সম্পাদকীয়
লাইন দিচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাকের পেছনে। কিন্তু সবাই এই সুযোগ নিতে পারে না। টিসিবির সরবরাহ সীমিত। মানুষের গড় আয় বাড়ার গল্প আর মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দামে নাভিশ্বাস উঠেছে লাখ লাখ মানুষের।
জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ব্যবস্থা বাস্তবে আমাদের দেশে নেই। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সরকারের থাকে না—এই অজুহাতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা বা খামখেয়ালিপনা দেখেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর খেয়ালখুশির ওপর চলছে আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনা। তাঁরা যখন খুশি তখনই কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেদার মুনাফা লোটেন।
কারসাজি করেই সাধারণভাবে বাজারে দাম বাড়ানোর ঘটনাটি ঘটে বলে মনে করা হয়। প্রশ্ন হলো, কারা করে কারসাজি? উৎপাদকেরা কারসাজি করেন না। কৃষিজাত পণ্যের দাম নির্ধারণে উৎপাদক কৃষকদের কি কোনো হাত থাকে? তাঁরা তো ফসলের ন্যায্য দাম থেকে যুগের পর যুগ ধরেই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। কৃষক তো অনেক সময় উৎপাদিত ফসলের দাম উৎপাদন খরচের থেকেও কম পান। ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমাদের কৃষকদের ভাগ্যের তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু যাঁরা ব্যবসায়ী, যাঁরা মধ্যস্বত্বভোগী তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বা নির্ধারণ করে নিজেদের ভাগ্য ঠিকই পরিবর্তন করেন। ব্যবসার সঙ্গে মুনাফার সরাসরি সম্পর্ক। লাভের আশায়ই ব্যবসা করা হয়। লোকসান গোনার জন্য কেউ ব্যবসা করেন না।
এখানেও প্রশ্ন, মুনাফা কি খুশিমতো করা যায়? না, কোনো কিছুই খুশিমতো করা যায় না। সব মানুষ যদি সব কাজ নিজের খুশিমতো করতে চান, তাহলে তো অরাজক অবস্থা তৈরি হবে। কোনো ক্ষেত্রে যাতে অরাজকতা তৈরি না হয়, সেটা দেখার জন্যই তো রাষ্ট্র তথা সরকারব্যবস্থা। একশ্রেণির ব্যবসায়ী কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করলেও সরকার কেন শক্ত অবস্থান নিতে পারে না? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই এটা বলে থাকেন যে দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেলেই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অসমর্থ হয়। বর্তমানে জাতীয় সংসদের ৬২ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। খাদ্যমন্ত্রী একজন চালকল মালিক। তো, এখন যদি মনে করেন, এই ব্যক্তিরা তাঁদের পক্ষের ব্যক্তিদের স্বার্থ না দেখে সাধারণ ক্রেতাদের স্বার্থ দেখবেন, তাহলে সেটা একটু বেশি সরল আশা হয়ে যাবে। দেশে বাজার নিয়ে কারসাজির পরিমাণ যে আগের তুলনায় বেড়েছে, তার পেছনে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণভার পরিবর্তনের বিষয়টি একেবারে উপেক্ষা করার মতো নয় বলেই মনে হয়।
লাইন দিচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাকের পেছনে। কিন্তু সবাই এই সুযোগ নিতে পারে না। টিসিবির সরবরাহ সীমিত। মানুষের গড় আয় বাড়ার গল্প আর মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দামে নাভিশ্বাস উঠেছে লাখ লাখ মানুষের।
জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ব্যবস্থা বাস্তবে আমাদের দেশে নেই। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সরকারের থাকে না—এই অজুহাতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা বা খামখেয়ালিপনা দেখেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর খেয়ালখুশির ওপর চলছে আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনা। তাঁরা যখন খুশি তখনই কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেদার মুনাফা লোটেন।
কারসাজি করেই সাধারণভাবে বাজারে দাম বাড়ানোর ঘটনাটি ঘটে বলে মনে করা হয়। প্রশ্ন হলো, কারা করে কারসাজি? উৎপাদকেরা কারসাজি করেন না। কৃষিজাত পণ্যের দাম নির্ধারণে উৎপাদক কৃষকদের কি কোনো হাত থাকে? তাঁরা তো ফসলের ন্যায্য দাম থেকে যুগের পর যুগ ধরেই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। কৃষক তো অনেক সময় উৎপাদিত ফসলের দাম উৎপাদন খরচের থেকেও কম পান। ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমাদের কৃষকদের ভাগ্যের তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু যাঁরা ব্যবসায়ী, যাঁরা মধ্যস্বত্বভোগী তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বা নির্ধারণ করে নিজেদের ভাগ্য ঠিকই পরিবর্তন করেন। ব্যবসার সঙ্গে মুনাফার সরাসরি সম্পর্ক। লাভের আশায়ই ব্যবসা করা হয়। লোকসান গোনার জন্য কেউ ব্যবসা করেন না।
এখানেও প্রশ্ন, মুনাফা কি খুশিমতো করা যায়? না, কোনো কিছুই খুশিমতো করা যায় না। সব মানুষ যদি সব কাজ নিজের খুশিমতো করতে চান, তাহলে তো অরাজক অবস্থা তৈরি হবে। কোনো ক্ষেত্রে যাতে অরাজকতা তৈরি না হয়, সেটা দেখার জন্যই তো রাষ্ট্র তথা সরকারব্যবস্থা। একশ্রেণির ব্যবসায়ী কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করলেও সরকার কেন শক্ত অবস্থান নিতে পারে না? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই এটা বলে থাকেন যে দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেলেই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অসমর্থ হয়। বর্তমানে জাতীয় সংসদের ৬২ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। খাদ্যমন্ত্রী একজন চালকল মালিক। তো, এখন যদি মনে করেন, এই ব্যক্তিরা তাঁদের পক্ষের ব্যক্তিদের স্বার্থ না দেখে সাধারণ ক্রেতাদের স্বার্থ দেখবেন, তাহলে সেটা একটু বেশি সরল আশা হয়ে যাবে। দেশে বাজার নিয়ে কারসাজির পরিমাণ যে আগের তুলনায় বেড়েছে, তার পেছনে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণভার পরিবর্তনের বিষয়টি একেবারে উপেক্ষা করার মতো নয় বলেই মনে হয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে