গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীত মৌসুমেও বাগানে গাছে বিভিন্ন জাতের পাকা আম। সেই সঙ্গে এসেছে মুকুল। গোমস্তাপুর উপজেলা পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের প্রত্যন্ত মাঠের একটি বাগানে এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। প্রথমে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করে সফলতার মুখ দেখছেন বারমাসি আম উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলাম।
সেরাজুল ওই মাঠে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এ আম উৎপাদন শুরু করেছেন। পাকা আমসহ চারা বিক্রি করছেন। সেখানে ‘বারমাসি ম্যাংগো ফার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ওই বাগান থেকে তিনি বছরে লাখ টাকা আয় করছেন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয়। অথচ মৌসুম ছাড়া সারা বছর এ ফল পাওয়া যায় না। এ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল সেরাজুলের। মানুষ কেন সারা বছর সুস্বাদু আম খেতে পারেন না। তাঁর এ পরিকল্পনা নিজ ভাই রেজাউল করিমকে বলেন। ভাইয়ের পরামর্শে তিনি নিজ গ্রাম বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া এলাকায় একটি বাগান তৈরি করেন। ওই বাগানে একটি প্রজেক্ট স্থাপন করা হয়। সেই প্রজেক্টে পরীক্ষামূলকভাবে আম উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেন এবং ভালো মুনাফা পান। এরপর থেকে তাঁকে পেছনে তাকাতে হয়নি। পরে সেরাজুল উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ১২ বিঘা জমি লিজ নেন। ওই জমিতে ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রজেক্ট হিসেবে আম্রপালি জাতের গাছ থেকে কলম পদ্ধতি শুরু করেন। পরে বারোমাসি বারি-১১ জাতের আম উৎপাদন করতে থাকেন। তাঁর ওই বাগানে দেড় হাজারে অধিক বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। ওই সব গাছে বছরে তিনবার আম আসে। বর্তমানে তিনি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে আম বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে সেরাজুল ইসলাম বলেন, সবসময় কীভাবে অসময়েও আম পাওয়া যাবে—এ চিন্তা থেকে বিভিন্ন স্থানে জাত সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু সে জাতগুলো ভালো না। খোঁজ করতে করতে ঢাকা থেকে একটি জাত সংগ্রহ করেন। তারপর সে পরিকল্পনা করে সফল হয়েছেন। এ পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে প্রায় ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন তিনি।
সেরাজ আরও জানান, তাঁর ওই বাগানে আছে, বারি-১১, কাটিমন, বানানা ম্যাংগো, গৌরমতি, বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম। এ ছাড়া অসময়ে আমের জন্য অন্য জাতের আম চাষের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেরাজের দাবি, তাঁর বাগান থেকে বিঘাপ্রতি অন্তত ৩ লাখ টাকার আম উৎপাদন হবে। তিনি সরকারি প্রণোদনা পেলে আরও বেশি আম উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, কয়েক মাস আগে সেরাজুল ইসলামের বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। তাঁকে বাগান পরিচর্যার বিষয়ে অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসময়ে এত বড় বারোমাসি বাগান ও নতুন উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলামের লক্ষ্য দেখে তিনি মুগ্ধ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানের প্রজেক্ট বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করে যাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীত মৌসুমেও বাগানে গাছে বিভিন্ন জাতের পাকা আম। সেই সঙ্গে এসেছে মুকুল। গোমস্তাপুর উপজেলা পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের প্রত্যন্ত মাঠের একটি বাগানে এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। প্রথমে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করে সফলতার মুখ দেখছেন বারমাসি আম উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলাম।
সেরাজুল ওই মাঠে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এ আম উৎপাদন শুরু করেছেন। পাকা আমসহ চারা বিক্রি করছেন। সেখানে ‘বারমাসি ম্যাংগো ফার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ওই বাগান থেকে তিনি বছরে লাখ টাকা আয় করছেন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয়। অথচ মৌসুম ছাড়া সারা বছর এ ফল পাওয়া যায় না। এ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল সেরাজুলের। মানুষ কেন সারা বছর সুস্বাদু আম খেতে পারেন না। তাঁর এ পরিকল্পনা নিজ ভাই রেজাউল করিমকে বলেন। ভাইয়ের পরামর্শে তিনি নিজ গ্রাম বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া এলাকায় একটি বাগান তৈরি করেন। ওই বাগানে একটি প্রজেক্ট স্থাপন করা হয়। সেই প্রজেক্টে পরীক্ষামূলকভাবে আম উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেন এবং ভালো মুনাফা পান। এরপর থেকে তাঁকে পেছনে তাকাতে হয়নি। পরে সেরাজুল উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ১২ বিঘা জমি লিজ নেন। ওই জমিতে ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রজেক্ট হিসেবে আম্রপালি জাতের গাছ থেকে কলম পদ্ধতি শুরু করেন। পরে বারোমাসি বারি-১১ জাতের আম উৎপাদন করতে থাকেন। তাঁর ওই বাগানে দেড় হাজারে অধিক বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। ওই সব গাছে বছরে তিনবার আম আসে। বর্তমানে তিনি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে আম বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে সেরাজুল ইসলাম বলেন, সবসময় কীভাবে অসময়েও আম পাওয়া যাবে—এ চিন্তা থেকে বিভিন্ন স্থানে জাত সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু সে জাতগুলো ভালো না। খোঁজ করতে করতে ঢাকা থেকে একটি জাত সংগ্রহ করেন। তারপর সে পরিকল্পনা করে সফল হয়েছেন। এ পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে প্রায় ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন তিনি।
সেরাজ আরও জানান, তাঁর ওই বাগানে আছে, বারি-১১, কাটিমন, বানানা ম্যাংগো, গৌরমতি, বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম। এ ছাড়া অসময়ে আমের জন্য অন্য জাতের আম চাষের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সেরাজের দাবি, তাঁর বাগান থেকে বিঘাপ্রতি অন্তত ৩ লাখ টাকার আম উৎপাদন হবে। তিনি সরকারি প্রণোদনা পেলে আরও বেশি আম উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, কয়েক মাস আগে সেরাজুল ইসলামের বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। তাঁকে বাগান পরিচর্যার বিষয়ে অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসময়ে এত বড় বারোমাসি বাগান ও নতুন উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলামের লক্ষ্য দেখে তিনি মুগ্ধ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানের প্রজেক্ট বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করে যাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে