উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে উপমন্ত্রীও হয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্রিকেট অঙ্গনের এই সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি থাকাকালে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ এবং টেস্ট মর্যাদা পায়। দেশের স্বার্থ নিয়ে পরিবেশসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনেও তিনি ছিলেন সোচ্চার। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী সাবের হোসেন চৌধুরী এরপর আরও চারবার এমপি হলেও এবার মন্ত্রী হয়েছেন। পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এই মন্ত্রণালয়ে কর্মপরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। তিনি বলেছেন, পানি, বায়ু, শব্দদূষণসহ পরিবেশ রক্ষায় মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ই বড় চ্যালেঞ্জ।
আজকের পত্রিকা: আপনার প্রথম অগ্রাধিকার কী?
সাবের হোসেন চৌধুরী: প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, যে বিষয় নিয়ে কাজ করব, তার সক্ষমতা কতটুকু আছে। মন্ত্রণালয় ও এর অধীনে যেসব সংস্থা আছে, তাদের সক্ষমতা আছে কি না। আমরা যে ১০০ দিনের পরিকল্পনার কথা বলেছি, আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ করব, সেখানে এই বিষয়টি দিয়েই শুরু করব। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নাম কিন্তু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। জীববৈচিত্র্য একটা বড় বিষয়! সেটা ফোকাস করা দরকার, কিন্তু এটা মন্ত্রণালয়ের কাঠামোতেই নেই। সুতরাং মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয়ের তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটা জলবায়ু পরিবর্তন। বিষয়টি বৈশ্বিক, এতে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে আমাদের কৌশল হচ্ছে—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটুকু কমাতে পারি, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। কার্বন নিঃসরণে আমাদের নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও যে পরিমাণ অর্থ আমাদের পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছি না। উন্নত দেশ বা দাতাগোষ্ঠী অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে অঙ্গীকার করেছিল, তা রক্ষা করে না। তাদের দেওয়া সীমিত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের যেসব কর্মপরিকল্পনা আছে, তা স্বচ্ছতা ও সাশ্রয়ের সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বন নিয়ে কীভাবে কাজ করতে চান?
সাবের হোসেন চৌধুরী: পরিবেশ ও বন—এ দুটি বিষয় সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এটা নিয়ে আমরা অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারব না। এই দুটি ক্ষেত্রে যদি কোনো দূষণ হয়ে থাকে, এটার জন্য আমরাই সম্পূর্ণভাবে দায়ী। বাংলাদেশে বন উজাড় হচ্ছে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। সুতরাং, একটা হচ্ছে বনের সংরক্ষণ; আরেকটা হচ্ছে বেদখল বন পুনরুদ্ধার। যদি সম্প্রসারণ করা যায়, সেটাও বড় বিষয়। বন শুধু গাছ না, এর সঙ্গে জীববৈচিত্র্য রয়েছে। পুরো ইকোসিস্টেম রিলেটেড।
পরিবেশদূষণ নিয়ে কী ভাবছেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: পরিবেশে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জে আছি। বায়ুদূষণে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। আমাদের জীবন থেকে বছরগুলো হারাচ্ছে, উৎপাদনশীলতা নষ্ট হচ্ছে। এটা নতুনভাবে বলার কিছু নাই। সুতরাং, আমরা যখন টেকসই উন্নয়নের কথা বলব, তখন পরিবেশের বিষয়টি একেবারে মূলধারায় চলে আসে। নদীদূষণ আরও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পাহাড় কাটা হচ্ছে। সেখানে কীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেব? সবাই বলছে, এটা থামাতে হবে। কিন্তু কীভাবে? বিভিন্ন জায়গায় ইটিপি বসানো আছে। বাস্তবে আমরা দেখেছি, অনেক ক্ষেত্রে ইটিপিগুলো চালু রাখা হয় না।
কোনটিকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি। কারণ, পরিবেশ অধিদপ্তর শুধু মানদণ্ড নির্ধারণ করে থাকে। শব্দদূষণের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ কোন এলাকায়; বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে কখন বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যাচ্ছে; আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে থাকি। কিন্তু এনফোর্সমেন্টের দায়িত্ব শুধু আমাদের নয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের। এটা একটা সমন্বয়ের বিষয়। এটা আমরা কীভাবে করব? জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে খাদ্য, পানিসম্পদ, বাণিজ্য, স্থানীয় সরকার, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ আরও অনেক দপ্তর জড়িত। সুতরাং, এ অ্যাজেন্ডা পুরো সরকারের। সরকারকেই সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। আমরা শুধু সমন্বয়ের দায়িত্বটা নিতে পারি। পদ্ধতিগত কিছু বিষয় আছে, যেমন পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয় অধিদপ্তর থেকে। এগুলো কীভাবে আরও সহজ করা যায়। অনেকের অভিযোগ, এখানে অনেক দীর্ঘসূত্রতা আছে, অনেক ম্যাল প্র্যাকটিস হয়। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে উপমন্ত্রীও হয়েছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্রিকেট অঙ্গনের এই সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি থাকাকালে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ এবং টেস্ট মর্যাদা পায়। দেশের স্বার্থ নিয়ে পরিবেশসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনেও তিনি ছিলেন সোচ্চার। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী সাবের হোসেন চৌধুরী এরপর আরও চারবার এমপি হলেও এবার মন্ত্রী হয়েছেন। পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এই মন্ত্রণালয়ে কর্মপরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। তিনি বলেছেন, পানি, বায়ু, শব্দদূষণসহ পরিবেশ রক্ষায় মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ই বড় চ্যালেঞ্জ।
আজকের পত্রিকা: আপনার প্রথম অগ্রাধিকার কী?
সাবের হোসেন চৌধুরী: প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, যে বিষয় নিয়ে কাজ করব, তার সক্ষমতা কতটুকু আছে। মন্ত্রণালয় ও এর অধীনে যেসব সংস্থা আছে, তাদের সক্ষমতা আছে কি না। আমরা যে ১০০ দিনের পরিকল্পনার কথা বলেছি, আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ করব, সেখানে এই বিষয়টি দিয়েই শুরু করব। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নাম কিন্তু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। জীববৈচিত্র্য একটা বড় বিষয়! সেটা ফোকাস করা দরকার, কিন্তু এটা মন্ত্রণালয়ের কাঠামোতেই নেই। সুতরাং মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয়ের তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটা জলবায়ু পরিবর্তন। বিষয়টি বৈশ্বিক, এতে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে আমাদের কৌশল হচ্ছে—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটুকু কমাতে পারি, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। কার্বন নিঃসরণে আমাদের নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও যে পরিমাণ অর্থ আমাদের পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছি না। উন্নত দেশ বা দাতাগোষ্ঠী অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে অঙ্গীকার করেছিল, তা রক্ষা করে না। তাদের দেওয়া সীমিত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের যেসব কর্মপরিকল্পনা আছে, তা স্বচ্ছতা ও সাশ্রয়ের সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বন নিয়ে কীভাবে কাজ করতে চান?
সাবের হোসেন চৌধুরী: পরিবেশ ও বন—এ দুটি বিষয় সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এটা নিয়ে আমরা অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারব না। এই দুটি ক্ষেত্রে যদি কোনো দূষণ হয়ে থাকে, এটার জন্য আমরাই সম্পূর্ণভাবে দায়ী। বাংলাদেশে বন উজাড় হচ্ছে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। সুতরাং, একটা হচ্ছে বনের সংরক্ষণ; আরেকটা হচ্ছে বেদখল বন পুনরুদ্ধার। যদি সম্প্রসারণ করা যায়, সেটাও বড় বিষয়। বন শুধু গাছ না, এর সঙ্গে জীববৈচিত্র্য রয়েছে। পুরো ইকোসিস্টেম রিলেটেড।
পরিবেশদূষণ নিয়ে কী ভাবছেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: পরিবেশে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জে আছি। বায়ুদূষণে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। আমাদের জীবন থেকে বছরগুলো হারাচ্ছে, উৎপাদনশীলতা নষ্ট হচ্ছে। এটা নতুনভাবে বলার কিছু নাই। সুতরাং, আমরা যখন টেকসই উন্নয়নের কথা বলব, তখন পরিবেশের বিষয়টি একেবারে মূলধারায় চলে আসে। নদীদূষণ আরও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পাহাড় কাটা হচ্ছে। সেখানে কীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেব? সবাই বলছে, এটা থামাতে হবে। কিন্তু কীভাবে? বিভিন্ন জায়গায় ইটিপি বসানো আছে। বাস্তবে আমরা দেখেছি, অনেক ক্ষেত্রে ইটিপিগুলো চালু রাখা হয় না।
কোনটিকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি। কারণ, পরিবেশ অধিদপ্তর শুধু মানদণ্ড নির্ধারণ করে থাকে। শব্দদূষণের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ কোন এলাকায়; বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে কখন বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যাচ্ছে; আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে থাকি। কিন্তু এনফোর্সমেন্টের দায়িত্ব শুধু আমাদের নয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের। এটা একটা সমন্বয়ের বিষয়। এটা আমরা কীভাবে করব? জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে খাদ্য, পানিসম্পদ, বাণিজ্য, স্থানীয় সরকার, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ আরও অনেক দপ্তর জড়িত। সুতরাং, এ অ্যাজেন্ডা পুরো সরকারের। সরকারকেই সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। আমরা শুধু সমন্বয়ের দায়িত্বটা নিতে পারি। পদ্ধতিগত কিছু বিষয় আছে, যেমন পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয় অধিদপ্তর থেকে। এগুলো কীভাবে আরও সহজ করা যায়। অনেকের অভিযোগ, এখানে অনেক দীর্ঘসূত্রতা আছে, অনেক ম্যাল প্র্যাকটিস হয়। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে