মো. আমিনুল হক, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার ফুলছড়ির প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এ গাড়ি। ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা চরে ঘোড়ার গাড়িতে করে পণ্য আনা-নেওয়ার চিত্র প্রতিদিনই দেখা যায়। এ ছাড়া ফুলছড়ি হাটের দিন শনি ও মঙ্গলবার এ গাড়ির গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।
উপজেলার চরাঞ্চল এড়েন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চরের ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি। উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। বর্ষা মৌসুমে এ নদের অববাহিকাসহ চরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। তবে শুষ্ক মৌসুমে মাইলের পর মাইল হেঁটে সমতলে আসতে হয়। হেঁটে যাতায়াত করলেও তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি ও বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে বাড়িতে নিতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে যান্ত্রিক পরিবহন না থাকলেও চরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়তা করছে ঘোড়ার গাড়ি। ভাড়ায় চালিত এসব ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে লোকজন পণ্য পরিবহন করছেন। আর ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের কয়েকশ মানুষ।
চরের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কৃষক জানান, বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের বিশাল এলাকাজুড়ে এখন ধু-ধু বালুচর। এ সময় চরাঞ্চলে বসবাসকারী কৃষকদের কৃষিপণ্য ও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব চরে অন্য কোনো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ঘোড়ার গাড়িই তাদের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মণ কৃষি পণ্য পরিবহন করা যায়। চরাঞ্চলের মানুষ ঘোড়ার গাড়িতেই বালুচর পেরিয়ে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করছে।
ছবের আলী, এখলাছ মণ্ডল ও শাজাহান মিয়াসহ কয়েকজন ঘোড়ার গাড়ির চালক জানান, সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরোনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন তাঁরা। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা। একটি ঘোড়া কিনতে লাগে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে একটি ঘোড়ার গাড়িতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকার উপড়ে। সারা দিনে আয় হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণসহ সংসারের খরচ বহন করেন তাঁরা।
শফিকুল ইসলাম নামের আরেক চালক জানান, একটি ঘোড়া কয়েক বছর গাড়ি টানতে পারে। তবে ঘোড়াকে প্রয়োজনীয় খাবার দিতে না পারলে পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তাই খাদ্য হিসেবে ধানের কুঁড়া, সরিষার খৈল, ছোলা, ভুসি ও চালের খুদ খেতে দিতে হয়। সব মিলিয়ে ঘোড়া পালনে খরচও কম।
ফুলছড়ি হাটের কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৪টিই চরাঞ্চল। শুষ্ক মৌসুমে বালুর গভীরতা বেশি থাকায় ঘোড়ার গাড়িতে করে মালামাল পরিবহন করতে হয়। দুর্গম চরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা সেখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য কিনে ঘোড়ার গাড়িতে করে ফুলছড়ি হাটে পৌঁছান। অনুরূপভাবে বিভিন্ন প্রকার মালামাল ও কৃষিপণ্য বাজার থেকে ক্রয় করে ঘোড়ার গাড়িতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। ঘোড়ার গাড়ি চালকেরা দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নিয়ে থাকেন।’
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হান্নান বলেন, ঘোড়ার গাড়ির ফলে কৃষিপণ্য পরিবহন সুবিধাসহ অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল না, এখন সব গ্রামে ঘোড়ার গাড়ি আছে। এতে মানুষের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়েছে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ির প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এ গাড়ি। ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা চরে ঘোড়ার গাড়িতে করে পণ্য আনা-নেওয়ার চিত্র প্রতিদিনই দেখা যায়। এ ছাড়া ফুলছড়ি হাটের দিন শনি ও মঙ্গলবার এ গাড়ির গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।
উপজেলার চরাঞ্চল এড়েন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চরের ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি। উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। বর্ষা মৌসুমে এ নদের অববাহিকাসহ চরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় এখানকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। তবে শুষ্ক মৌসুমে মাইলের পর মাইল হেঁটে সমতলে আসতে হয়। হেঁটে যাতায়াত করলেও তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি ও বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে বাড়িতে নিতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে যান্ত্রিক পরিবহন না থাকলেও চরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়তা করছে ঘোড়ার গাড়ি। ভাড়ায় চালিত এসব ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে লোকজন পণ্য পরিবহন করছেন। আর ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের কয়েকশ মানুষ।
চরের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কৃষক জানান, বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের বিশাল এলাকাজুড়ে এখন ধু-ধু বালুচর। এ সময় চরাঞ্চলে বসবাসকারী কৃষকদের কৃষিপণ্য ও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব চরে অন্য কোনো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ঘোড়ার গাড়িই তাদের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ মণ কৃষি পণ্য পরিবহন করা যায়। চরাঞ্চলের মানুষ ঘোড়ার গাড়িতেই বালুচর পেরিয়ে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করছে।
ছবের আলী, এখলাছ মণ্ডল ও শাজাহান মিয়াসহ কয়েকজন ঘোড়ার গাড়ির চালক জানান, সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরোনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন তাঁরা। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা। একটি ঘোড়া কিনতে লাগে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে একটি ঘোড়ার গাড়িতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকার উপড়ে। সারা দিনে আয় হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণসহ সংসারের খরচ বহন করেন তাঁরা।
শফিকুল ইসলাম নামের আরেক চালক জানান, একটি ঘোড়া কয়েক বছর গাড়ি টানতে পারে। তবে ঘোড়াকে প্রয়োজনীয় খাবার দিতে না পারলে পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তাই খাদ্য হিসেবে ধানের কুঁড়া, সরিষার খৈল, ছোলা, ভুসি ও চালের খুদ খেতে দিতে হয়। সব মিলিয়ে ঘোড়া পালনে খরচও কম।
ফুলছড়ি হাটের কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৪টিই চরাঞ্চল। শুষ্ক মৌসুমে বালুর গভীরতা বেশি থাকায় ঘোড়ার গাড়িতে করে মালামাল পরিবহন করতে হয়। দুর্গম চরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা সেখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য কিনে ঘোড়ার গাড়িতে করে ফুলছড়ি হাটে পৌঁছান। অনুরূপভাবে বিভিন্ন প্রকার মালামাল ও কৃষিপণ্য বাজার থেকে ক্রয় করে ঘোড়ার গাড়িতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। ঘোড়ার গাড়ি চালকেরা দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নিয়ে থাকেন।’
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল হান্নান বলেন, ঘোড়ার গাড়ির ফলে কৃষিপণ্য পরিবহন সুবিধাসহ অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল না, এখন সব গ্রামে ঘোড়ার গাড়ি আছে। এতে মানুষের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে