ্চিম কাটেংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার মল্লিক বলেন, শিশুশ্রমের জন্য দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্যকে দায়ী করা হচ্ছে। সরকার প্রাথমিক শিক্ষার হার শতভাগ করার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরাও সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। পিতা-মাতার আর্থিক অভাবের জন্য শিশুরা পড়ালেখার জীবন ছেড়ে ঝুঁকে পড়ছে কর্মের দিকে।
উপজেলা মহিলা বিষয় কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা অব্যাহত থাকবে।
শিশুশ্রম বন্ধে দেশে আইন থাকেলেও নেই তার প্রয়োগ। ফলে বন্ধ হচ্ছে না শিশুশ্রম। জীবিকার তাগিদে কম বয়সেই সংসারের ভার বইতে হয় অনেক শিশু-কিশোরকে। এ কারণে বেড়েই চলেছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। দেশের অন্য অনেক জেলার মতো খুলনার তেরখাদা উপজেলায়ও বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা।
সংসারের খরচ জোগাতে কাজে নামা এমনই এক শিশুর নাম তুফান শেখ (১১)। পিতা টুকু শেখ, দুই বোন, দুই ভাই ও মাকে নিয়ে তেরখাদার বারাসাত গ্রামে তাদের বাস। বাবার অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। ভ্যান চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে কষ্টে সংসার চলে তুফানের। তেরখাদা সদরের কাটেংগা গাজিরহাট সড়কে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তুফানের সঙ্গে দেখা। সে জানায়, ইচ্ছে ছিলো পড়াশোনা করার। তবে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ হয়েছে তার। তবে সংসারের অনটনে পড়ে শেষ পর্যন্ত বই-খাতা ছেড়ে ভ্যান চালাতে হচ্ছে তাকে।
তেরখাদা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় তুফানের মতো কম বয়সের শিশুরা হোটেল, চায়ের দোকান, রাজমিস্ত্রীর হেলপার, মোটরসাইকেলের গ্যারেজে কাজ করছে। পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জনে নিজের স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে পরিবারের মুখে আহার যোগাচ্ছে তারা।
তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় শিশুশ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অথচ যেখানে সরকার শিশুশ্রম বন্ধের জন্য বিশেষ আইন করেছে তার তোয়াক্কা করছে না কেউই। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় পরিশ্রমের কাজ থেকে ফেরানো যাচ্ছে না এসব শিশু-কিশোরদের। আবার পিতা-মাতার সদিচ্ছার অভাবেও শিশুশ্রম বন্ধ হচ্ছে না।
সচেতন মহলের দাবি, এভাবে ৯/১০ বছরের শিশুরা পড়াশোনা ছেড়ে শ্রম বিক্রি করলে জাতি কোনোভাবেই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। তবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব বলেও মনে করছেন তারা।
জানতে চাইলে পশ্চিম কাটেংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেকেন্দার মল্লিক বলেন, শিশুশ্রমের জন্য দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্যকে দায়ী করা হচ্ছে। সরকার প্রাথমিক শিক্ষার হার শতভাগ করার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরাও সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। পিতা-মাতার আর্থিক অভাবের জন্য শিশুরা পড়ালেখার জীবন ছেড়ে ঝুঁকে পড়ছে কর্মের দিকে।
উপজেলা মহিলা বিষয় কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা অব্যাহত থাকবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪