আবির হাকিম, ঢাকা
জন্ম ও মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে তা নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা আছে আইনে। তবে জন্মনিবন্ধন আশানুরূপ হলেও মৃত্যুনিবন্ধনের অবস্থা খুবই নাজুক। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন আর পেনশন-বিমা বা ব্যাংকে রাখা টাকা তোলার প্রয়োজন ছাড়া কেউ মৃত্যুনিবন্ধন করে না। ফলে দেশে মৃত মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের হিসাব থাকে না। ভোটার তালিকা থেকেও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয় না নিবন্ধন না হওয়ায়। এতে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে। মৃত ব্যক্তির তথ্য ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন ভাতার ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশঙ্কাও থাকে।
মৃত স্বজনের নিবন্ধন করানো ২০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে ১০ জনই সম্পদ বণ্টনের কাজে, ৮ জন মৃত ব্যক্তির পেনশনের টাকা তুলতে এবং ২ জন জীবন বিমার টাকা তুলতে নিবন্ধন করিয়েছেন। বাবার মৃত্যু নিবন্ধন করানো একজন অবশ্য বলেন, একটি পরিবারে যখন কারও মৃত্যু হয়, তখন শোকসন্তপ্ত সদস্যদের মাথায় অনেক কিছুই কাজ করে না। এ কারণে সঠিক সময়ে মৃত্যুনিবন্ধন করা হয়ে ওঠে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে প্রায় ৮ লাখ ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু আইনানুযায়ী মৃত্যুনিবন্ধনের হার ১ শতাংশেরও কম। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের হিসাবমতে, শুরু থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যুনিবন্ধন হয়েছে মাত্র ৯৯ লাখ মানুষের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য না থাকলে রাষ্ট্রে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব ধরনের পরিকল্পনায় বড় ঘাটতি থেকে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশে মৃত্যুনিবন্ধনের সঠিক ও গুণগত উপাত্ত না থাকায় জাতীয় পর্যায়ে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের বাজেট, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসব উপাত্তের ব্যবহার হওয়ার কারণে সব পর্যায়ে অনুমাননির্ভর তথ্যের ব্যবহার হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জন্মনিবন্ধন সম্পর্কে বেশ সরকারি প্রচার থাকলেও মৃত্যুনিবন্ধনে উৎসাহিত করতে তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে।
সরকারের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজন ছাড়া কেউ তাঁর মৃত আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুনিবন্ধন করতে চায় না। তবে মানুষ যেন তার পরিবারের মৃত সদস্যের নিবন্ধন সঠিক সময়ে করে, সে জন্য সচেতনতা বাড়ানো এবং সেবা সহজ করার মতো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশেদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত্যুনিবন্ধন করা জন্মনিবন্ধনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে মৃত ব্যক্তির আইডি নিয়ে জাল ভোট দেওয়া বা প্রতারণা করে বিভিন্ন ভাতা তোলার মতো অপরাধ সংঘটিত হতে পারে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছি।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত্যুনিবন্ধনের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সফলতা আসছে না। রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে লোকবল বাড়িয়ে এবং জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে কাজটি সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করব।’
মৃত্যুনিবন্ধন বাড়াতে হাসপাতালকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মো. রাশেদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের মতো আমরাও হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুনিবন্ধন করে মাত্র তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তথ্যাদি রেজিস্ট্রার জেনারেলের তথ্যভান্ডারে পাঠিয়ে আইনানুযায়ী মৃত্যুনিবন্ধন সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি।’
মৃত্যুনিবন্ধন বাড়াতে সরকারি কবরস্থানসহ সবখানে দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য মৃত্যুসনদ বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।
জন্ম ও মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে তা নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা আছে আইনে। তবে জন্মনিবন্ধন আশানুরূপ হলেও মৃত্যুনিবন্ধনের অবস্থা খুবই নাজুক। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন আর পেনশন-বিমা বা ব্যাংকে রাখা টাকা তোলার প্রয়োজন ছাড়া কেউ মৃত্যুনিবন্ধন করে না। ফলে দেশে মৃত মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের হিসাব থাকে না। ভোটার তালিকা থেকেও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয় না নিবন্ধন না হওয়ায়। এতে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে। মৃত ব্যক্তির তথ্য ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন ভাতার ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশঙ্কাও থাকে।
মৃত স্বজনের নিবন্ধন করানো ২০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে ১০ জনই সম্পদ বণ্টনের কাজে, ৮ জন মৃত ব্যক্তির পেনশনের টাকা তুলতে এবং ২ জন জীবন বিমার টাকা তুলতে নিবন্ধন করিয়েছেন। বাবার মৃত্যু নিবন্ধন করানো একজন অবশ্য বলেন, একটি পরিবারে যখন কারও মৃত্যু হয়, তখন শোকসন্তপ্ত সদস্যদের মাথায় অনেক কিছুই কাজ করে না। এ কারণে সঠিক সময়ে মৃত্যুনিবন্ধন করা হয়ে ওঠে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর দেশে প্রায় ৮ লাখ ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু আইনানুযায়ী মৃত্যুনিবন্ধনের হার ১ শতাংশেরও কম। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের হিসাবমতে, শুরু থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যুনিবন্ধন হয়েছে মাত্র ৯৯ লাখ মানুষের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য না থাকলে রাষ্ট্রে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব ধরনের পরিকল্পনায় বড় ঘাটতি থেকে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশে মৃত্যুনিবন্ধনের সঠিক ও গুণগত উপাত্ত না থাকায় জাতীয় পর্যায়ে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের বাজেট, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসব উপাত্তের ব্যবহার হওয়ার কারণে সব পর্যায়ে অনুমাননির্ভর তথ্যের ব্যবহার হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জন্মনিবন্ধন সম্পর্কে বেশ সরকারি প্রচার থাকলেও মৃত্যুনিবন্ধনে উৎসাহিত করতে তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে।
সরকারের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজন ছাড়া কেউ তাঁর মৃত আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুনিবন্ধন করতে চায় না। তবে মানুষ যেন তার পরিবারের মৃত সদস্যের নিবন্ধন সঠিক সময়ে করে, সে জন্য সচেতনতা বাড়ানো এবং সেবা সহজ করার মতো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশেদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত্যুনিবন্ধন করা জন্মনিবন্ধনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে মৃত ব্যক্তির আইডি নিয়ে জাল ভোট দেওয়া বা প্রতারণা করে বিভিন্ন ভাতা তোলার মতো অপরাধ সংঘটিত হতে পারে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছি।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত্যুনিবন্ধনের ক্ষেত্রে আশানুরূপ সফলতা আসছে না। রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে লোকবল বাড়িয়ে এবং জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে কাজটি সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করব।’
মৃত্যুনিবন্ধন বাড়াতে হাসপাতালকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মো. রাশেদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের মতো আমরাও হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুনিবন্ধন করে মাত্র তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তথ্যাদি রেজিস্ট্রার জেনারেলের তথ্যভান্ডারে পাঠিয়ে আইনানুযায়ী মৃত্যুনিবন্ধন সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি।’
মৃত্যুনিবন্ধন বাড়াতে সরকারি কবরস্থানসহ সবখানে দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য মৃত্যুসনদ বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে