নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে নাম প্রস্তাবের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছিল সার্চ কমিটি। তাদের চিঠির জবাবে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৪টি দল নাম প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছে কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ২৪টি দল নামের প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে ছয়টি পেশাজীবী সংগঠনও নাম প্রস্তাব করেন। সেগুলোর সমন্বয় করে এখন সার্চ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে।
অতীতের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়, তারা সব সময় ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছিল বলে কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেছে। এবারও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনেও সেটা হতে পারে। তবে এবার জোটের বাইরে আওয়ামী লীগ সমমনা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। এ জন্য সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া ছিল।
জানা গেছে, গতবার সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ যে নাম প্রস্তাব করেছিল তাদের মধ্যে একজনকে রাখে। এবারও সেটা হতে পারে। ব্যতিক্রম হলে সর্বোচ্চ দুজনকে কমিশনার নিয়োগ করা হতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ দেওয়া হতে পারে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের সুপারিশ করা নামগুলো থেকে। সিইসি নিয়ে বিতর্ক এড়াতে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই কৌশলে হাঁটছেন বলে জানায় সূত্রটি।
সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুলছে আওয়ামী লীগসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা যাঁদের নাম সুপারিশ করেছি তাঁদের মধ্যে যদি কেউ বাদ পড়েন তাহলে সুপারিশ করা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই এই বিশিষ্টজনদের নাম আমরা এখনই জনসমক্ষে প্রকাশ করব না।’
জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যেটা রয়েছে, তার শেষ দুটি ধাপে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের একচ্ছত্র আধিপত্য। যারা তাদের কথা মতো চলে সেইভাবে আসে নামটাম। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দল থেকেও আসে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একটি স্বাধীন কার্যক্ষম নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন কমিশন ভালো হলে দেশেরও ভালো হবে। কিন্তু হুদা মার্কা নির্বাচন হলে, সরকারেও ক্ষতি হবে, দেশেরও ক্ষতি হবে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ ন্যাপ, জাগপা, মুসলিম লীগ ও ইসলামী আন্দোলন নাম সার্চ কমিটির কাছে জমা দেয়নি। নাম দেয়নি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি ও বাসদ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিলেও সার্চ কমিটি নাম জমা দেয়নি গণফোরাম, বিজেপি, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিশ।
গতকাল ১০ জনের নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটির কাছে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। একইভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছে। জাকের পার্টি, বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেসও ১০ জনের নাম পাঠিয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে। পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে বিকল্পধারা। অনুমোদিত রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে সার্চ কমিটির কাছে দুই শতাধিক নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে দুই শতাধিক মেইলে আরও কয়েক শতাধিক নাম প্রস্তাব আসতে পারে বলে মনে করছে সার্চ কমিটি।
দেশের প্রায় ৬০ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে শনি ও রোববার তিন দফায় বৈঠক করবে সার্চ কমিটি। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, ‘সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে আগেও দুবার গিয়েছি। কিন্তু সে সময় আমাদের কথার কোনো গুরুত্ব ছিল না। ইসি গঠনে স্বচ্ছতা ছিল না। এবার প্রত্যাশা থাকবে, সার্চ কমিটি যেন স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই যে কমিশন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে নাম প্রস্তাবের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছিল সার্চ কমিটি। তাদের চিঠির জবাবে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৪টি দল নাম প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছে কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ২৪টি দল নামের প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে ছয়টি পেশাজীবী সংগঠনও নাম প্রস্তাব করেন। সেগুলোর সমন্বয় করে এখন সার্চ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে।
অতীতের নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়, তারা সব সময় ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছিল বলে কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেছে। এবারও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ হতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনেও সেটা হতে পারে। তবে এবার জোটের বাইরে আওয়ামী লীগ সমমনা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। এ জন্য সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া ছিল।
জানা গেছে, গতবার সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ যে নাম প্রস্তাব করেছিল তাদের মধ্যে একজনকে রাখে। এবারও সেটা হতে পারে। ব্যতিক্রম হলে সর্বোচ্চ দুজনকে কমিশনার নিয়োগ করা হতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ দেওয়া হতে পারে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের সুপারিশ করা নামগুলো থেকে। সিইসি নিয়ে বিতর্ক এড়াতে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই কৌশলে হাঁটছেন বলে জানায় সূত্রটি।
সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব নিয়ে মুখ খুলছে আওয়ামী লীগসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা যাঁদের নাম সুপারিশ করেছি তাঁদের মধ্যে যদি কেউ বাদ পড়েন তাহলে সুপারিশ করা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই এই বিশিষ্টজনদের নাম আমরা এখনই জনসমক্ষে প্রকাশ করব না।’
জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যেটা রয়েছে, তার শেষ দুটি ধাপে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের একচ্ছত্র আধিপত্য। যারা তাদের কথা মতো চলে সেইভাবে আসে নামটাম। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দল থেকেও আসে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একটি স্বাধীন কার্যক্ষম নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন কমিশন ভালো হলে দেশেরও ভালো হবে। কিন্তু হুদা মার্কা নির্বাচন হলে, সরকারেও ক্ষতি হবে, দেশেরও ক্ষতি হবে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ ন্যাপ, জাগপা, মুসলিম লীগ ও ইসলামী আন্দোলন নাম সার্চ কমিটির কাছে জমা দেয়নি। নাম দেয়নি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি ও বাসদ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিলেও সার্চ কমিটি নাম জমা দেয়নি গণফোরাম, বিজেপি, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিশ।
গতকাল ১০ জনের নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটির কাছে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। একইভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছে। জাকের পার্টি, বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেসও ১০ জনের নাম পাঠিয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে। পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে বিকল্পধারা। অনুমোদিত রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে সার্চ কমিটির কাছে দুই শতাধিক নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে দুই শতাধিক মেইলে আরও কয়েক শতাধিক নাম প্রস্তাব আসতে পারে বলে মনে করছে সার্চ কমিটি।
দেশের প্রায় ৬০ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে শনি ও রোববার তিন দফায় বৈঠক করবে সার্চ কমিটি। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, ‘সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে আগেও দুবার গিয়েছি। কিন্তু সে সময় আমাদের কথার কোনো গুরুত্ব ছিল না। ইসি গঠনে স্বচ্ছতা ছিল না। এবার প্রত্যাশা থাকবে, সার্চ কমিটি যেন স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই যে কমিশন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে