মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
৫১ বছর বয়সী বাতেন মিয়া বিদেশে ছিলেন দীর্ঘদিন। দেশে ফিরে ভোটার হওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট তথ্য দেন তিনি। কিন্তু এখনো এনআইডি পাননি। সাত বছর ধরে ঘুরেও আজ পর্যন্ত কোনো কিনারা করে উঠতে পারেননি তিনি। গতকাল মঙ্গলবারও ছেলেকে নিয়ে তিনি এসেছিলেন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে। এনআইডি না থাকার কারণে নিজের পুকুরটাও এখন খাস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার এই বাসিন্দা।
বাতেন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে অনেক ঘুরেছি, কোনো কাজ হয়নি। পরে আমাকে ঢাকায় নির্বাচন অফিসে আসার পরামর্শ দেয় তারা। এর আগে আমার ছেলে এসে খোঁজ নিয়ে গেছে। আজ (গতকাল) আমি আমার ছেলেকে নিয়ে অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছি।
তিনি এখন বলছেন অনলাইন জন্মসনদ নিয়ে আসতে। আমি তো ভোটার হওয়ার সময় সব তথ্য দিয়েছি। তাহলে এনআইডি পাওয়ার জন্য এত ভুগতে হবে কেন?’
গতকাল সরেজমিনে নির্বাচন ভবনের ৭০২ নম্বর কক্ষের সামনে সেবাপ্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়। সেখানেই কথা হয় বাতেন মিয়া ও অন্যদের সঙ্গে। কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না থাকা, একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকজনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যাওয়া বা মিলে যাওয়া, ২ নম্বর ফরম পরিবর্তন হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নির্বাচন ভবনের ৭০২ নম্বর কক্ষের সামনে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকজনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এই সেবা পেতে যেন নাগরিকদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে এসেছিলেন মো. সোহাগ। তাঁর ভোটার হওয়ার জন্য তথ্য দেওয়ার প্রাপ্তি রসিদে লেখা রয়েছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ হয়নি। সোহাগ বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকি। তিন মাস ধরে এনআইডি পাওয়ার জন্য ঘুরছি। কী সমস্যা হয়েছে, জানি না। উপজেলা থেকে ঢাকায় যোগাযোগ করতে বলেছে। তাই এলাম।’
কুমিল্লার হোমনা থেকে আসা সাকিম মিয়ার অভিযোগ, ‘আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না; যার কারণে জুলাই মাসের ৯ তারিখে সব তথ্য দেওয়ার পরও আমার এনআইডি হচ্ছে না। কুমিল্লা থেকে সকালে এসেছি। বেলা ১টার দিকে একবার অফিসারের রুমে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, বিকেল ৪টার সময় আবার তাঁর রুমে যেতে। আমি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তুলেছি। তারা ভুল করেছে, কিন্তু ভোগান্তিটা হচ্ছে আমাদের।’
রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে এসেছেন আয়শা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নাকি দুবার পাওয়া গেছে। ১৫ দিন পর আবার আসতে বললেন। আমি তো একবারই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছি। দুবার হলে কি সেটি আমার দোষ?’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কর্মকর্তাদের অসাবধানতার কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না পাওয়া বা একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকজনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বেশির ভাগ কর্মকর্তা ভোটারদের তথ্য নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সার্ভারে আপলোড করেন না। কয়েকটি আবেদন জমা হওয়ার পরে একসঙ্গে সব আপলোড করেন; যার কারণে এমন সমস্যা হয়। কর্মকর্তাদের অসতর্কতার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকের। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন ইসি কর্মকর্তারা।
এনআইডি সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা
দুই দফা দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অধীনে আইডিইএ-২ প্রকল্পে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল রাতে এক বৈঠক থেকে এমন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইডিইএ-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাঁরা জানান, এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে ইসিতে রাখা এবং আইডিইএ-২ প্রকল্পের নবম গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। নির্বাচন ভবনের সামনে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা কার্যক্রম।
দাবি না মানা পর্যন্ত সারা দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে কর্মরতদের ঢাকায় এসে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
জানা যায়, আইডিইএ-২ প্রকল্পে বর্তমানে ২ হাজার ২৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। তাঁরা মাঠপর্যায়ে এনআইডির কাজ করে থাকেন।
৫১ বছর বয়সী বাতেন মিয়া বিদেশে ছিলেন দীর্ঘদিন। দেশে ফিরে ভোটার হওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট তথ্য দেন তিনি। কিন্তু এখনো এনআইডি পাননি। সাত বছর ধরে ঘুরেও আজ পর্যন্ত কোনো কিনারা করে উঠতে পারেননি তিনি। গতকাল মঙ্গলবারও ছেলেকে নিয়ে তিনি এসেছিলেন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে। এনআইডি না থাকার কারণে নিজের পুকুরটাও এখন খাস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার এই বাসিন্দা।
বাতেন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে অনেক ঘুরেছি, কোনো কাজ হয়নি। পরে আমাকে ঢাকায় নির্বাচন অফিসে আসার পরামর্শ দেয় তারা। এর আগে আমার ছেলে এসে খোঁজ নিয়ে গেছে। আজ (গতকাল) আমি আমার ছেলেকে নিয়ে অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছি।
তিনি এখন বলছেন অনলাইন জন্মসনদ নিয়ে আসতে। আমি তো ভোটার হওয়ার সময় সব তথ্য দিয়েছি। তাহলে এনআইডি পাওয়ার জন্য এত ভুগতে হবে কেন?’
গতকাল সরেজমিনে নির্বাচন ভবনের ৭০২ নম্বর কক্ষের সামনে সেবাপ্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়। সেখানেই কথা হয় বাতেন মিয়া ও অন্যদের সঙ্গে। কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না থাকা, একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকজনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যাওয়া বা মিলে যাওয়া, ২ নম্বর ফরম পরিবর্তন হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নির্বাচন ভবনের ৭০২ নম্বর কক্ষের সামনে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকজনের সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এই সেবা পেতে যেন নাগরিকদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে এসেছিলেন মো. সোহাগ। তাঁর ভোটার হওয়ার জন্য তথ্য দেওয়ার প্রাপ্তি রসিদে লেখা রয়েছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ হয়নি। সোহাগ বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকি। তিন মাস ধরে এনআইডি পাওয়ার জন্য ঘুরছি। কী সমস্যা হয়েছে, জানি না। উপজেলা থেকে ঢাকায় যোগাযোগ করতে বলেছে। তাই এলাম।’
কুমিল্লার হোমনা থেকে আসা সাকিম মিয়ার অভিযোগ, ‘আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না; যার কারণে জুলাই মাসের ৯ তারিখে সব তথ্য দেওয়ার পরও আমার এনআইডি হচ্ছে না। কুমিল্লা থেকে সকালে এসেছি। বেলা ১টার দিকে একবার অফিসারের রুমে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, বিকেল ৪টার সময় আবার তাঁর রুমে যেতে। আমি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তুলেছি। তারা ভুল করেছে, কিন্তু ভোগান্তিটা হচ্ছে আমাদের।’
রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে এসেছেন আয়শা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নাকি দুবার পাওয়া গেছে। ১৫ দিন পর আবার আসতে বললেন। আমি তো একবারই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছি। দুবার হলে কি সেটি আমার দোষ?’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কর্মকর্তাদের অসাবধানতার কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না পাওয়া বা একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকজনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বেশির ভাগ কর্মকর্তা ভোটারদের তথ্য নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সার্ভারে আপলোড করেন না। কয়েকটি আবেদন জমা হওয়ার পরে একসঙ্গে সব আপলোড করেন; যার কারণে এমন সমস্যা হয়। কর্মকর্তাদের অসতর্কতার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকের। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন ইসি কর্মকর্তারা।
এনআইডি সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা
দুই দফা দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অধীনে আইডিইএ-২ প্রকল্পে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল রাতে এক বৈঠক থেকে এমন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইডিইএ-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাঁরা জানান, এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে ইসিতে রাখা এবং আইডিইএ-২ প্রকল্পের নবম গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। নির্বাচন ভবনের সামনে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা কার্যক্রম।
দাবি না মানা পর্যন্ত সারা দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে কর্মরতদের ঢাকায় এসে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
জানা যায়, আইডিইএ-২ প্রকল্পে বর্তমানে ২ হাজার ২৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। তাঁরা মাঠপর্যায়ে এনআইডির কাজ করে থাকেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে