আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
বদরগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজীর বিরুদ্ধে প্রতি দলিল সম্পাদনে ১ হাজার ২০০ টাকা করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে তিনি নানাভাবে হয়রানি করেন।
সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সরাসরি দলিল গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেন না। তাঁর নামে দলিল লেখকেরা দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে ওই টাকা নেন। আবার সাবরেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের কাছ থেকে সেই টাকা তোলার জন্য নকল নবিশ আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দলিল লেখকদের কাছে ঘুরে ঘুরে টাকা তোলেন।
শাহাপুর গ্রামের কৃষক আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে সাবরেজিস্ট্রার সরাসরি ঘুষ নেন না। দলিল লেখার সময় দলিল লেখক সাবরেজিস্ট্রারের নামে ১ হাজার ২০০ টাকা নেন। টাকা না দিলে কোনো দলিল লেখক দলিল লিখেন না। সম্প্রতি চারটা দলিল করতে আমাকে অনেক টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।’
হাসিনুর জামান নামে এক দলিল গ্রহীতা বলেন, ‘বেশির ভাগ সরকারি অফিসার সময়ের আগেই অফিস ত্যাগ করেন। আর সাবরেজিস্ট্রার দলিল করলে টাকা পান, এ কারণে তিনি রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করেন।’
নাম প্রকাশ না করে এক দলিল লেখক জানান, সাবরেজিস্ট্রার সপ্তাহে তিন দিন মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার দলিল সম্পাদন করেন। এই তিন দিনে দলিল করা হয় ৩০০ থেকে ৩৫০টি। এতে সপ্তাহে তিন লাখেরও বেশি টাকা ঘুষ পান সাবরেজিস্ট্রার। তিনি নকল নবিশ আনোয়ারের মাধ্যমে ওই টাকা নেন।
দলিল লেখক সমিতির সাবেক এক নেতা বলেন, ‘কাগজপত্র সব ঠিক থাকার পরও দলিল লেখককে অন্যের মাধ্যমে টাকা দিতে হয় সাবরেজিস্ট্রারকে। টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করেন তিনি। দলিল সম্পাদন শেষে একজন মোহবার লিখে রাখেন দলিল লেখকদের কে কয়টা দলিল করেছেন। পরে সেই তালিকা হাতে নিয়ে কালেকশনে নামেন নকল নবিশ আনোয়ার। তিনি কখনো বালাম বই লিখেন না।’
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নকল নবিশ আনোয়ার একটি তালিকা হাতে নিয়ে দলিল লেখকদের কাছে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলছেন। এ প্রতিবেদক এমন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে গেলে তিনি সটকে পড়েন। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, ‘আমি কোনো কথা বলব না। যদি কিছু জানার থাকে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পারেন।’
গতকাল মঙ্গলবার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি দলিল সম্পাদনের নামে কোনো টাকা নেই না।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর আর তিনি ফোন ধরেননি।
এ নিয়ে জানতে চাইলে রংপর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘বদরগঞ্জ অফিসের কিছু অভিযোগের তদন্ত চলছে।’ তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বলেন, ‘অফিসের কারা আপনাকে তথ্য দিচ্ছে তা দেখব!’
ঘুষ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বদরগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজীর বিরুদ্ধে প্রতি দলিল সম্পাদনে ১ হাজার ২০০ টাকা করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে তিনি নানাভাবে হয়রানি করেন।
সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান সরাসরি দলিল গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেন না। তাঁর নামে দলিল লেখকেরা দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে ওই টাকা নেন। আবার সাবরেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের কাছ থেকে সেই টাকা তোলার জন্য নকল নবিশ আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আনোয়ার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দলিল লেখকদের কাছে ঘুরে ঘুরে টাকা তোলেন।
শাহাপুর গ্রামের কৃষক আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে সাবরেজিস্ট্রার সরাসরি ঘুষ নেন না। দলিল লেখার সময় দলিল লেখক সাবরেজিস্ট্রারের নামে ১ হাজার ২০০ টাকা নেন। টাকা না দিলে কোনো দলিল লেখক দলিল লিখেন না। সম্প্রতি চারটা দলিল করতে আমাকে অনেক টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।’
হাসিনুর জামান নামে এক দলিল গ্রহীতা বলেন, ‘বেশির ভাগ সরকারি অফিসার সময়ের আগেই অফিস ত্যাগ করেন। আর সাবরেজিস্ট্রার দলিল করলে টাকা পান, এ কারণে তিনি রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করেন।’
নাম প্রকাশ না করে এক দলিল লেখক জানান, সাবরেজিস্ট্রার সপ্তাহে তিন দিন মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার দলিল সম্পাদন করেন। এই তিন দিনে দলিল করা হয় ৩০০ থেকে ৩৫০টি। এতে সপ্তাহে তিন লাখেরও বেশি টাকা ঘুষ পান সাবরেজিস্ট্রার। তিনি নকল নবিশ আনোয়ারের মাধ্যমে ওই টাকা নেন।
দলিল লেখক সমিতির সাবেক এক নেতা বলেন, ‘কাগজপত্র সব ঠিক থাকার পরও দলিল লেখককে অন্যের মাধ্যমে টাকা দিতে হয় সাবরেজিস্ট্রারকে। টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করেন তিনি। দলিল সম্পাদন শেষে একজন মোহবার লিখে রাখেন দলিল লেখকদের কে কয়টা দলিল করেছেন। পরে সেই তালিকা হাতে নিয়ে কালেকশনে নামেন নকল নবিশ আনোয়ার। তিনি কখনো বালাম বই লিখেন না।’
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নকল নবিশ আনোয়ার একটি তালিকা হাতে নিয়ে দলিল লেখকদের কাছে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলছেন। এ প্রতিবেদক এমন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে গেলে তিনি সটকে পড়েন। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, ‘আমি কোনো কথা বলব না। যদি কিছু জানার থাকে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পারেন।’
গতকাল মঙ্গলবার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি দলিল সম্পাদনের নামে কোনো টাকা নেই না।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর আর তিনি ফোন ধরেননি।
এ নিয়ে জানতে চাইলে রংপর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘বদরগঞ্জ অফিসের কিছু অভিযোগের তদন্ত চলছে।’ তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বলেন, ‘অফিসের কারা আপনাকে তথ্য দিচ্ছে তা দেখব!’
ঘুষ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে