আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগ ছাড়াও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এদিকে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও দেখা দিয়েছে ওষুধের সংকট।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, দু-একটি ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধসংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে ২৩ জন, শিশু ওয়ার্ডে ১৬ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে ২৪ জনসহ মোট ৬৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ছিল ৬ জন। এদিকে বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর চাপ। বহির্বিভাগে ৩৫০-৪০০ জন রোগী নিয়মিত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও দেখা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য স্যালাইন ছাড়া আর কোনো ওষুধ নেই হাসপাতালে। জ্বরের সিরাপের সরবরাহ থাকলেও তা পাচ্ছেন না সব রোগী। বহির্বিভাগে রোগীরা এক সপ্তাহ ধরে গ্যাসের ওষুধ পাচ্ছেন না। হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়া বা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত শিশুদের জিংক সিরাপ, ফেমোটেক, ইমিস্টেট, জি-ম্যাক্স, পেডিয়াভিট, রেসিকা ১০, একটেরিয়া ওষুধ বাইরে থেকে কেনা লাগছে।
মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলার ১৩ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন বাঙালীপুর গ্রাম থেকে আসা শিশু ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার কথা হয় তার মা রহিমা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জ্বর, বমি ও পায়খানা হওয়ায় গত মঙ্গলবার ছেলেকে হাসপাতালে এনেছি। আমার স্বামী দিনমজুর। দুটো খাবার স্যালাইন, একটা তরল স্যালাইন ও জ্বরের সিরাপ ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কোনো ওষুধই পাইনি। ৫-৬ রকমের ওষুধ বাইরের ওষুধের দোকান থেকে কিনতে হয়েছে।’
হাসপাতালের একই ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বেডে ভর্তি শিশু আব্দুল্লাহর মা নার্গিস খাতুন বলেন, ‘ছেলেটার পেটের সমস্যা। মঙ্গল দুপুরের দিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতাল থেকে দুটো খাবার স্যালাইন, একটা তরল স্যালাইন ছাড়া কিছুই পাইনি। জ্বরের সিরাপসহ ৭ রকমের ওষুধ বাইরে থেকে কিনেছি।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অনুপ বসু বলেন, ‘হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। ৪-৫ দিন ধরে রাতে ঠান্ডা আর দিনে গরম পড়ছে। ফলে জ্বর, পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে আসছেন।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার মহিতোষ দাস বলেন, ‘বহির্বিভাগে গ্যাসের ওষুধের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু আমরা চাহিদার অর্ধেক গ্যাসের ওষুধ পাই। ৪-৫ দিন ধরে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য বমি ও গ্যাসের সিরাপের সরবরাহ থাকে না। ভর্তি রোগীরা অন্য সব ওষুধ পান।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে গ্যাসের ওষুধের সংকট থাকায় হাসপাতালের ফার্মেসিতে কম করে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। গ্যাসের ওষুধের চাহিদা বেশি হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে তা ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগীদের জন্য বমি ও গ্যাসের সিরাপের সরবরাহ নেই। হাসপাতালে যে ওষুধ আছে রোগীরা তা পাচ্ছেন। অনেক সময় ডায়রিয়া দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু ওষুধ রোগীদের কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধের যে সংকট দেখা দিয়েছে তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিরসন হবে বলে আশা করি।’ ভবিষ্যতে সুযোগ থাকলে সব ধরনের ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগ ছাড়াও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এদিকে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও দেখা দিয়েছে ওষুধের সংকট।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, দু-একটি ওষুধ ছাড়া বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধসংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে ২৩ জন, শিশু ওয়ার্ডে ১৬ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে ২৪ জনসহ মোট ৬৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ছিল ৬ জন। এদিকে বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর চাপ। বহির্বিভাগে ৩৫০-৪০০ জন রোগী নিয়মিত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও দেখা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য স্যালাইন ছাড়া আর কোনো ওষুধ নেই হাসপাতালে। জ্বরের সিরাপের সরবরাহ থাকলেও তা পাচ্ছেন না সব রোগী। বহির্বিভাগে রোগীরা এক সপ্তাহ ধরে গ্যাসের ওষুধ পাচ্ছেন না। হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়া বা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত শিশুদের জিংক সিরাপ, ফেমোটেক, ইমিস্টেট, জি-ম্যাক্স, পেডিয়াভিট, রেসিকা ১০, একটেরিয়া ওষুধ বাইরে থেকে কেনা লাগছে।
মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলার ১৩ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন বাঙালীপুর গ্রাম থেকে আসা শিশু ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার কথা হয় তার মা রহিমা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জ্বর, বমি ও পায়খানা হওয়ায় গত মঙ্গলবার ছেলেকে হাসপাতালে এনেছি। আমার স্বামী দিনমজুর। দুটো খাবার স্যালাইন, একটা তরল স্যালাইন ও জ্বরের সিরাপ ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কোনো ওষুধই পাইনি। ৫-৬ রকমের ওষুধ বাইরের ওষুধের দোকান থেকে কিনতে হয়েছে।’
হাসপাতালের একই ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বেডে ভর্তি শিশু আব্দুল্লাহর মা নার্গিস খাতুন বলেন, ‘ছেলেটার পেটের সমস্যা। মঙ্গল দুপুরের দিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতাল থেকে দুটো খাবার স্যালাইন, একটা তরল স্যালাইন ছাড়া কিছুই পাইনি। জ্বরের সিরাপসহ ৭ রকমের ওষুধ বাইরে থেকে কিনেছি।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অনুপ বসু বলেন, ‘হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। ৪-৫ দিন ধরে রাতে ঠান্ডা আর দিনে গরম পড়ছে। ফলে জ্বর, পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে আসছেন।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার মহিতোষ দাস বলেন, ‘বহির্বিভাগে গ্যাসের ওষুধের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু আমরা চাহিদার অর্ধেক গ্যাসের ওষুধ পাই। ৪-৫ দিন ধরে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য বমি ও গ্যাসের সিরাপের সরবরাহ থাকে না। ভর্তি রোগীরা অন্য সব ওষুধ পান।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে গ্যাসের ওষুধের সংকট থাকায় হাসপাতালের ফার্মেসিতে কম করে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। গ্যাসের ওষুধের চাহিদা বেশি হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে তা ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগীদের জন্য বমি ও গ্যাসের সিরাপের সরবরাহ নেই। হাসপাতালে যে ওষুধ আছে রোগীরা তা পাচ্ছেন। অনেক সময় ডায়রিয়া দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু ওষুধ রোগীদের কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধের যে সংকট দেখা দিয়েছে তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিরসন হবে বলে আশা করি।’ ভবিষ্যতে সুযোগ থাকলে সব ধরনের ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে