ঘুমানোর আগে ৫ শিষ্টাচার

আবদুল আযীয কাসেমি
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৪৩
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫: ০২

ঘুম আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য অনেক বড় একটি নেয়ামত। ঘুমের মাধ্যমেই পুরো দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীরে ফুরফুরে ভাব তৈরি হয়। রাতের ঘুম পরের দিন কাজে শক্তি জোগায়। রাতের প্রশান্তিময় ঘুম পুরো দিন উদ্যমের সঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করে। ঘুমের প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর সময় হলো রাত। রাতকেই আল্লাহ তাআলা ঘুমের জন্য নির্বাচন করেছেন। রাতের প্রকৃতি শান্ত ও নীরব। তবে ঘুমানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি শিষ্টাচার রয়েছে। যথা—

এক. আগুন নিভিয়ে ঘুমানো। যেমন, চুলায় যদি আগুন থাকে তাহলে তা নিভিয়ে ঘুমানো। কয়েল জ্বালানো থাকলে সতর্কতার সঙ্গে তা জ্বালানো। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, একবার রাতে মদিনায় একটি পরিবারের সবাই আগুনে পুড়ে মারা গেল। মহানবী (সা.) তাদের আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এই আগুন হলো তোমাদের শত্রু। সুতরাং তোমরা যখন ঘুমাতে যাবে, আগুন নিভিয়ে ঘুমাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) দুই. খাবারের পাত্রগুলো ঢেকে রাখা। তিন. পানপাত্রগুলো বন্ধ করে রাখা। যেমন জগ ইত্যাদিতে ঢাকনা লাগিয়ে রাখা। চার. বাতি নিভিয়ে দেওয়া। পাঁচ. ঘরের দরজা বন্ধ করা।

এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা শোয়ার সময় পাত্রগুলো ঢেকে রাখবে, মশকগুলোর মুখ বন্ধ রাখবে, দরজা বন্ধ করবে এবং বাতি নিভিয়ে দেবে। কারণ শয়তান মশকের (বন্ধ) মুখ খুলতে পারে না, বন্ধ দরজা খুলতে পারে না এবং আবৃত পাত্রও অনাবৃত করতে পারে না। যদি তোমাদের কেউ পাত্রের ওপর রাখার জন্য কাঠি ছাড়া অন্য কিছু না পায়, তবে সে যেন তাই রাখে এবং এর সঙ্গে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। কেননা দুষ্টু ইঁদুর বাড়িওয়ালাদের বাড়ি দ্রুত জ্বালিয়ে দেয়।’ (মুসলিম)

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত