বাঙালি ও বাংলা গানের লতা

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯: ৫৮
Thumbnail image

বাঙালি ও বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে গভীর যোগ ছিল লতা মঙ্গেশকরের। তাঁকে বাংলা গান গাওয়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। ১৯৫৬ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে ‘প্রেম একবারই এসেছিল জীবনে’ গানটি লতার গাওয়া প্রথম বাংলা গান। পরবর্তী সময়ে বহু সুরকারের সুরে বাংলা গান গেয়েছেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে।

সলিল চৌধুরীর সুর ও সংগীতে বাংলাদেশের একটি সিনেমায়ও গেয়েছিলেন লতা। ১৯৭২ সালে নির্মিত মমতাজ আলীর ‘রক্তাক্ত বাংলা’ সিনেমার গানটি ছিল ‘দাদাভাই মূর্তি বানাও’। বাংলাদেশের রুনা লায়লার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল লতার।

পশ্চিমবঙ্গের অনেক শিল্পী ও সুরকারের সঙ্গে লতার সুসম্পর্ক থাকলেও হেমন্তর সঙ্গে সম্পর্কটা ছিল সবচেয়ে নিবিড়। দুই পরিবারের মধ্যেও ছিল সুসম্পর্ক। লতার মা ও ভাইবোনেরা ভালোবাসতেন হেমন্তকে। আশা ভোঁসলে নিজের ছেলের নামও রেখেছিলেন হেমন্তের নামে। হেমন্তর স্ত্রী বেলা দেবীর সঙ্গেও লতার বন্ধুত্ব ছিল।

সলিল চৌধুরী, রবীন চট্টোপাধ্যায়, সুধীন দাসগুপ্ত, এমনকি কিশোর কুমারের সুরেও গান গেয়েছেন লতা। তাঁর সাত দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এক হাজারের বেশি হিন্দি সিনেমার গান রেকর্ড করেছেন। মোট ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর রেকর্ড করা বাংলা গানের সংখ্যা ১৮৬টি। নিজের বাংলা উচ্চারণ সঠিক করার জন্য বেশ পরিশ্রম করেছেন তিনি। এ বিষয়েও তাঁকে সহযোগিতা করেছেন হেমন্ত। বাঙালি শিল্পীদের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় বাংলায়ই কথা বলার চেষ্টা করতেন লতা। বাঙালি খাবারের প্রতিও ছিল দুর্বলতা।

গান গাইতে প্রথম দিকে যখন লতা কলকাতায় আসতেন, তখন অনেকবারই হেমন্তর বাড়িতে উঠেছেন। সেখানেই থেকেছেন, খেয়েছেন। হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় হেমন্তর সুরে প্রচুর কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন লতা। হেমন্তর কাছে রবীন্দ্রসংগীত শিখে তাঁর সংগীতায়োজনে প্রথমবারের মতো রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছিলেন। হেমন্তর প্রযোজনায় হিন্দি ও বাংলা সিনেমায় গান গেয়ে কোনো দিন পারিশ্রমিক নেননি লতা। বাংলা সাহিত্য নিয়েও তাঁর আগ্রহ ছিল। রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্রসহ অনেকের মারাঠি অনুবাদ পড়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত