১০ বছরে ময়মনসিংহের হাবিব দম্পতির সম্পদ বেড়েছে অনেক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪, ১০: ২৯

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এবার তিনি হয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এই ১০ বছরে হাবিবুর ও তাঁর স্ত্রী লায়লা আক্তার সুমির আয়-সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

ফুলপুর-তারাকান্দা উপজেলা নিয়ে ময়মনসিংহ-২ সংসদীয় আসন। এই আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মো. শরীফ আহমেদ। তিনি বিগত সংসদে গণপূর্ত ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সংসদীয় এলাকায় তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৮ মে এ উপজেলায় ভোট হবে।

২০১৪ সালের হলফনামায় হাবিবুর উল্লেখ করেছিলেন, তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ ক্যাম্পাসের পরিচালক। পেশা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ টাকা, ব্যাংকে জমা, গাড়ি—কিছুই ছিল না। স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ তোলা স্বর্ণ ছিল। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে স্ত্রীর ছিল হেবামূলে ৫০ শতক কৃষিজমি। নিজের ৪ শতাংশ অকৃষিজমি, ময়মনসিংহ শহরে দোতলা বাড়ি, রাজধানীর উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট দেখিয়েছিলেন তিনি। কৃষি ব্যাংকের ফুলপুর শাখায় ১ লাখ টাকা ও অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ৫০ হাজার টাকা ঋণ ছিল তাঁর।

এবার দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, কৃষি খাতে হাবিবুরের বার্ষিক আয় ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর আয় ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে আয় ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ১১ লাখ টাকা। স্ত্রীর ব্যবসা থেকে আয় ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে হাবিবুরের আছে নগদ ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নগদ ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬৭ টাকা, ২০ লাখ টাকার একটি মাইক্রোবাস। এ ছাড়া হাবিবুরের ১০ তোলা ও স্ত্রীর ২৫ তোলা স্বর্ণ আছে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে হাবিবুরের নিজের নামে ৫ একর সাড়ে ৯৮ শতক জমি, স্ত্রীর নামে ৫০ শতাংশ জমি আছে। তাঁর নিজের ৩ দশমিক ৭৫ শতক অকৃষিজমি, স্ত্রীর নামে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুরে ৫ শতক জমি, নগরীর কল্পা এলাকায় ৩ শতক জমি, আকুয়া (সানকিপাড়া) এলাকায় ২ দশমিক ৩৮ শতক জমি, ফুলপুরের সঞ্চুর মৌজায় ২৩৪ দশমিক ৭৫ শতক জমি আছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট ও একটি দালানের মালিক তিনি। কৃষি ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকে ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা ঋণ আছে তাঁর।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত