নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশার উপদ্রব ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় চরম যন্ত্রণায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের নালা ও জলাশয়গুলোতে অতিরিক্ত আবর্জনা এবং ঝোপঝাড়, জঙ্গল, হলের বাথরুম ও নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় হলে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। রুমে বসে লেখাপড়া করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সব সময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কয়েলের ধোঁয়া ক্ষতিকর হওয়ায় সব সময় তা জ্বালিয়ে রাখাও সম্ভব হয় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের পাশে, একাডেমিক ভবনগুলোর ধারে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলোর পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেগুলো যেন মশার প্রজননকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ঝোপঝাড়গুলোও দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। ফলে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশা।
এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাসেল ইসলাম বলেন, `মশার উপদ্রবে পড়ালেখার টেবিলে বসা যায় না। হলের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পরিষ্কার না করায় তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এদিকে হলের পেছনের ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে সহজেই মশা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করেছে। রাতে মশার জন্য রুমে থাকা কঠিন হয়ে যায়। দিনের বেলাও মশারি টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছি না।’ রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিরিন আক্তার বলেন, ‘মশার উপদ্রব ইদানীং খুব বেড়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। সন্ধ্যা হলেই কোনো জায়গায় এক মিনিট শান্তিতে বসা যায় না।’
মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘মশার যন্ত্রণায় কয়েক দিন যাবৎ ঠিকমতো রুমে থাকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত নতুন মশারি কিনে কেটে কেটে জানালায় লাগিয়েছি। কিন্তু এটা তো কোনো সমাধান হতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে পুরো ক্যাম্পাসে নিয়মিত মশানিরোধক স্প্রে করা হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম হোসেন বলেন, ‘এখন মশার প্রজননের সময়। এ সময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন শিক্ষার্থীরা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব আসলেই বেড়েছে। আমাদের দুটি ফগার মেশিন আছে। স্টুয়ার্ড শাখাকে নিয়মিত মশানিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছি। প্রতি মাসে অন্তত দুইবার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি উপাচার্য নিজে তত্ত্বাবধান করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশার উপদ্রব ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় চরম যন্ত্রণায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের নালা ও জলাশয়গুলোতে অতিরিক্ত আবর্জনা এবং ঝোপঝাড়, জঙ্গল, হলের বাথরুম ও নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় হলে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। রুমে বসে লেখাপড়া করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সব সময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কয়েলের ধোঁয়া ক্ষতিকর হওয়ায় সব সময় তা জ্বালিয়ে রাখাও সম্ভব হয় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের পাশে, একাডেমিক ভবনগুলোর ধারে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলোর পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেগুলো যেন মশার প্রজননকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ঝোপঝাড়গুলোও দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। ফলে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশা।
এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাসেল ইসলাম বলেন, `মশার উপদ্রবে পড়ালেখার টেবিলে বসা যায় না। হলের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পরিষ্কার না করায় তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এদিকে হলের পেছনের ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে সহজেই মশা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করেছে। রাতে মশার জন্য রুমে থাকা কঠিন হয়ে যায়। দিনের বেলাও মশারি টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছি না।’ রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিরিন আক্তার বলেন, ‘মশার উপদ্রব ইদানীং খুব বেড়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। সন্ধ্যা হলেই কোনো জায়গায় এক মিনিট শান্তিতে বসা যায় না।’
মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘মশার যন্ত্রণায় কয়েক দিন যাবৎ ঠিকমতো রুমে থাকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত নতুন মশারি কিনে কেটে কেটে জানালায় লাগিয়েছি। কিন্তু এটা তো কোনো সমাধান হতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে পুরো ক্যাম্পাসে নিয়মিত মশানিরোধক স্প্রে করা হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম হোসেন বলেন, ‘এখন মশার প্রজননের সময়। এ সময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন শিক্ষার্থীরা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব আসলেই বেড়েছে। আমাদের দুটি ফগার মেশিন আছে। স্টুয়ার্ড শাখাকে নিয়মিত মশানিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছি। প্রতি মাসে অন্তত দুইবার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি উপাচার্য নিজে তত্ত্বাবধান করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে