আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ১২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ১০০ প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান ও তিন সাধারণ সদস্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

গত রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. আহসান হাবীব।

বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন গল্লাই ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম দর্জি। এ ছাড়া ইউপিন সদস্যরা হলেন মাধাইয়া ইউপির খলিলুর রহমান ও মিজানুর রহমান এবং মাইজখার ইউপিতে মো. রাকিব।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চান্দিনা উপজেলার ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১০০ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ১২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী আটজন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত প্রার্থী দুজন, জাকের পার্টি মনোনীত একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭৭ জন।

এ ছাড়া ১২টি ইউপির ১০৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ৫২৮ জন। ১২টি ইউপির ৩৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২০ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।

উপজেলার সুহিলপুর, বাতাঘাসী ইউপিতে সর্বোচ্চ ১২ জন করে এবং বরকইট, দোল্লাই নবাবপুর ইউপিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ জন করে ও জোয়াগ ইউপিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। বাকি ৭টি ইউপির মধ্যে কেরণখাল, বাড়েরা ও এতবারপুরে ৫ জন করে প্রার্থী রয়েছেন।

রিটার্নিং অফিসার মো. আহসান হাবীব জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ঋণখেলাপির কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম দর্জির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।