Ajker Patrika

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভাঙনের ঝুঁকিতে সেতু

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ৩৬
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভাঙনের ঝুঁকিতে সেতু

মির্জাপুরে বহুরিয়া এলাকায় লৌহজং নদী থেকে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পপতি নুরুল ইসলাম সেতুর মাত্র ৫০ মিটার দূরে বসানো হয়েছে ওই খননযন্ত্র ও ভেকু। এতে সেতুটি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর অদূরে খননযন্ত্রে বালু তোলা হচ্ছে। দীর্ঘ পাইপের মাধ্যমে একটি ইটভাটার কাছে নিচু জমিতে ফেলা হচ্ছে ওই বালু। বহুরিয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক সেলিম ও তাঁর ভাই শহীদুল ইসলামের জমি ভরাট করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আরও জানা গেছে, চান্দুলিয়া গ্রামের মন্টু ও বহুরিয়া গ্রামের শাকিল এ খননযন্ত্র বসিয়ে বালু তুলছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, লৌহজং নদীর বহুরিয়া এলাকায় প্রতি বছর খননযন্ত্র বসিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীর দুই পাড় ও আশপাশের বাড়িঘর এবং ফসলি জমি ভাঙনের হুমকিতে থাকে। চলতি বছরও বর্ষার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে খননযন্ত্র বসানো হয়। ওই এলাকায় নদীর ওপর প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পপতি নুরুল ইসলাম সেতুর কাছেই খননযন্ত্রটি বসানো হয়েছে। এতে সেতুটি ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুরিয়া ও দেওহাটা এলাকায় প্রায় ২৫টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটায় মাটির চাহিদা থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিনে ও রাতে নানা কায়দায় নদী থেকে বালু তুলে সেখানে সরবরাহ করেন। অনেকে নদীর তীরের মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন এবং মাটি কাটছেন। তাঁদের বাধা দিতে গেলে, নানাভাবে হুমকির শিকার হতে হয়। স্থানীয় প্রশাসন এঁদের বিরুদ্ধে অনেক সময় ব্যবস্থা নিলেও, কয়েক দিন পরই আবার আগের মতোই বালু তোলা চলতে থাকে।

জানতে চাইলে বালু উত্তোলনকারী শাকিল বলেন, স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে মৌখিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, কে বা কারা নদী থেকে বালু তুলছেন, তা তিনি জানেন না। তাই এ বিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই।

উপজেলা সহকারী কমিশানর (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার বিষয়ে আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালাই এবং জেল-জরিমানার আদেশ দিই। তবে বহুরিয়া এলাকায় নদী থেকে বালু তোলার বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত