শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
কারাগারে প্রত্যেক বন্দীর দুপুরের খাবারে ভাত, ডাল, মাছ বা মাংসের সঙ্গে সবজি পাওয়ার কথা। কিন্তু দেশের কারাগারগুলোতে দুপুরে ভাত, ডাল, মাছ বা মাংস দিলেও সবজি দেওয়া হয় না। আবার যে মানের ভাত দেওয়া হয়, তা বন্দীদের মুখে রোচে না। নাশকতার মামলায় দুই মাস ঢাকা (কেরানীগঞ্জ) কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কর্মী রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে দুপুরের খাবারে সবজি পাইনি। কারাগারের ক্যানটিন থেকে ৪০ টাকা করে সবজি কিনে খেয়েছি।’
বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে শাহবাগ থানার এক মামলায় হাজতে পাঠানো হয়েছিল হাজারীবাগের আলতাফ আলীকে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৫ দিন আগে তিনি জামিনে বেরিয়েছেন। কারাগারের খাবারের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দিন দিন চালের মান আরও খারাপ হচ্ছে মনে হয়। এক বছর আগে যখন কারাগারে ছিলাম, তখনো ভাত খেতে পেরেছি। এবার আর মুখে তুলতে পারিনি। তবে সে তুলনায় ক্যানটিনের ভাত ভালো। অবশ্য সেখানে দামও অনেক বেশি।’
এভাবে নিম্নমানের চাল কিনে আর খাদ্যতালিকা থেকে সবজি বাদ দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা নয়ছয় করেছে বলে সরকারি নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য বরাদ্দ সিগারেট কেনার টাকা আত্মসাৎ করারও তথ্য মিলেছে। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীনে থাকা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন ১৪টি অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে নির্ধারিত দরে সিগারেট কেনা হয়। কিন্তু বছরের মাঝপথে সিগারেট সংকটের অজুহাত দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে দাম বেশি নিয়ে কারা কর্মকর্তারা বাড়তি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া বন্দীদের খাবারে যে পরিমাণ মাছ-মাংস দেওয়ার কথা, তার চেয়ে কম দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিট রিপোর্টটি আমার সামনে নেই। থাকলে বলতে সুবিধা হতো। তবে দুই বছর আগে সবজি আর সিগারেট নিয়ে কী হয়েছে, সেটা এখন আমার জায়গায় থেকে বলা কিছুটা কঠিন।’ বর্তমানে খাদ্যতালিকায় সবজি থাকে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবজি না থাকলেও সবজিজাতীয় কিছু দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে সকালের নাশতা সব সময় ঠিকঠাক থাকে।’ জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন কারা অধিদপ্তরের চারটি প্রধান কারাগারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের হিসাব-সম্পর্কিত আর্থিক কার্যক্রমের ওপর এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে সরকারি সম্পদ ও অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার আছে। কারা সদর দপ্তর, ৮টি বিভাগীয় কারা দপ্তর এবং ৬৮টি কারাগার নিয়ে কারা অধিদপ্তর। কারাগারগুলোতে সব সময় কমবেশি ৭০-৭৫ হাজার বন্দী থাকেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের প্রতিদিন তিন বেলা খাবারে কয়েদিপ্রতি ৫৯ টাকা ৩৪ পয়সা এবং হাজতিপ্রতি ৫৪ টাকা ৬৬ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১-২, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের দুপুরের খাবারে সবজি দেওয়া হয় না। খাবারের তালিকা থেকে সবজি সরিয়ে রেখে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন কর্মকর্তারা। তবে এই খাতে কত টাকা সরানো হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ৯ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৭ টাকার চাল কেনে। ওই চাল ভাঙা, দুর্গন্ধযুক্ত ও অত্যন্ত নিম্নমানের। ওই চাল কেনায় দামের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি কারা অধিদপ্তরের নজরে আনা হলে পরবর্তী সময়ে খারাপ চাল বাদ দিয়ে ভালো চাল কেনা হয়।
ফাঁসির আসামিদের জন্য সিগারেট কেনা নিয়ে ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৮ টাকা নয়ছয় করার তথ্য পেয়েছে অডিট অধিদপ্তর। কারাগারগুলোর ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিল-ভাউচার, টিসিবির বাজারদর, টেন্ডার ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে অধিদপ্তর এই অনিয়ম পেয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ প্রতিটি ৪ দশমিক ৮৮ টাকা দরে সিগারেট সরবরাহ করে ফাঁসির আসামিদের জন্য। কিন্তু অর্থবছরের মাঝামাঝি সিগারেট সংকটের অজুহাতে হঠাৎ প্রতিটি সিগারেট ৬ দশমিক ৬ ও ৬ দশমিক ৭ টাকা দরে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করে কারা কর্তৃপক্ষ। এভাবে ছয় মাসে ২৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়, যা মূলত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালিকায় একই খাবার থাকায় খাবার নষ্ট হয়, ফলজাতীয় খাবার থাকে না। অন্যান্য অনিয়মের মধ্যে আছে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, সরকারি আদেশ যথাযথভাবে পালন না করা, ডেড স্টক রেজিস্টার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা, কারা ক্যানটিনের আয়ের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন একাধিক কারাগারের জেলার। তবে কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাঁরা বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে শুরু হওয়া খাবারের মেনু এখন আর কারাগারে নেই। এখন বাংলাদেশ সরকারের কারাবিধি অনুযায়ী বন্দীদের খাবার দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে বন্দীদের সঙ্গে আলোচনা করেও খাবার সরবরাহ করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবারের বাইরেও বন্দীরা চাইলে কারা ক্যানটিন থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন খাবার কিনে খেতে পারেন।
অনিয়ম প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষায়ই এমন অভিযোগ আসা মানে কারাগারে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। তবে শুধু অভিযোগ তুললেই হবে না, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা না গেলে এই দুর্নীতি কখনো বন্ধ হবে না। সরকারের উচ্চ মহলের উচিত বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’
কারাগারে প্রত্যেক বন্দীর দুপুরের খাবারে ভাত, ডাল, মাছ বা মাংসের সঙ্গে সবজি পাওয়ার কথা। কিন্তু দেশের কারাগারগুলোতে দুপুরে ভাত, ডাল, মাছ বা মাংস দিলেও সবজি দেওয়া হয় না। আবার যে মানের ভাত দেওয়া হয়, তা বন্দীদের মুখে রোচে না। নাশকতার মামলায় দুই মাস ঢাকা (কেরানীগঞ্জ) কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কর্মী রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে দুপুরের খাবারে সবজি পাইনি। কারাগারের ক্যানটিন থেকে ৪০ টাকা করে সবজি কিনে খেয়েছি।’
বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে শাহবাগ থানার এক মামলায় হাজতে পাঠানো হয়েছিল হাজারীবাগের আলতাফ আলীকে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৫ দিন আগে তিনি জামিনে বেরিয়েছেন। কারাগারের খাবারের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দিন দিন চালের মান আরও খারাপ হচ্ছে মনে হয়। এক বছর আগে যখন কারাগারে ছিলাম, তখনো ভাত খেতে পেরেছি। এবার আর মুখে তুলতে পারিনি। তবে সে তুলনায় ক্যানটিনের ভাত ভালো। অবশ্য সেখানে দামও অনেক বেশি।’
এভাবে নিম্নমানের চাল কিনে আর খাদ্যতালিকা থেকে সবজি বাদ দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা নয়ছয় করেছে বলে সরকারি নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য বরাদ্দ সিগারেট কেনার টাকা আত্মসাৎ করারও তথ্য মিলেছে। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীনে থাকা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন ১৪টি অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে নির্ধারিত দরে সিগারেট কেনা হয়। কিন্তু বছরের মাঝপথে সিগারেট সংকটের অজুহাত দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে দাম বেশি নিয়ে কারা কর্মকর্তারা বাড়তি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া বন্দীদের খাবারে যে পরিমাণ মাছ-মাংস দেওয়ার কথা, তার চেয়ে কম দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিট রিপোর্টটি আমার সামনে নেই। থাকলে বলতে সুবিধা হতো। তবে দুই বছর আগে সবজি আর সিগারেট নিয়ে কী হয়েছে, সেটা এখন আমার জায়গায় থেকে বলা কিছুটা কঠিন।’ বর্তমানে খাদ্যতালিকায় সবজি থাকে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবজি না থাকলেও সবজিজাতীয় কিছু দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে সকালের নাশতা সব সময় ঠিকঠাক থাকে।’ জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন কারা অধিদপ্তরের চারটি প্রধান কারাগারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের হিসাব-সম্পর্কিত আর্থিক কার্যক্রমের ওপর এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে সরকারি সম্পদ ও অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার আছে। কারা সদর দপ্তর, ৮টি বিভাগীয় কারা দপ্তর এবং ৬৮টি কারাগার নিয়ে কারা অধিদপ্তর। কারাগারগুলোতে সব সময় কমবেশি ৭০-৭৫ হাজার বন্দী থাকেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের প্রতিদিন তিন বেলা খাবারে কয়েদিপ্রতি ৫৯ টাকা ৩৪ পয়সা এবং হাজতিপ্রতি ৫৪ টাকা ৬৬ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১-২, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের দুপুরের খাবারে সবজি দেওয়া হয় না। খাবারের তালিকা থেকে সবজি সরিয়ে রেখে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন কর্মকর্তারা। তবে এই খাতে কত টাকা সরানো হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ৯ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৭ টাকার চাল কেনে। ওই চাল ভাঙা, দুর্গন্ধযুক্ত ও অত্যন্ত নিম্নমানের। ওই চাল কেনায় দামের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি কারা অধিদপ্তরের নজরে আনা হলে পরবর্তী সময়ে খারাপ চাল বাদ দিয়ে ভালো চাল কেনা হয়।
ফাঁসির আসামিদের জন্য সিগারেট কেনা নিয়ে ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৮ টাকা নয়ছয় করার তথ্য পেয়েছে অডিট অধিদপ্তর। কারাগারগুলোর ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিল-ভাউচার, টিসিবির বাজারদর, টেন্ডার ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে অধিদপ্তর এই অনিয়ম পেয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ প্রতিটি ৪ দশমিক ৮৮ টাকা দরে সিগারেট সরবরাহ করে ফাঁসির আসামিদের জন্য। কিন্তু অর্থবছরের মাঝামাঝি সিগারেট সংকটের অজুহাতে হঠাৎ প্রতিটি সিগারেট ৬ দশমিক ৬ ও ৬ দশমিক ৭ টাকা দরে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করে কারা কর্তৃপক্ষ। এভাবে ছয় মাসে ২৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়, যা মূলত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালিকায় একই খাবার থাকায় খাবার নষ্ট হয়, ফলজাতীয় খাবার থাকে না। অন্যান্য অনিয়মের মধ্যে আছে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, সরকারি আদেশ যথাযথভাবে পালন না করা, ডেড স্টক রেজিস্টার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা, কারা ক্যানটিনের আয়ের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া ইত্যাদি।
এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন একাধিক কারাগারের জেলার। তবে কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাঁরা বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে শুরু হওয়া খাবারের মেনু এখন আর কারাগারে নেই। এখন বাংলাদেশ সরকারের কারাবিধি অনুযায়ী বন্দীদের খাবার দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে বন্দীদের সঙ্গে আলোচনা করেও খাবার সরবরাহ করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবারের বাইরেও বন্দীরা চাইলে কারা ক্যানটিন থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন খাবার কিনে খেতে পারেন।
অনিয়ম প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষায়ই এমন অভিযোগ আসা মানে কারাগারে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। তবে শুধু অভিযোগ তুললেই হবে না, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা না গেলে এই দুর্নীতি কখনো বন্ধ হবে না। সরকারের উচ্চ মহলের উচিত বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে