Ajker Patrika

কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ

হারুনুর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৯
কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ

নরসিংদীর রায়পুরায় দেড় কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তায় কয়েক যুগেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ নয়াহাটি গ্রামের কাঁচা রাস্তাটির জন্য চরম দুর্ভোগে আছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করিমগঞ্জ নয়াহাটি গ্রামের পূর্ব–দক্ষিণে নলবাটা–হাসনাবাদ বাজার কার্পেটিং রাস্তা ও উত্তর–পশ্চিম প্রান্তে নরসিংদী থেকে রায়পুরা মহাসড়ক রয়েছে। দুই প্রান্তে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক থাকলেও ওই গ্রামের মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা রয়েছে।

রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কর্দমাক্ত থাকায় যানবাহন চলাচলসহ সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে কৃষি পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। কর্দমাক্ত হওয়ায় এ রাস্তায় প্রায়ই রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, মিশুক, সিএনজি উল্টে গিয়ে ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

এ রাস্তার ওপর দিয়ে আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ, নলবাটা, ভাটিবদরপুর, জয়নগর, খলাপাড়া, বালুয়াকান্দি, দড়ি বালুয়াকান্দি, আগানগর, চরআড়লিয়া গ্রামের বাসিন্দারা সহ আশপাশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।

গ্রামটিতে রয়েছে–একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, দুইটি মসজিদসহ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন।

জেলা সদরের সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ায় প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শিল্প কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক ও কৃষক চলাচল করেন। তা ছাড়া এই রাস্তায় নরসিংদী সরকারি কলেজসহ শহরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। গুরুত্বপূর্ণ এই কাঁচা রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পণ্য আনা নেওয়ার পথে খুব কষ্ট হচ্ছে। কর্দমাক্ত হওয়ায় পায়ে হেঁটে মাথায় বোঝা করে পণ্য বাজারজাত করতে হয়। সবজি বাজারে নিতে অনেক খরচ বেড়ে যায়। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা এস এম শরীফ বলেন, ‘অসুস্থ ও গর্ভবতীদের হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হলে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। জরুরি বিপদে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানাই।’

আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা পারভীন বলেন, ‘সড়কটি পাকা করার জন্য চেয়ারম্যানকে বারবার বলেও কাজ হয়নি।’

আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগের চেয়ারম্যান কতটুকু কাজ করল তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে কথা বলব।’

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আ. মোমেন বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে। রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘বর্তমানে আমি করোনায় আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরে অফিসে নেই। অফিসে আসার পর এ বিষয়ে কথা বলতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভূমিকম্পে ধসে পড়ল ইরাবতী নদীতে নির্মিত ব্রিটিশ আমলের সেতু

জোরালো ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ, উৎপত্তিস্থলে মাত্রা ৭.৭

জয় বাংলা ব্রিগেড: শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, সন্দেহভাজন অনেকে

ফ্ল্যাট, প্লট, ঘের, খামার সবই আছে অপূর্বর

ট্রাম্পের ধাঁচে ‘অভিবাসী বিল’ পাস ভারতে—বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে অমিত শাহর সতর্কতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত