মহাসড়কে অসংখ্য গর্ত যানজটে নাকাল যাত্রী

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি, নরসিংদীর রায়পুরাসহ বিভিন্ন 
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ০৪
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ০৪

এলাকার সাতটি বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া খানাখন্দের কারণে যানজট লেগে থাকছে।

গত শনিবার বারৈচা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কে বড় গর্তের পাশে ‘যান চলাচল না করতে’ সাংকেতিক চিহ্ন হিসেবে বাক্স দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের মরজাল, চৈতন্য, খামারটেক, সৃষ্টিগড়, নারায়ণপুর বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ। মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। নরসিংদী থেকে ভৈরব পর্যন্ত মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে কার্পেটিং নেই। সড়কে পিচ ঢালাই উঠে ইট-পাথর সরে গেছে। মাটি দেবে উঁচু-নিচু হওয়ায় যানবাহন এঁকেবেঁকে চলাচল করছে। কোথাও কোথাও সড়ক মেরামত করতে ইটের সলিং করা হয়েছে। তার ওপর সাম্প্রতিক টানা ভারী বৃষ্টির ফলে সড়কের বেশ কয়েকটি অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়ক ও বাজার এলাকায় খানাখন্দের কারণে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। নরসিংদী থেকে ভৈরব পর্যন্ত মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন মাঝে মাঝে সংস্কারকাজ করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার গর্তের সৃষ্টি হয়। তাঁরা লোকদেখানো কাজ করে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এই সড়ক নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।

রায়পুরার মরজাল বাজার বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় জমজম পরিবহনের বাসচালক নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা, মরজাল ও চৈতন্য বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বাস চালাতে আমাদের খুবই সমস্যা হয়। চলাচলের সময় গাড়িতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। এ নিয়ে যাত্রীরা খুব বিরক্ত হন। আর যানজট তো আছেই।’

যাত্রী নাজমা আক্তার বলেন, বড় গাড়িতে উঠলে ঝাঁকুনি কিছুটা কম হয়। তবে ছোট গাড়িতে অনেক বেশি ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।

হাইওয়ে মিনি পরিবহনের মালিক নাঈম মিয়া বলেন, মহাসড়কের উভয় লেনের গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সময়ই গাড়ির যন্ত্রপাতি বিকল হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ  নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেগুলোর সংস্কারকাজ আমরা ইতিমধ্যে শেষ করেছি। তবে যেসব অংশ এখনো সংস্কার হয়নি, সেগুলো দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত