Ajker Patrika

নড়বড়ে সাঁকো ই ভরসা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৩০
নড়বড়ে সাঁকো ই ভরসা

জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে শুরু হয় নেতা-কর্মীদের আনাগোনা। সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। পরে আর দেখা মেলে না তাঁদের। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার ঘাঘট নদের ওপর নড়বড়ে কাঠের সাঁকোর চিত্র এটি।

জানা যায়, নলডাঙ্গা ও রসুলপুর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘটের শ্রীরামপুরের কাটা নদীর মুখস্থানে একসময় ডিঙি নৌকায় মানুষ পারাপার হতেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছিলেন শত শত মানুষ। ভোগান্তি নিরসনে এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় কাঠের সাঁকো। দুই বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটি এখন নড়বড়ে অবস্থা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ।

ঘাঘটের পশ্চিম এলাকার রহমতপুর, তেঁতুলিয়া ফরিদপুর, পদ্মপুকুর, রসুলপুর ও ছান্দিয়াপুর এবং পূর্ব এলাকার বামনডঙ্গা, সাহবাজ, নলডাঙ্গা, খামার দশলিয়া ও মিয়ার বাজারের মানুষ ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেন। এরই মধ্যে সাঁকোটির বাঁশ-কাঠ নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও উভয় পাড়ের মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে ছুটে চলেছে এপার থেকে ওপারে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদেরও একমাত্র ভরসা ওই সাঁকো। বর্তমানে ভাঙাচোরা এই সাঁকো দিয়ে চলতে গিয়ে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা।

রসুলপুর গ্রামের পথচারী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে নলডাঙ্গা বন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে ছুটতে হয় এই ভাঙা সাঁকোর ওপর দিয়ে। এখানে সেতু নির্মাণ করা হবে, যুগ যুগ ধরে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি সেই প্রতিশ্রুতির। এ স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ঘাঘটের কাটা নদীর মুখস্থানে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকা দিয়ে দুই বছর আগে নির্মাণ করা হয় বাঁশ-কাঠের সাঁকো। সেটি এখন নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কারের অর্থ জোগানে মাইকিং করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন, ইতিমধ্যে ঘাঘটের কাটা নদী মুখস্থানটি পরিদর্শক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত