ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট ও জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বেশির ভাগ আসনে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে। যে কয়েকটি আসনে এর ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেছে, এর মধ্যে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ অন্যতম। তবে মাঠে এখন আলোচনায় আছে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর পরিবার।
এ আসনে বিএনপি তাদের অবস্থান ধরে রাখলেও পিছিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতারা এলাকামুখী নন, দলীয় কর্মসূচিও আগের চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে থাকলেও কার্যত প্রার্থী সংকটে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। মহাজোট নিয়ে আলোচনার কারণে কর্মীদের মধ্যেই দিন দিন কমে যাচ্ছে উদ্যম। নিজেদের দলীয় কাউকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন অনেক নেতা-কর্মী।
সর্বশেষ নির্বাচনে এ আসনে তিন চৌধুরীর মনোনয়ন দ্বন্দ্বে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোটের। তাঁরা হলেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাপা) ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে জামানত হারান মহাজোটের ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী। তাঁর পরাজয়ে টানা দুবারের দখলীয় আসন হারাতে হয়েছে মহাজোটকে।
বর্তমানে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় সভাপতির নির্দেশে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন। ফলে এবার কপাল খুলতে পারে শফিকুর রহমান চৌধুরীর। তিনি সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের ভরসা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী এম ইলিয়াস আলীকে প্রায় ৩ হাজার ভোটে পরাজিত করে এমপি হন শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া আসনটিতে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী একুশে পদকপ্রাপ্ত অরূপরতন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী (জগলু চৌধুরী)। পাশাপাশি সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী এবং বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান তো রয়েছেনই।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর (লুনা)। মনোনয়নপ্রত্যাশী তাঁর ছেলে আবরার ইলিয়াসও।গণফোরামের মোকাব্বির খান এমপি হওয়ার পর গত সাড়ে চার বছরে এলাকায় কাঙ্ক্ষিত কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। জনগণ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। তবে মোকাব্বির খান বলেন, ‘এখনো নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। উন্নয়ন করেছি কি না, তা এলাকার মানুষ ভালো জানেন।’
স্থানীয়রা বলছেন, নেতারা কেউ এলাকায় আসেন না। আর নির্বাচনী সেই আমেজ এখানে এখনো সৃষ্টি হয়নি। কারণ, আওয়ামী লীগ গত দুবার আসনটি জোটের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। বিএনপিও গত নির্বাচনে জোটকে দিয়েছে। যে কারণে দলীয় প্রার্থীরা আগে থেকেই মাঠে নেই। জোট গঠন ও নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে তাঁরা হয়তো মাঠে নামবেন।
আসনটিতে একসময় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান থাকলেও জোটকে ছেড়ে দেওয়ায় সেটা এখন আর নেই। নেতা-কর্মীদের মধ্যে একধরনের হতাশা কাজ করে, তারা অনেকে নিষ্ক্রিয়। ভোটাররাও বিভক্ত হয়ে গেছেন। কেউ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে জাপাকে সমর্থন করে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়েছেন, যে কারণে দলের অনেকের কাছে হয়ে গেছেন নেতিবাচক। আবার কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে পেয়েছেন বিদ্রোহী তকমা। কেউ গেছেন চুপসে। আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) বলেন, ‘প্রায় দশ বছর দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় সংগঠন দিন দিন দুর্বল হচ্ছে। এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত। নেত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, আসন্ন নির্বাচনে যেন গ্রহণযোগ্য একজন দলীয় প্রার্থী দেওয়া হয়।’
এদিকে ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এম ইলিয়াস আলী এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে। ইলিয়াস আলী ১০ বছর ধরে নিখোঁজ থাকলেও বিএনপি দলীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। বেড়েছে তাদের সমর্থন।
বিএনপির বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।
আগের নির্বাচনগুলোর ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, আসনটিতে ভোটের হিসাব জটিল। বিভক্ত সমর্থক ও ভোটারদের এক করে জয় নিশ্চিত করা বেশ কঠিন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বেশির ভাগ আসনে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে। যে কয়েকটি আসনে এর ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেছে, এর মধ্যে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ অন্যতম। তবে মাঠে এখন আলোচনায় আছে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর পরিবার।
এ আসনে বিএনপি তাদের অবস্থান ধরে রাখলেও পিছিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতারা এলাকামুখী নন, দলীয় কর্মসূচিও আগের চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে থাকলেও কার্যত প্রার্থী সংকটে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। মহাজোট নিয়ে আলোচনার কারণে কর্মীদের মধ্যেই দিন দিন কমে যাচ্ছে উদ্যম। নিজেদের দলীয় কাউকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন অনেক নেতা-কর্মী।
সর্বশেষ নির্বাচনে এ আসনে তিন চৌধুরীর মনোনয়ন দ্বন্দ্বে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোটের। তাঁরা হলেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাপা) ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে জামানত হারান মহাজোটের ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী। তাঁর পরাজয়ে টানা দুবারের দখলীয় আসন হারাতে হয়েছে মহাজোটকে।
বর্তমানে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় সভাপতির নির্দেশে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন। ফলে এবার কপাল খুলতে পারে শফিকুর রহমান চৌধুরীর। তিনি সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের ভরসা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী এম ইলিয়াস আলীকে প্রায় ৩ হাজার ভোটে পরাজিত করে এমপি হন শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া আসনটিতে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী একুশে পদকপ্রাপ্ত অরূপরতন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী (জগলু চৌধুরী)। পাশাপাশি সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী এবং বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান তো রয়েছেনই।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর (লুনা)। মনোনয়নপ্রত্যাশী তাঁর ছেলে আবরার ইলিয়াসও।গণফোরামের মোকাব্বির খান এমপি হওয়ার পর গত সাড়ে চার বছরে এলাকায় কাঙ্ক্ষিত কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। জনগণ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। তবে মোকাব্বির খান বলেন, ‘এখনো নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। উন্নয়ন করেছি কি না, তা এলাকার মানুষ ভালো জানেন।’
স্থানীয়রা বলছেন, নেতারা কেউ এলাকায় আসেন না। আর নির্বাচনী সেই আমেজ এখানে এখনো সৃষ্টি হয়নি। কারণ, আওয়ামী লীগ গত দুবার আসনটি জোটের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। বিএনপিও গত নির্বাচনে জোটকে দিয়েছে। যে কারণে দলীয় প্রার্থীরা আগে থেকেই মাঠে নেই। জোট গঠন ও নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে তাঁরা হয়তো মাঠে নামবেন।
আসনটিতে একসময় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান থাকলেও জোটকে ছেড়ে দেওয়ায় সেটা এখন আর নেই। নেতা-কর্মীদের মধ্যে একধরনের হতাশা কাজ করে, তারা অনেকে নিষ্ক্রিয়। ভোটাররাও বিভক্ত হয়ে গেছেন। কেউ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে জাপাকে সমর্থন করে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়েছেন, যে কারণে দলের অনেকের কাছে হয়ে গেছেন নেতিবাচক। আবার কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে পেয়েছেন বিদ্রোহী তকমা। কেউ গেছেন চুপসে। আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) বলেন, ‘প্রায় দশ বছর দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় সংগঠন দিন দিন দুর্বল হচ্ছে। এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত। নেত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, আসন্ন নির্বাচনে যেন গ্রহণযোগ্য একজন দলীয় প্রার্থী দেওয়া হয়।’
এদিকে ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এম ইলিয়াস আলী এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে। ইলিয়াস আলী ১০ বছর ধরে নিখোঁজ থাকলেও বিএনপি দলীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। বেড়েছে তাদের সমর্থন।
বিএনপির বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।
আগের নির্বাচনগুলোর ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, আসনটিতে ভোটের হিসাব জটিল। বিভক্ত সমর্থক ও ভোটারদের এক করে জয় নিশ্চিত করা বেশ কঠিন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে