লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রায় দেড় লাখ মুসলমানের বসবাস, যা মোট জনসংখ্যার দশমিক ১ শতাংশ। আমেরিকা আবিষ্কারের প্রথম দিকেই পর্তুগিজ নাবিকেরা আফ্রিকান মুসলমানদের দাস হিসেবে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। ৫০০ বছরের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ইতিহাস পেরিয়ে বর্তমানে মুসলমানরা ব্রাজিলের অন্যতম অগ্রসর জাতিতে পরিণত হয়েছে। ব্রাজিলের মুসলমানদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেছেন মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন।
১৬ শতকের শুরুতে পর্তুগিজ নাবিক পেদ্রো আলভারেস কারব্যাল ব্রাজিল উপকূলে আসেন। তখন তাঁর সঙ্গে অনেক মুসলিম নাবিকও ছিলেন, যাঁদের হাত ধরে পরে ব্রাজিল ও আশপাশের দেশগুলোতে ইসলাম প্রচারিত হয়। সেই সব নাবিকের মধ্যে শিহাবুদ্দিন ইবনে মাজেদ ও মুসা ইবনে সাতি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। অন্যদিকে স্পেনে মুসলমানদের পতনের পর অনেক স্প্যানিশ মুসলমানও আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলে আশ্রয় নেন। সেই সব মুসলমানের অনেককেই পর্তুগিজ শাসকেরা নির্মমভাবে হত্যা করেন। ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ থেকে জানা যায়, ব্রাজিলে যেসব আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলিম রয়েছে, পর্তুগিজরা তাদের দাস হিসেবে ব্রাজিলে নিয়ে আসে। তারা পুরোপুরি মুসলিম ছিল এবং আরবি উচ্চারণে কোরআন তিলাওয়াত করত।
মুসলিম দাসদের মধ্যে যারা অন্যদের তুলনায় বয়স্ক ও শিক্ষিত ছিল, তারা অন্যদের ওয়াজ-নসিহত করতেন এবং কোরআন, ফিকহ, আকিদা ও শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি শিক্ষা দিতেন। ১৬০৫ সালে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় আলমিরস শহরে প্রায় ৩০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমান বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তরুণ মুসলিম নেতা জানজা জুম্বার নেতৃত্বে নিপীড়িতদের জন্য একটি আলাদা মুসলিম রাজ্য গঠন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা তাঁদের রাজ্য জানজা জুম্বার ভাই ও পুত্রদের মাধ্যমে টিকিয়ে রেখেছিলেন। প্রায় ১০০ বছর পর ১৬৯৪ সালে পর্তুগিজদের হাতে আলমিরসের পতন ঘটে এবং মুসলিমদের ওপর অন্ধকার নেমে আসে। বেশির ভাগ মুসলিমকে জোরপূর্বক খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। ১৮৮৮ সালে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রাজিলে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত ছিল।
উনিশ শতকের শেষ দিক থেকে ব্রাজিলের মুসলমানদের সুদিন আসতে শুরু করে। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, লেবাননের গৃহযুদ্ধ এবং অন্যান্য কারণে লেবানন, ফিলিস্তিন, মিসর ও সিরিয়া থেকে বিপুলসংখ্যক মুসলমান ব্রাজিল আসতে থাকে। এরপর ব্রাজিলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে আরব বিশ্বের দেশগুলোর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। চলতি শতাব্দী ও গত শতাব্দীতে ব্রাজিলে হিজরতকারী বেশির ভাগ মুসলমানই ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ব্রাজিলের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছেন মুসলিম ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য পেশার সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন কাজেও মুসলমানরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।
বর্তমানে ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই মসজিদ আছে। ব্রাজিলে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০। ২০০০ সালের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা এখন চার গুণ বেড়েছে। এ ছাড়া শিশুদের ইসলামি জ্ঞান শেখানোর জন্য রয়েছে মক্তব-মাদ্রাসা ও ইসলামিক স্কুল। সরকার থেকেও নিয়মিত পাচ্ছে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। রিও ডি জেনিরোয় রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, বেশ কয়েকটি বড় মসজিদ। সাওপাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি। ব্রাজিলের সাওপাওলো, রিও ডি জেনিরো ও রিগ্রেন্ডে দে সোল তুলনামূলক মুসলিম অধ্যুষিত শহর। এ ছাড়া পারানা শহরে রয়েছে আরব বংশোদ্ভূত উল্লেখযোগ্য মুসলিম সম্প্রদায়।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রায় দেড় লাখ মুসলমানের বসবাস, যা মোট জনসংখ্যার দশমিক ১ শতাংশ। আমেরিকা আবিষ্কারের প্রথম দিকেই পর্তুগিজ নাবিকেরা আফ্রিকান মুসলমানদের দাস হিসেবে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। ৫০০ বছরের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ইতিহাস পেরিয়ে বর্তমানে মুসলমানরা ব্রাজিলের অন্যতম অগ্রসর জাতিতে পরিণত হয়েছে। ব্রাজিলের মুসলমানদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেছেন মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন।
১৬ শতকের শুরুতে পর্তুগিজ নাবিক পেদ্রো আলভারেস কারব্যাল ব্রাজিল উপকূলে আসেন। তখন তাঁর সঙ্গে অনেক মুসলিম নাবিকও ছিলেন, যাঁদের হাত ধরে পরে ব্রাজিল ও আশপাশের দেশগুলোতে ইসলাম প্রচারিত হয়। সেই সব নাবিকের মধ্যে শিহাবুদ্দিন ইবনে মাজেদ ও মুসা ইবনে সাতি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। অন্যদিকে স্পেনে মুসলমানদের পতনের পর অনেক স্প্যানিশ মুসলমানও আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলে আশ্রয় নেন। সেই সব মুসলমানের অনেককেই পর্তুগিজ শাসকেরা নির্মমভাবে হত্যা করেন। ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ থেকে জানা যায়, ব্রাজিলে যেসব আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলিম রয়েছে, পর্তুগিজরা তাদের দাস হিসেবে ব্রাজিলে নিয়ে আসে। তারা পুরোপুরি মুসলিম ছিল এবং আরবি উচ্চারণে কোরআন তিলাওয়াত করত।
মুসলিম দাসদের মধ্যে যারা অন্যদের তুলনায় বয়স্ক ও শিক্ষিত ছিল, তারা অন্যদের ওয়াজ-নসিহত করতেন এবং কোরআন, ফিকহ, আকিদা ও শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি শিক্ষা দিতেন। ১৬০৫ সালে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় আলমিরস শহরে প্রায় ৩০ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমান বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তরুণ মুসলিম নেতা জানজা জুম্বার নেতৃত্বে নিপীড়িতদের জন্য একটি আলাদা মুসলিম রাজ্য গঠন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা তাঁদের রাজ্য জানজা জুম্বার ভাই ও পুত্রদের মাধ্যমে টিকিয়ে রেখেছিলেন। প্রায় ১০০ বছর পর ১৬৯৪ সালে পর্তুগিজদের হাতে আলমিরসের পতন ঘটে এবং মুসলিমদের ওপর অন্ধকার নেমে আসে। বেশির ভাগ মুসলিমকে জোরপূর্বক খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। ১৮৮৮ সালে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রাজিলে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত ছিল।
উনিশ শতকের শেষ দিক থেকে ব্রাজিলের মুসলমানদের সুদিন আসতে শুরু করে। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, লেবাননের গৃহযুদ্ধ এবং অন্যান্য কারণে লেবানন, ফিলিস্তিন, মিসর ও সিরিয়া থেকে বিপুলসংখ্যক মুসলমান ব্রাজিল আসতে থাকে। এরপর ব্রাজিলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে আরব বিশ্বের দেশগুলোর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। চলতি শতাব্দী ও গত শতাব্দীতে ব্রাজিলে হিজরতকারী বেশির ভাগ মুসলমানই ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ব্রাজিলের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছেন মুসলিম ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য পেশার সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন কাজেও মুসলমানরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।
বর্তমানে ব্রাজিলের প্রতিটি শহরেই মসজিদ আছে। ব্রাজিলে মসজিদের সংখ্যা প্রায় ১৩০। ২০০০ সালের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা এখন চার গুণ বেড়েছে। এ ছাড়া শিশুদের ইসলামি জ্ঞান শেখানোর জন্য রয়েছে মক্তব-মাদ্রাসা ও ইসলামিক স্কুল। সরকার থেকেও নিয়মিত পাচ্ছে সহযোগিতা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। রিও ডি জেনিরোয় রয়েছে বৃহৎ ইসলামিক সেন্টার, ইসলামিক স্কুল, বেশ কয়েকটি বড় মসজিদ। সাওপাওলোতেও রয়েছে বিশাল মুসলিম কমিউনিটি। ব্রাজিলের সাওপাওলো, রিও ডি জেনিরো ও রিগ্রেন্ডে দে সোল তুলনামূলক মুসলিম অধ্যুষিত শহর। এ ছাড়া পারানা শহরে রয়েছে আরব বংশোদ্ভূত উল্লেখযোগ্য মুসলিম সম্প্রদায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪