মো. সাদ একই সময়ে ভর্তি হয়েছে শহরের দুটি বিদ্যালয়ে। কিন্তু বাবার স্বপ্ন গ্রামের বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার। তাই একটি স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সাদকে ভর্তি করান গ্রামের স্কুলে। এতে বাবা মোহাম্মদ শফিউল কবিরের সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি কমিটির সভাপতি হন।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল কবিরের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

একই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য টিটু বেগ এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিশ্বজিৎ সাহা গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি অবগত হয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অভিযোগ ও বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ শফিউল কবিরের ছেলে মো. সাদ (৮) শহরের দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। শিশু শ্রেণি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সে এখানেই নিয়মিত পড়াশোনা করছে। এই বিদ্যালয়ে সব শ্রেণিতেই সাদের রোল নম্বর ২। একই সময়ে শহরের বেসরকারি ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি হয়ে প্লে, নার্সারি ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি রয়েছে সাদ। ওই কিন্ডারগার্টেনে সাদের রোল নম্বর ৪৭।

গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল কবির বলেন, ‘এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব কথা বলা হচ্ছে। যথাযথ নিয়মে ছাড়পত্র নিয়েই আমার ছেলেকে গাগলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে একই প্রতিষ্ঠানে আমি সভাপতি হয়েছি।’