আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ডিজেলের উচ্চ মূল্য, সারে ভেজাল মেশানো ও খরায় চলতি রোপা আমনের উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষিবিশেষজ্ঞরা। খরার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ রোপা আমন কম উৎপাদন হবে বলে জানা গেছে। কৃষি অধিদপ্তরের এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ লাখ ২০ হাজার হেক্টর। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে বলে দাবি কৃষি অধিদপ্তরের।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুম বৃষ্টিনির্ভর হলেও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খরায় আমন চাষাবাদ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে চলতি বছরে আমন উৎপাদন অনেক কম হতে পারে।
কৃষি অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান রোপণ সম্পন্ন হবে। এ সময়ের মধ্যে স্থানীয় জাত, নাভিজাতসহ আরও বেশি রোপা আমনের আবাদ হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির পানির বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক মোটর, শ্যালো মেশিন, বিএডিসি সেচ প্রকল্প, গভীর নলকূপ ও বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আমন রোপণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে বেশি বৃষ্টি হয়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে খুলনা অঞ্চলে যেখানে গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ৩৫৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল, সেখানে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০ মিলিমিটারের কম। এভাবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এ সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তার থেকে ৬০ ভাগ কম হয়েছে। ফলে আমন উৎপাদন জেলা রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে ভয়াবহ খরার কারণে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, বিশেষ করে খরার কারণে রোপা আমন কম হয়েছে। তাঁদের মতে, রোপা আমন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম হয়েছে।
ধান নিয়ে গবেষণা ও খরা নিয়ে কাজ করেন গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমন মৌসুমে বর্ষার ওপর নির্ভর করে চারা রোপণ করা হয়। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে অসময়ে ব্যাপক খরায় আমনের ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া ভেজাল সারের কারণে কৃষকেরা আবার প্রতারিত হচ্ছে। কিছু এলাকায় সেচের ব্যবস্থা থাকলেও ডিজেলের উচ্চ মূল্যের কারণে কৃষকদের তা সম্ভব হচ্ছে না। এতে আবার উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।
ময়মনসিংহ কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আশ্রাফ উদ্দীন বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে ৩ থেকে ৪ শতাংশ রোপা আমন লক্ষ্যমাত্রা কম অর্জিত হবে। তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৬ লাখ ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদার প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আবদুল বারী বলেন, এককথায় সারে ভেজাল মেশানোর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে।
চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, সারে ভেজাল করার কারণে কৃষকেরা প্রতারিত হবেন, পাশাপাশি উৎপাদন ব্যাহত হবে।
ডিজেলের উচ্চ মূল্য, সারে ভেজাল মেশানো ও খরায় চলতি রোপা আমনের উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষিবিশেষজ্ঞরা। খরার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ রোপা আমন কম উৎপাদন হবে বলে জানা গেছে। কৃষি অধিদপ্তরের এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ লাখ ২০ হাজার হেক্টর। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে বলে দাবি কৃষি অধিদপ্তরের।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুম বৃষ্টিনির্ভর হলেও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খরায় আমন চাষাবাদ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে চলতি বছরে আমন উৎপাদন অনেক কম হতে পারে।
কৃষি অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান রোপণ সম্পন্ন হবে। এ সময়ের মধ্যে স্থানীয় জাত, নাভিজাতসহ আরও বেশি রোপা আমনের আবাদ হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির পানির বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক মোটর, শ্যালো মেশিন, বিএডিসি সেচ প্রকল্প, গভীর নলকূপ ও বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আমন রোপণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে বেশি বৃষ্টি হয়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে খুলনা অঞ্চলে যেখানে গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ৩৫৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল, সেখানে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০০ মিলিমিটারের কম। এভাবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এ সময়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তার থেকে ৬০ ভাগ কম হয়েছে। ফলে আমন উৎপাদন জেলা রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে ভয়াবহ খরার কারণে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, বিশেষ করে খরার কারণে রোপা আমন কম হয়েছে। তাঁদের মতে, রোপা আমন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম হয়েছে।
ধান নিয়ে গবেষণা ও খরা নিয়ে কাজ করেন গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমন মৌসুমে বর্ষার ওপর নির্ভর করে চারা রোপণ করা হয়। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে অসময়ে ব্যাপক খরায় আমনের ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া ভেজাল সারের কারণে কৃষকেরা আবার প্রতারিত হচ্ছে। কিছু এলাকায় সেচের ব্যবস্থা থাকলেও ডিজেলের উচ্চ মূল্যের কারণে কৃষকদের তা সম্ভব হচ্ছে না। এতে আবার উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে।
ময়মনসিংহ কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আশ্রাফ উদ্দীন বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে ৩ থেকে ৪ শতাংশ রোপা আমন লক্ষ্যমাত্রা কম অর্জিত হবে। তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৬ লাখ ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদার প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আবদুল বারী বলেন, এককথায় সারে ভেজাল মেশানোর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে।
চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, সারে ভেজাল করার কারণে কৃষকেরা প্রতারিত হবেন, পাশাপাশি উৎপাদন ব্যাহত হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪