যৌক্তিক সময়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব: জামায়াতের আমির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯: ২৫
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০: ৫৮

বৈষম্য এখনো দূর হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাময়িক একটা স্বস্তি এসেছে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এই বাংলাদেশ পাল্টাবে, কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ছোটখাটো সমস্ত বৈষম্য দূর করা হবে, ইনশা আল্লাহ।’ গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলার ষাণ্মাসিক রুকন
 সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি হোটেলে দলীয় সমাবেশে অংশ নেন শফিকুর রহমান। সেখানে তিনি নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেই যৌক্তিক সময় যখন হবে, হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব, দেরি করব না।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আবেগের বশে অন্তর্বর্তী সরকার যেন জাতির প্রত্যাশার বাইরে কাজ না করে। জাতির চেতনাকে তাদের ধারণ করতে হবে। ’২৪-এর বিপ্লবের চেতনাকে তারা যেন সম্মান করে—আমরা তাদের কাছে সেটুকুই আশা করি। তবে আবেগবশত দু-একটা কাজ হয়ে যাচ্ছে। এটা হওয়া উচিত নয়।’

ভারতনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ভারতের ব্যাপারে আলাদা করে বলার কিছু নেই। ভারত যেমন একটি দেশ, আমরাও একটি দেশ। ভারত ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী আছে এবং বিশ্বসভায় আরও অনেক দেশ আছে। বিশ্বসভার সমস্ত সদস্য মিলেমিশে পারস্পরিক মর্যাদা ও সমতার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেব।’

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার শেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে হবে। গতকাল দুপুরে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্র সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে। গতকাল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে নজমিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ সময় তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের সময় দেশসেরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথিত ফাঁসির রায় দেওয়ার দিন সারা দেশে যখন প্রতিবাদ শুরু হয়, তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। সেটা ছিল দ্বিতীয় গণহত্যা। তৃতীয় গণহত্যা ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে রাতের আঁধারে গণহত্যা চালানো হয়। শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গণহত্যা ছিল জুলাই গণহত্যা। ছাত্ররা অধিকারের কথা বলেছিল, তাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত