Ajker Patrika

শীতেও গাছে গাছে পাকা আম ও মুকুলের সুবাস

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ০৯
শীতেও গাছে গাছে পাকা আম ও মুকুলের সুবাস

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীত মৌসুমেও বাগানে গাছে বিভিন্ন জাতের পাকা আম। সেই সঙ্গে এসেছে মুকুল। গোমস্তাপুর উপজেলা পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের প্রত্যন্ত মাঠের একটি বাগানে এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। প্রথমে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করে সফলতার মুখ দেখছেন বারমাসি আম উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলাম।

সেরাজুল ওই মাঠে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এ আম উৎপাদন শুরু করেছেন। পাকা আমসহ চারা বিক্রি করছেন। সেখানে ‘বারমাসি ম্যাংগো ফার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ওই বাগান থেকে তিনি বছরে লাখ টাকা আয় করছেন।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয়। অথচ মৌসুম ছাড়া সারা বছর এ ফল পাওয়া যায় না। এ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল সেরাজুলের। মানুষ কেন সারা বছর সুস্বাদু আম খেতে পারেন না। তাঁর এ পরিকল্পনা নিজ ভাই রেজাউল করিমকে বলেন। ভাইয়ের পরামর্শে তিনি নিজ গ্রাম বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া এলাকায় একটি বাগান তৈরি করেন। ওই বাগানে একটি প্রজেক্ট স্থাপন করা হয়। সেই প্রজেক্টে পরীক্ষামূলকভাবে আম উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেন এবং ভালো মুনাফা পান। এরপর থেকে তাঁকে পেছনে তাকাতে হয়নি। পরে সেরাজুল উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ১২ বিঘা জমি লিজ নেন। ওই জমিতে ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রজেক্ট হিসেবে আম্রপালি জাতের গাছ থেকে কলম পদ্ধতি শুরু করেন। পরে বারোমাসি বারি-১১ জাতের আম উৎপাদন করতে থাকেন। তাঁর ওই বাগানে দেড় হাজারে অধিক বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। ওই সব গাছে বছরে তিনবার আম আসে। বর্তমানে তিনি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে আম বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে সেরাজুল ইসলাম বলেন, সবসময় কীভাবে অসময়েও আম পাওয়া যাবে—এ চিন্তা থেকে বিভিন্ন স্থানে জাত সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু সে জাতগুলো ভালো না। খোঁজ করতে করতে ঢাকা থেকে একটি জাত সংগ্রহ করেন। তারপর সে পরিকল্পনা করে সফল হয়েছেন। এ পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে প্রায় ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন তিনি।

সেরাজ আরও জানান, তাঁর ওই বাগানে আছে, বারি-১১, কাটিমন, বানানা ম্যাংগো, গৌরমতি, বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম। এ ছাড়া অসময়ে আমের জন্য অন্য জাতের আম চাষের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সেরাজের দাবি, তাঁর বাগান থেকে বিঘাপ্রতি অন্তত ৩ লাখ টাকার আম উৎপাদন হবে। তিনি সরকারি প্রণোদনা পেলে আরও বেশি আম উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, কয়েক মাস আগে সেরাজুল ইসলামের বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। তাঁকে বাগান পরিচর্যার বিষয়ে অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসময়ে এত বড় বারোমাসি বাগান ও নতুন উদ্যোক্তা সেরাজুল ইসলামের লক্ষ্য দেখে তিনি মুগ্ধ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর বাগানের প্রজেক্ট বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করে যাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত