বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে আবার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংকট কাটিয়ে ওঠার শেষ মুহূর্তে গত বৃহস্পতিবার থেকে আকস্মিক দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের যানজট এড়াতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস পথ পরিবর্তন করে কাজীরহাট নৌপথে নদী পারের চেষ্টা করে। এ কারণে কাজীরহাট ঘাটেও দীর্ঘ সময় আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় দূরপাল্লার বাসের যাত্রী এবং চালক ও শ্রমিকদের। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গাড়িতে রাত কাটিয়ে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতভর অপেক্ষা করে গতকাল সকাল থেকে অনেকে ট্রলার ও লঞ্চে যমুনা নদী পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
কাজীরহাট ঘাটে দেখা গেছে, কাজীরহাট ফেরিঘাটে পারের জন্য সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করা শত শত ট্রাকের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে চলাচল করা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি। ঘাট থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে আমিনপুর পর্যন্ত রাস্তায় মধ্যে অপেক্ষা করছে বাসগুলো।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা এসবি পরিবহনের সুপার ফাইজার আলাউদ্দিন বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন। সেখান থেকে পথ পরিবর্তন করে কাজীরহাট ঘাটে এসেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ফেরিঘাট থেকে ছয় কিলো মিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। গতকাল সকালে তিনি ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন।
গাইবান্ধার থেকে ছেড়ে আসা আলহামরা পরিবহনের চালক আলম বলেন, তিনি দীর্ঘ যানজট এড়াতে যমুনা সেতু পার হয়ে এখানে এসে দেখেন বিশাল জট। পরে যাত্রীদের অনুরোধে গাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে কাজীরহাট ঘাটের আমিনপুরের কদমতলায় দীর্ঘ যানজটে পড়েছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা ফারুকুজ্জামান। তিনি বলেন, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ঘুমহীন রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। নির্জন স্থানে বাসটি অপেক্ষা করায় আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। চারপাশে কোনো দোকানপাট ও বাড়িঘর না থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টয়লেট, খাবার ও পানির সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একদল টহল পুলিশ সারা রাত কাজীরহাট এলাকা ও রাস্তার ওপর অবস্থান করা গাড়িগুলোকে পাহারায় দিয়েছে।
কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আকস্মিকভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই নৌপথে শত শত যাত্রীবাহী বাস এলে বিশাল জটের সৃষ্টি হয়। তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গণপরিবহনগুলোর মধ্যে থেকে কাঁচামাল বহন করা ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলো পূর্ণ করে ফেরিতে তুলে দিচ্ছেন। এই দীর্ঘ সারির বাসগুলোকে পার করতে নতুন কোনো ফেরি যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ফেরি সংকট মোচনে মঙ্গলবার এই নৌপথে চারটি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। এতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে এ নৌপথে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করছিলেন বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু আকস্মিক এ পরিস্থিতির কারণে তাঁদের এ সংকট আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে আবার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংকট কাটিয়ে ওঠার শেষ মুহূর্তে গত বৃহস্পতিবার থেকে আকস্মিক দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের যানজট এড়াতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস পথ পরিবর্তন করে কাজীরহাট নৌপথে নদী পারের চেষ্টা করে। এ কারণে কাজীরহাট ঘাটেও দীর্ঘ সময় আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় দূরপাল্লার বাসের যাত্রী এবং চালক ও শ্রমিকদের। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গাড়িতে রাত কাটিয়ে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতভর অপেক্ষা করে গতকাল সকাল থেকে অনেকে ট্রলার ও লঞ্চে যমুনা নদী পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
কাজীরহাট ঘাটে দেখা গেছে, কাজীরহাট ফেরিঘাটে পারের জন্য সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করা শত শত ট্রাকের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে চলাচল করা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি। ঘাট থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে আমিনপুর পর্যন্ত রাস্তায় মধ্যে অপেক্ষা করছে বাসগুলো।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা এসবি পরিবহনের সুপার ফাইজার আলাউদ্দিন বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন। সেখান থেকে পথ পরিবর্তন করে কাজীরহাট ঘাটে এসেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ফেরিঘাট থেকে ছয় কিলো মিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। গতকাল সকালে তিনি ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন।
গাইবান্ধার থেকে ছেড়ে আসা আলহামরা পরিবহনের চালক আলম বলেন, তিনি দীর্ঘ যানজট এড়াতে যমুনা সেতু পার হয়ে এখানে এসে দেখেন বিশাল জট। পরে যাত্রীদের অনুরোধে গাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে কাজীরহাট ঘাটের আমিনপুরের কদমতলায় দীর্ঘ যানজটে পড়েছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা ফারুকুজ্জামান। তিনি বলেন, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ঘুমহীন রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। নির্জন স্থানে বাসটি অপেক্ষা করায় আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। চারপাশে কোনো দোকানপাট ও বাড়িঘর না থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টয়লেট, খাবার ও পানির সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একদল টহল পুলিশ সারা রাত কাজীরহাট এলাকা ও রাস্তার ওপর অবস্থান করা গাড়িগুলোকে পাহারায় দিয়েছে।
কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, আকস্মিকভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই নৌপথে শত শত যাত্রীবাহী বাস এলে বিশাল জটের সৃষ্টি হয়। তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গণপরিবহনগুলোর মধ্যে থেকে কাঁচামাল বহন করা ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলো পূর্ণ করে ফেরিতে তুলে দিচ্ছেন। এই দীর্ঘ সারির বাসগুলোকে পার করতে নতুন কোনো ফেরি যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ফেরি সংকট মোচনে মঙ্গলবার এই নৌপথে চারটি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। এতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে এ নৌপথে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করছিলেন বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু আকস্মিক এ পরিস্থিতির কারণে তাঁদের এ সংকট আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে