মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান বাজার সড়কের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এ বাজারের দোকানিরা প্রতিনিয়ত এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। ফলে দুর্গন্ধে এই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না পথচারী।

গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজদিখান বাজারের পূর্বদিকে সমবায় সুপার মার্কেটের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটি ডোবায় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তালের খোসা, গরু ও মুরগির বর্জ্য ফেলছে। এতে এ সড়কের পাশ যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এখান দিয়ে যাতায়াতকারী এবং পাশে থাকা দোকানিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পথচারী ফেরদৌস হাসান রাতুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সিরাজদিখান বাজারের এই স্থানে ময়লা ফেলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে একশ্রেণির দোকানি। এতে বাজারে আসা-যাওয়া মানুষের শ্বাসকষ্ট হয়। দুর্গন্ধে থাকা যায় না। বাজার কমিটিও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

অটোরিকশার যাত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘আমরা বাজারে এলে গাড়ি এসে ময়লা ভাগাড়ের সামনে থামায়। দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনার মধ্যে নামতে হয়। এতে অনেক কষ্ট হয়। এ থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

অটোরিকশার চালক মো. রুবেল বলেন, ‘বাজারের লোকজন সব বর্জ্য এই রাস্তার পাশে ফেলে। এতে যেমন দুর্গন্ধ ছড়ায়, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।’

সিরাজদিখান বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘সমবায় মার্কেটের সামনের অংশ ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ইজারাদারের। যারা ইজারা নিয়েছে, তারা বাইরে দোকান বসায়। সেই দোকানিরা ওই স্থানে ময়লা ফেলেন। এতে ময়লার স্তূপ হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা ইজারাদারদের বলে দেব, ওই স্থানে যাতে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ না করে।’

রশুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাইদ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কয়েকবার বাজার কমিটির সঙ্গে আলাপ করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আবারও আলাপ-আলোচনা করব বাজার কমিটি ও ইজারাদারদের নিয়ে। তাঁরা কোনো স্থায়ী সমাধান না দিতে পারলে ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা করে স্থায়ী জায়গা করে সেখানে ময়লা ফেলানোর ব্যবস্থা করব।’