মণিপুরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কুকিদের হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ১০

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় মইরাং শহরে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবাম কোইরেঙের বাড়িতে রকেট হামলা চালিয়েছে কুকি বিদ্রোহী। গত শুক্রবারের এই হামলায় ওই বাড়িতে থাকা একজন নিহত ও এক মেয়েশিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গতকাল শনিবার জিরিবাম জেলায় বন্দুকযুদ্ধে সশস্ত্র চারজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। হামলার আশঙ্কা থাকায় গতকাল থেকে রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি, কেন্দ্রীয় সরকারি—সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

মণিপুরে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে জাতিগত সংঘাত চলছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি এই সংঘাত আবারও বাড়তে শুরু করেছে। পাঁচ দিন ধরে সেখানে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। শুক্রবার সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া একই দিন চুরাচাদপুর জেলায় রকেট হামলা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বৃহস্পতিবার রাতে আরেক এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। 

ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিষ্ণুপুরে যেখানে কুকি বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে, সেখান থেকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) জাদুঘর থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে এ এলাকা ৩৫ কিলোমিটার দূরে। বিষ্ণুপুরে রকেট হামলার পর পাহাড় থেকে বিদ্রোহীরা গুলি চালিয়েছে। এর জবাবে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। 

এদিকে আইএনএর এই জাদুঘরের ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। এই জাদুঘরটি মূলত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করে করা হয়েছে। ১৯৪৪ সালে সেখানে প্রথম আইএনএর পতাকা উড়িয়েছিল। আর যার বাড়িতে হামলা হয়েছে সেই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবাম ছিলেন ভারতে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা এবং আইএনএর সদস্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি জেল খেটেছেন এবং মুক্তি পেয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হন। সূত্র বলছে, ধারণা করা হচ্ছে, আইএনএর জাদুঘর ছিল হামলার লক্ষ্যবস্তু। এলাকাবাসী জানিয়েছে, রকেট এসেছে পাহাড় থেকে। 

এদিকে জিরিবাম জেলায় গতকাল বন্দুকযুদ্ধে চারজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় এক বেসামরিক মানুষ মারা যান। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিরস্ত্র যিনি মারা গেছেন, তিনি ঘরের ভেতরে ছিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রকেট ও ড্রোন হামলার আশঙ্কায় মণিপুর সরকার সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে জিরিবামের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছে, ‘গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে একজন হত্যা করে বিদ্রোহীরা। জাতিগত সহিংসতার জেরে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এরপর গোলাগুলি শুরু হয়। সশস্ত্র যারা মারা গেছেন, তারা মেইতেই ও কুকি গ্রুপের।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত