ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, ডোমার (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিলপ্রতি চার হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দলিল লেখক সমিতির নামে এই টাকা তুলে মাস শেষে সদস্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছর এই কার্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৭৫৮টি দলিলের রেজিস্ট্রি সম্পাদন হয়েছে। যেখান থেকে চাঁদা নেওয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। এভাবে প্রতি মাসে শেষ রেজিস্ট্রির পরের দিন সমিতির ৪৩ সদস্য বৈঠকে বসে সারা মাসের চাঁদার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।
উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকড়া খামাতপাড়া এলাকার দলিল গ্রহীতা কেশব চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি করেছি।
রেজিস্ট্রি বাবদ ২ হাজার ৫০০ টাকা, আর দলিল লেখক সমিতির চাঁদা বাবদ ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া অফিস খরচ বাবদ নিয়েছে আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা। মোট ৮ হাজার টাকা নিয়েছেন দলিল লেখকেরা।’
একই এলাকার হরিপদ রায় ও হরি কিশোর রায়ও সমিতির নামে দলিলপ্রতি চার হাজার করে টাকা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
সোনারায় ইউনিয়নের শমছের হাজি বলেন, ‘রেজিস্ট্রি খরচ ছাড়াও আমাদের কাছ থেকে সমিতির নামে চার হাজার টাকা নিয়েছে। ওই টাকা নাকি সমিতির সবাই ভাগ করে নেন।’
চিকনমাটি এলাকার মো. মোবারক হোসেন জানান, তাঁর সাড়ে ৪২ শতক জমির রেজিস্ট্রি বাবদ সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার টাকা খরচ নিয়েছেন দলিল লেখক।
আরেক ভুক্তভোগী সোনাহার এলাকার মো. সুমন ইসলাম বলেন, ‘সমিতির নামে চার হাজার টাকা না দিলে তো আর জমি রেজিস্ট্রি হবে না। তাই সবাই বাধ্য হয়েই সেই টাকা দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ডোমার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব জানান, এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর কেউ জমি কিনলে দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত দলিল রেজিস্ট্রির নামে চাঁদা বন্ধ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁর।
যোগাযোগ করা হলে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চার হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এখানে নিয়ম মেনেই রেজিস্ট্রি করা হয়।
জানতে চাইলে ডোমারের সাব-রেজিস্ট্রার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দলিল লেখকেরা বাইরে অতিরিক্ত টাকা নিতে পারেন। এটা আমার দেখার বিষয় না।’
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিলপ্রতি চার হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দলিল লেখক সমিতির নামে এই টাকা তুলে মাস শেষে সদস্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছর এই কার্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৭৫৮টি দলিলের রেজিস্ট্রি সম্পাদন হয়েছে। যেখান থেকে চাঁদা নেওয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। এভাবে প্রতি মাসে শেষ রেজিস্ট্রির পরের দিন সমিতির ৪৩ সদস্য বৈঠকে বসে সারা মাসের চাঁদার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।
উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকড়া খামাতপাড়া এলাকার দলিল গ্রহীতা কেশব চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি করেছি।
রেজিস্ট্রি বাবদ ২ হাজার ৫০০ টাকা, আর দলিল লেখক সমিতির চাঁদা বাবদ ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া অফিস খরচ বাবদ নিয়েছে আরও ১ হাজার ৫০০ টাকা। মোট ৮ হাজার টাকা নিয়েছেন দলিল লেখকেরা।’
একই এলাকার হরিপদ রায় ও হরি কিশোর রায়ও সমিতির নামে দলিলপ্রতি চার হাজার করে টাকা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
সোনারায় ইউনিয়নের শমছের হাজি বলেন, ‘রেজিস্ট্রি খরচ ছাড়াও আমাদের কাছ থেকে সমিতির নামে চার হাজার টাকা নিয়েছে। ওই টাকা নাকি সমিতির সবাই ভাগ করে নেন।’
চিকনমাটি এলাকার মো. মোবারক হোসেন জানান, তাঁর সাড়ে ৪২ শতক জমির রেজিস্ট্রি বাবদ সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার টাকা খরচ নিয়েছেন দলিল লেখক।
আরেক ভুক্তভোগী সোনাহার এলাকার মো. সুমন ইসলাম বলেন, ‘সমিতির নামে চার হাজার টাকা না দিলে তো আর জমি রেজিস্ট্রি হবে না। তাই সবাই বাধ্য হয়েই সেই টাকা দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ডোমার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব জানান, এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর কেউ জমি কিনলে দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত দলিল রেজিস্ট্রির নামে চাঁদা বন্ধ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাঁর।
যোগাযোগ করা হলে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চার হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এখানে নিয়ম মেনেই রেজিস্ট্রি করা হয়।
জানতে চাইলে ডোমারের সাব-রেজিস্ট্রার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দলিল লেখকেরা বাইরে অতিরিক্ত টাকা নিতে পারেন। এটা আমার দেখার বিষয় না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে