লক্ষ্মীপুর ও হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মাছের চাষসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, মেঘনার জোয়ারে গত বুধবার বিকেলে জেলার রামগতি ও কমলনগরের লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ভাটায় পানি কিছুটা কমলেও জোয়ারে আবার লোকালয় প্লাবিত হয়। গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এই অবস্থা দেখা গেছে। গত তিন দিনে এভাবে চার-পাঁচ ফুট পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ।
কমলনগর উপজেলার কালকিনি, সাহেবের হাট, পাটওয়ারীর হাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেন্স ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার আলেক্সান্ডার, বড়খেড়ি, চরগাজী, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে নদীতে পানি বেড়েছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে। অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির তোড়ে ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ না থাকায় জোয়ারে সহজেই লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি হচ্ছে। নদীর তীরের বাড়িতে পানি উঠে গেছে। ঘের ও অনেক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, ‘উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়খেরি, চরগাজী, চর আলেক্সান্ডারসহ কয়েকটি ইউনিয়ন জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়েছে। তবে বিকেলের দিকে পানি নেমে যায়।’
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আবার ভাটার সময় পানি নেমে যায়। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এদিকে হাতিয়া প্রতিনিধি জানান, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টায় জোয়ার আসে এবং বেলা ৩টায় ভাটা শুরু হয়। আবার রাত ১০টায় জোয়ার শুরু হয়ে রাত ৩টায় পানি নামে যায়। এতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও বাজার প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করা লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নলচিরা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইউনুছ বলেন, ‘ইউনিয়নের তুপানিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা দুই শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। নলচিরা ঘাট এলাকায় অনেকের দোকানে পানি উঠে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।’
নিঝুম দ্বীপে কর্মরত দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী নুর নবী জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে অস্বাভাবিক জোয়ার শুরু হলে নিঝুম দ্বীপের প্রতিটি ওয়ার্ডে পানি ঢুকে পড়ে। প্রধান সড়কটি তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই সড়কে কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কার্যত যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’
নিঝুম দ্বীপে জোয়ারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা। কিছুদিন আগে লাগানো এই বীজতলা চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানের চারা।
নিঝুম দ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, ‘নিঝুম দ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটি সাগরের একবারে কাছে হলেও কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে জোয়ারে চারদিক থেকে এ ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।’
মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মাছের চাষসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, মেঘনার জোয়ারে গত বুধবার বিকেলে জেলার রামগতি ও কমলনগরের লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ভাটায় পানি কিছুটা কমলেও জোয়ারে আবার লোকালয় প্লাবিত হয়। গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এই অবস্থা দেখা গেছে। গত তিন দিনে এভাবে চার-পাঁচ ফুট পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ।
কমলনগর উপজেলার কালকিনি, সাহেবের হাট, পাটওয়ারীর হাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেন্স ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার আলেক্সান্ডার, বড়খেড়ি, চরগাজী, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে নদীতে পানি বেড়েছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে। অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির তোড়ে ভাঙন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ না থাকায় জোয়ারে সহজেই লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি হচ্ছে। নদীর তীরের বাড়িতে পানি উঠে গেছে। ঘের ও অনেক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, ‘উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়খেরি, চরগাজী, চর আলেক্সান্ডারসহ কয়েকটি ইউনিয়ন জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়েছে। তবে বিকেলের দিকে পানি নেমে যায়।’
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আবার ভাটার সময় পানি নেমে যায়। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এদিকে হাতিয়া প্রতিনিধি জানান, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টায় জোয়ার আসে এবং বেলা ৩টায় ভাটা শুরু হয়। আবার রাত ১০টায় জোয়ার শুরু হয়ে রাত ৩টায় পানি নামে যায়। এতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও বাজার প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করা লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নলচিরা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইউনুছ বলেন, ‘ইউনিয়নের তুপানিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা দুই শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। নলচিরা ঘাট এলাকায় অনেকের দোকানে পানি উঠে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।’
নিঝুম দ্বীপে কর্মরত দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী নুর নবী জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে অস্বাভাবিক জোয়ার শুরু হলে নিঝুম দ্বীপের প্রতিটি ওয়ার্ডে পানি ঢুকে পড়ে। প্রধান সড়কটি তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই সড়কে কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কার্যত যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।’
নিঝুম দ্বীপে জোয়ারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা। কিছুদিন আগে লাগানো এই বীজতলা চার-পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানের চারা।
নিঝুম দ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, ‘নিঝুম দ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটি সাগরের একবারে কাছে হলেও কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে জোয়ারে চারদিক থেকে এ ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে