আজাদুল আদনান, ঢাকা
প্রায় দেড় বছর পর ছেলে-মেয়েরা ক্লাসে ফেরায় স্বস্তি এসেছিল অভিভাবকদের মনে। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের হানায় ফের তালা পড়েছে স্কুলে। আগের মতোই ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। করোনায় বদলে যাওয়া জীবনযাপনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোরেরা। দীর্ঘ সময় ঘরে বসে থাকা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসায় স্থূলতা বেড়েছে তাদের মধ্যে।
শিশুদের অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য রীতিমতো ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনিতে দেশের শহরাঞ্চলে শিশুদের শারীরিক অনুশীলনের ব্যবস্থা নেই। যতটুকু নড়াচড়া ছিল, তা-ও হতো স্কুলে আসা-যাওয়াকে ঘিরে। কিন্তু স্কুল বন্ধের পর ঘরবন্দী হয়ে পড়ায় সে সুযোগ আর নেই। এ অবস্থায় শিশুসন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি গার্লস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুহা। নয় বছর বয়সী এই শিশুর ওজন ৪৭ কেজি। স্কুল চলাকালে কিছুটা খেলাধুলার সুযোগ পেলেও করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দী থাকায় এখন মোবাইল, খাওয়া-দাওয়া আর ঘুমেই বেশির ভাগ সময় কাটে তার। মেয়ের এমন অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বাবা-মা।
বরিশালের বাসিন্দা ইমরান হোসেনের মেয়ে তাসরিফা আলিফা। চার বছর বয়সী এই শিশুর ওজন ২৮ কেজি। আলিফার উচ্চতা তিন ফুট চার ইঞ্চি। সে অনুযায়ী ওজন যা হওয়ার কথা তার চেয়ে ১১ কেজি বেশি ওজন আলিফার।
শুধু নুহা বা আলিফা নয়, তাদের মতো স্থূলতার শিকার এই বয়সী অসংখ্য শিশু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এমনিতেই বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি একটু বেশি। করোনায় সেটি আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর নতুন করে তিন থেকে চার শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার শিকার হচ্ছে।
এই চিকিৎসক আরো বলেন, শুধু শিশুরাই নয়, করোনায় সব বয়সী মানুষেরই ওজন বাড়ছে। এজন্য এখনই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ওজন ও স্থূলতা বাড়লে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যে হারে শহরাঞ্চল বাড়ছে তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাবে।
করোনার আগে ২০১৩ সালে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। সেই সময়ে বলা হয়, শহরে ১০ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজনে ও চার শতাংশ ভুগছে স্থূলতায়। আর কেবল ঢাকাতেই এই হার ১৪ ও সাত শতাংশ। সম্প্রতি নতুন করে গবেষণা না হলেও অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের ২০১৭ সালের করা গবেষণায় বলা হয়, গত চার দশকে বিশ্বজুড়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্থূলতার হার বেড়েছে ১০ গুণ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি শিশু-কিশোরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের শিশুরোগ ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. বেদৌরা জাবীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যেখানে পুষ্টিহীনতার সঙ্গে লড়াই করছি সেখানে হঠাৎ করেই শিশুদের অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা বেড়ে যাচ্ছে। ঢাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ২৫ থেকে ৪০ ভাগই স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনে ভুগছে। করোনায় ঘরবন্দী হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।’
প্রায় দেড় বছর পর ছেলে-মেয়েরা ক্লাসে ফেরায় স্বস্তি এসেছিল অভিভাবকদের মনে। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের হানায় ফের তালা পড়েছে স্কুলে। আগের মতোই ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। করোনায় বদলে যাওয়া জীবনযাপনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোরেরা। দীর্ঘ সময় ঘরে বসে থাকা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসায় স্থূলতা বেড়েছে তাদের মধ্যে।
শিশুদের অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য রীতিমতো ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনিতে দেশের শহরাঞ্চলে শিশুদের শারীরিক অনুশীলনের ব্যবস্থা নেই। যতটুকু নড়াচড়া ছিল, তা-ও হতো স্কুলে আসা-যাওয়াকে ঘিরে। কিন্তু স্কুল বন্ধের পর ঘরবন্দী হয়ে পড়ায় সে সুযোগ আর নেই। এ অবস্থায় শিশুসন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি গার্লস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুহা। নয় বছর বয়সী এই শিশুর ওজন ৪৭ কেজি। স্কুল চলাকালে কিছুটা খেলাধুলার সুযোগ পেলেও করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দী থাকায় এখন মোবাইল, খাওয়া-দাওয়া আর ঘুমেই বেশির ভাগ সময় কাটে তার। মেয়ের এমন অবস্থা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বাবা-মা।
বরিশালের বাসিন্দা ইমরান হোসেনের মেয়ে তাসরিফা আলিফা। চার বছর বয়সী এই শিশুর ওজন ২৮ কেজি। আলিফার উচ্চতা তিন ফুট চার ইঞ্চি। সে অনুযায়ী ওজন যা হওয়ার কথা তার চেয়ে ১১ কেজি বেশি ওজন আলিফার।
শুধু নুহা বা আলিফা নয়, তাদের মতো স্থূলতার শিকার এই বয়সী অসংখ্য শিশু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এমনিতেই বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি একটু বেশি। করোনায় সেটি আরও বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর নতুন করে তিন থেকে চার শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার শিকার হচ্ছে।
এই চিকিৎসক আরো বলেন, শুধু শিশুরাই নয়, করোনায় সব বয়সী মানুষেরই ওজন বাড়ছে। এজন্য এখনই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ওজন ও স্থূলতা বাড়লে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যে হারে শহরাঞ্চল বাড়ছে তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাবে।
করোনার আগে ২০১৩ সালে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। সেই সময়ে বলা হয়, শহরে ১০ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত ওজনে ও চার শতাংশ ভুগছে স্থূলতায়। আর কেবল ঢাকাতেই এই হার ১৪ ও সাত শতাংশ। সম্প্রতি নতুন করে গবেষণা না হলেও অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের ২০১৭ সালের করা গবেষণায় বলা হয়, গত চার দশকে বিশ্বজুড়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্থূলতার হার বেড়েছে ১০ গুণ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি শিশু-কিশোরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের শিশুরোগ ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. বেদৌরা জাবীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যেখানে পুষ্টিহীনতার সঙ্গে লড়াই করছি সেখানে হঠাৎ করেই শিশুদের অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা বেড়ে যাচ্ছে। ঢাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ২৫ থেকে ৪০ ভাগই স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনে ভুগছে। করোনায় ঘরবন্দী হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪