ফারুক মেহেদী, ঢাকা
সমবায় প্রতিষ্ঠান সমিতি নাকি কোম্পানি হিসেবে গণ্য হবে, সে নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে। নতুন আয়কর আইনে সব সমবায় সমিতিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিবেচনায় কোম্পানি ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগ। অন্যদিকে সমবায় প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই কোম্পানি হিসেবে গণ্য করতে রাজি নয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের অধীন সমবায় অধিদপ্তর।
আয়কর বিভাগ মনে করছে, সব সমবায় সমিতির আয়-ব্যয়ের তথ্যে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। এ জন্য তৃতীয় কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) ফার্ম দিয়ে আয়-ব্যয়ের তথ্য নিরীক্ষা করাতে হবে। আর সমবায় অধিদপ্তর বলছে, এটি সমবায় আইনে চলছে; এখানে আয়কর আইন মানা সম্ভব নয়। বাইরের প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করা আইনসিদ্ধ হবে না। এ নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এনবিআরকে চিঠি দিয়ে করণীয় ঠিক করতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে নতুন আয়কর আইন কার্যকর হয়েছে। এ আইনে বেশ কিছু সংস্কার আনা হয়েছে। তবে এসব সংস্কার পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রে বুমেরাং হতে বসেছে। কারণ, আইনটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা আপত্তি আসছে। শেষ আপত্তিটি উঠেছে খোদ সমবায় অধিদপ্তর থেকে।
নতুন আয়কর আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠন, ফাউন্ডেশন, সমিতি, সমবায় সমিতি এবং যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই কোম্পানি হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং, কোম্পানি হলেই তৃতীয় কোনো অডিট ফার্ম দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে পড়ে। আর এখানেই আপত্তি সমবায় অধিদপ্তরের। সংস্থাটি বলছে, সমবায় সমিতি চলে সমবায় আইনে। এ আইনে বলা হয়েছে, সমবায় সমিতির নিরীক্ষা হবে সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে। তৃতীয় কোনো ফার্ম দিয়ে অডিট করা হলে সমবায় আইনের ব্যত্যয় হবে। এটা সংবিধানবিরোধী বলেও মনে করছে সমবায় অধিদপ্তর।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে সমবায় অধিদপ্তর এসব বিষয় তুলে ধরেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি এনবিআরকে তুলে ধরে যথাযথ করণীয় ঠিক করতে বলেছে।
সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নিবন্ধক মো. শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসলে সমবায় অধিদপ্তর নিজেই অডিট করে। এটাই এ প্রতিষ্ঠানের কাজ। তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের অডিট আইনসিদ্ধ নয়। সমিতি চলে সমিতির আইনে, আর কোম্পানি চলে কোম্পানির আইনে। এখন বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আছে। এর সুরাহা কীভাবে করা যায়, চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
জানা যায়, আয়কর আইন অনুযায়ী সিএ ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করার বিষয়টি সামনে আসায় এর প্রভাব পর্যালোচনা করেছে সমবায় অধিদপ্তর। সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এটা মানতে গেলে দুটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি হবে। এতে সমবায় অধিদপ্তরের নিরীক্ষা বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হবে। অধিদপ্তর দ্বৈত প্রশাসনের আওতায় চলে যাবে। পরিণামে সমবায় সমিতিগুলোর ওপর সমবায় অধিদপ্তরের নির্বাহী ক্ষমতা লোপ পাবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আয়কর আইনের এ ক্ষমতা স্বীকার করলে দুটি আইনের টানাটানিতে সমবায় সমিতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হবে। তাই সংস্থাটি সুপারিশ করছে, যাতে আয়কর আইন সংশোধন করে সমবায় সমিতিকে সিএ ফার্মের নিরীক্ষা ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, নতুন আইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্য সংগঠন, ফাউন্ডেশনকেও কোম্পানি বিবেচনা করা হয়েছে। আর কোম্পানি হলে পেশাদার তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের অডিট করা আবশ্যক।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে বিষয়টি এসেছে। আমরা দেখছি। আসলে আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করছি মূলত আয়কর আদায়ের স্বার্থে। আমরা তো তাদের কোম্পানি আইনে কোম্পানি বিবেচনা করছি না। তারপরও বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, দেখা যাক কী হয়।’
সমবায় প্রতিষ্ঠান সমিতি নাকি কোম্পানি হিসেবে গণ্য হবে, সে নিয়ে সরকারি দুই সংস্থার মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে। নতুন আয়কর আইনে সব সমবায় সমিতিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিবেচনায় কোম্পানি ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগ। অন্যদিকে সমবায় প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই কোম্পানি হিসেবে গণ্য করতে রাজি নয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের অধীন সমবায় অধিদপ্তর।
আয়কর বিভাগ মনে করছে, সব সমবায় সমিতির আয়-ব্যয়ের তথ্যে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। এ জন্য তৃতীয় কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) ফার্ম দিয়ে আয়-ব্যয়ের তথ্য নিরীক্ষা করাতে হবে। আর সমবায় অধিদপ্তর বলছে, এটি সমবায় আইনে চলছে; এখানে আয়কর আইন মানা সম্ভব নয়। বাইরের প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিরীক্ষা করা আইনসিদ্ধ হবে না। এ নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এনবিআরকে চিঠি দিয়ে করণীয় ঠিক করতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে নতুন আয়কর আইন কার্যকর হয়েছে। এ আইনে বেশ কিছু সংস্কার আনা হয়েছে। তবে এসব সংস্কার পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রে বুমেরাং হতে বসেছে। কারণ, আইনটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা আপত্তি আসছে। শেষ আপত্তিটি উঠেছে খোদ সমবায় অধিদপ্তর থেকে।
নতুন আয়কর আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠন, ফাউন্ডেশন, সমিতি, সমবায় সমিতি এবং যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই কোম্পানি হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং, কোম্পানি হলেই তৃতীয় কোনো অডিট ফার্ম দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে পড়ে। আর এখানেই আপত্তি সমবায় অধিদপ্তরের। সংস্থাটি বলছে, সমবায় সমিতি চলে সমবায় আইনে। এ আইনে বলা হয়েছে, সমবায় সমিতির নিরীক্ষা হবে সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে। তৃতীয় কোনো ফার্ম দিয়ে অডিট করা হলে সমবায় আইনের ব্যত্যয় হবে। এটা সংবিধানবিরোধী বলেও মনে করছে সমবায় অধিদপ্তর।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে সমবায় অধিদপ্তর এসব বিষয় তুলে ধরেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি এনবিআরকে তুলে ধরে যথাযথ করণীয় ঠিক করতে বলেছে।
সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নিবন্ধক মো. শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসলে সমবায় অধিদপ্তর নিজেই অডিট করে। এটাই এ প্রতিষ্ঠানের কাজ। তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের অডিট আইনসিদ্ধ নয়। সমিতি চলে সমিতির আইনে, আর কোম্পানি চলে কোম্পানির আইনে। এখন বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আছে। এর সুরাহা কীভাবে করা যায়, চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
জানা যায়, আয়কর আইন অনুযায়ী সিএ ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করার বিষয়টি সামনে আসায় এর প্রভাব পর্যালোচনা করেছে সমবায় অধিদপ্তর। সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এটা মানতে গেলে দুটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি হবে। এতে সমবায় অধিদপ্তরের নিরীক্ষা বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হবে। অধিদপ্তর দ্বৈত প্রশাসনের আওতায় চলে যাবে। পরিণামে সমবায় সমিতিগুলোর ওপর সমবায় অধিদপ্তরের নির্বাহী ক্ষমতা লোপ পাবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আয়কর আইনের এ ক্ষমতা স্বীকার করলে দুটি আইনের টানাটানিতে সমবায় সমিতি মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হবে। তাই সংস্থাটি সুপারিশ করছে, যাতে আয়কর আইন সংশোধন করে সমবায় সমিতিকে সিএ ফার্মের নিরীক্ষা ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, নতুন আইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্য সংগঠন, ফাউন্ডেশনকেও কোম্পানি বিবেচনা করা হয়েছে। আর কোম্পানি হলে পেশাদার তৃতীয় প্রতিষ্ঠানের অডিট করা আবশ্যক।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য এ কে এম বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে বিষয়টি এসেছে। আমরা দেখছি। আসলে আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করছি মূলত আয়কর আদায়ের স্বার্থে। আমরা তো তাদের কোম্পানি আইনে কোম্পানি বিবেচনা করছি না। তারপরও বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, দেখা যাক কী হয়।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১০ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে