আজিজুর রহমান, চৌগাছা
রিকশার প্যাডেল ঘোরানোর জন্য দরকার শক্তি। সে শক্তি হারিয়েছেন অনেক আগেই। তবু প্রতিদিন রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে জীবিকার চাকা চলে যশোর সদরের ৯৮ বছর বয়সী রণজিৎ ঘোষের।
জীবন সায়হ্নে এসে আর কোনো উপায়ও নেই তাঁর। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত সীমিত অর্থে জোগাড় করেন তিনবেলার আহার। এক সময় তাঁর স্ত্রী-সন্তান সবই ছিল। তিন ছেলে, স্ত্রী-সবাই মারা গেছেন। একমাত্র মেয়েকে বিয়ের দেওয়ার পর তাঁরও খোঁজ জানেন না তিনি।
নেই মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই। এখন তাঁর আপন বলতে পা চালিত একটি রিকশা। সারা দিন দুর্বল শরীরে যে কয়টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে খেয়ে দিনাতিপাত চলে ফুটপাতে।
সম্প্রতি রণজিতের জীবনসংগ্রামের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
রণজিৎ ঘোষের আদি বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামালপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেছেন। এক সময় হোটেলে বাবুর্চির কাজ করলেও বর্তমান রিকশা চালান। স্বজন বলতে তাঁর একমাত্র মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। সারা দিন রিকশা চালিয়ে রাতে যশোর শহরের চৌরাস্তার ফুটপাতে ঘুমান।
বৃদ্ধ রণজিৎ ঘোষ বলেন, ‘কত নিতার কাছে গিলাম সবাই ফিরোয়ে দেচে। লাগবে না আইডি কার্ড। কি হবে এখন আর আইডি কার্ড দিয়ে!’
রণজিত বলেন, ‘চার বছর বয়সে মা মরে গেছে। সৎমার গালিগালাজ শুনিচি ম্যালা। ১০ বছর বয়সে এই যশোরে আইচি। বিভিন্ন হোটেলের বাবুর্চির কাজ করিছি। সৎমারে আড়াল করে বাবা যশোরে আসে টুকটাক খোঁজখবর নিতো। দেখাশোনা করে আমারে বিয়ে দিয়ার কদিন পরেই বাবা মরে গ্যালো। হিন্দুস্তান-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার এক বছর পরে আমার তিন ছেলে মরে গ্যাচে ডায়রিয়ায়। ওদের বয়স তখন পাঁচ বছরের কম। একটা মেয়ে ছিল। এখন বেঁচে আছে কি না জানিনে। মেয়েরে বিয়ে দিছিলাম। বিয়ের পরে ওর একটা ছেলে হলো। ছেলে হওয়ার দেড় মাস পরে বাচ্চাটাকে নিয়ে আমার কাছে চলে অসলো মেয়ে। খুব কষ্টে মেয়ের নামে একটা বাড়িও কিনিছিলাম আকবরের মোড়ে (যশোর শহরের একটি জায়গা)। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মেয়েটাও আমাকে ছেড়ে কোথায় যে চলে গ্যাছে তার খোঁজ আজও মেলেনি। ১১ বছর আগে আমার স্ত্রী মরে গেছে। মেয়ের রেখে যাওয়া দেড় মাসের ছেলেকে বড় করলাম, বিয়ে দিলাম। এখন আমার দুনিয়ায় এই রিকশা ছাড়া আর আপন বলতে কেউ নেই!’
রণজিৎ ঘোষ আরও বলেন, ‘কোনো কোনো দিন ৬০ টাকা, ৮০ টাকা, ১০০ টাকা বা ১৫০ টাকা আয় হয়। যে কয়টাকে আয় হয়, তাই দিয়ে হোটেলে কোনো রকম খেয়ে রাতে ফুটপাতে ঘুমাই।’
রিকশার প্যাডেল ঘোরানোর জন্য দরকার শক্তি। সে শক্তি হারিয়েছেন অনেক আগেই। তবু প্রতিদিন রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে জীবিকার চাকা চলে যশোর সদরের ৯৮ বছর বয়সী রণজিৎ ঘোষের।
জীবন সায়হ্নে এসে আর কোনো উপায়ও নেই তাঁর। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত সীমিত অর্থে জোগাড় করেন তিনবেলার আহার। এক সময় তাঁর স্ত্রী-সন্তান সবই ছিল। তিন ছেলে, স্ত্রী-সবাই মারা গেছেন। একমাত্র মেয়েকে বিয়ের দেওয়ার পর তাঁরও খোঁজ জানেন না তিনি।
নেই মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই। এখন তাঁর আপন বলতে পা চালিত একটি রিকশা। সারা দিন দুর্বল শরীরে যে কয়টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে খেয়ে দিনাতিপাত চলে ফুটপাতে।
সম্প্রতি রণজিতের জীবনসংগ্রামের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
রণজিৎ ঘোষের আদি বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামালপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেছেন। এক সময় হোটেলে বাবুর্চির কাজ করলেও বর্তমান রিকশা চালান। স্বজন বলতে তাঁর একমাত্র মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। সারা দিন রিকশা চালিয়ে রাতে যশোর শহরের চৌরাস্তার ফুটপাতে ঘুমান।
বৃদ্ধ রণজিৎ ঘোষ বলেন, ‘কত নিতার কাছে গিলাম সবাই ফিরোয়ে দেচে। লাগবে না আইডি কার্ড। কি হবে এখন আর আইডি কার্ড দিয়ে!’
রণজিত বলেন, ‘চার বছর বয়সে মা মরে গেছে। সৎমার গালিগালাজ শুনিচি ম্যালা। ১০ বছর বয়সে এই যশোরে আইচি। বিভিন্ন হোটেলের বাবুর্চির কাজ করিছি। সৎমারে আড়াল করে বাবা যশোরে আসে টুকটাক খোঁজখবর নিতো। দেখাশোনা করে আমারে বিয়ে দিয়ার কদিন পরেই বাবা মরে গ্যালো। হিন্দুস্তান-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার এক বছর পরে আমার তিন ছেলে মরে গ্যাচে ডায়রিয়ায়। ওদের বয়স তখন পাঁচ বছরের কম। একটা মেয়ে ছিল। এখন বেঁচে আছে কি না জানিনে। মেয়েরে বিয়ে দিছিলাম। বিয়ের পরে ওর একটা ছেলে হলো। ছেলে হওয়ার দেড় মাস পরে বাচ্চাটাকে নিয়ে আমার কাছে চলে অসলো মেয়ে। খুব কষ্টে মেয়ের নামে একটা বাড়িও কিনিছিলাম আকবরের মোড়ে (যশোর শহরের একটি জায়গা)। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মেয়েটাও আমাকে ছেড়ে কোথায় যে চলে গ্যাছে তার খোঁজ আজও মেলেনি। ১১ বছর আগে আমার স্ত্রী মরে গেছে। মেয়ের রেখে যাওয়া দেড় মাসের ছেলেকে বড় করলাম, বিয়ে দিলাম। এখন আমার দুনিয়ায় এই রিকশা ছাড়া আর আপন বলতে কেউ নেই!’
রণজিৎ ঘোষ আরও বলেন, ‘কোনো কোনো দিন ৬০ টাকা, ৮০ টাকা, ১০০ টাকা বা ১৫০ টাকা আয় হয়। যে কয়টাকে আয় হয়, তাই দিয়ে হোটেলে কোনো রকম খেয়ে রাতে ফুটপাতে ঘুমাই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে