নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কোটিপ্রতি প্রার্থীর সংখ্যা আগের বারের তিন গুণ। এই ধাপে ১১৬ জন প্রার্থীর সম্পদ ১ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে এবার প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ বা দায় আছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ঋণগ্রস্ত। দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই ধাপে ভোট হবে ২১ মে।
টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮১১ জন। চেয়ারম্যান পদে মহিলা প্রার্থী তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পুরুষ প্রার্থী ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এই ধাপে ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ (৩৯ দশমিক ২৩ শতাংশ), ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬৭ (২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন (১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ)।
টিআইবি জানায়, প্রথম ধাপে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের ১৩ স্বজন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই ধাপে তা বেড়ে ১৭ জন হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ; ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ দশমিক ৭৩ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসায়ী দেখিয়েছেন। প্রার্থীদের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
টিআইবির দাবি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গৃহিণী বা গৃহস্থালি, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থী ক্রমেই কমছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপে জমির মালিকানার দিক দিয়ে আইনি সীমা অতিক্রম করেছেন চার প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর জমির মালিক হতে পারেন। আইনি সীমার বাইরে চার প্রার্থীর মোট অতিরিক্ত জমি আছে ৩৮ দশমিক ৭৩ একর। এই তালিকার শীর্ষে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম। তাঁর জমির পরিমাণ ৫৪ দশমিক ৬ একর। বাকি তিন প্রার্থী হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের মোহাম্মদ আব্দুল হালিম (৪১ দশমিক ৩ একর), কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের সামসুল আলম (৪০ দশমিক ৫৪ একর) এবং মানিকগঞ্জের শিবালয়ের মো. আবদুর রহিম খান (৩৪ দশমিক ২৯ একর)।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশ বা তার বেশি আয় বেড়েছে ১২০ প্রার্থীর। দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যে আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ। ঠাকুরগাঁও সদরের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুর রশিদের আয় বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ১০০ শতাংশ বা তার বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৫৬ জন প্রার্থীর। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ অন্তত ১০০ শতাংশ বেড়েছে ৪২ প্রার্থীর।
টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচিত হননি, এমন প্রার্থীর গত পাঁচ বছরের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, অনির্বাচিতদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে শুধু নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় দুই দলই দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। ফলে শুধু জনস্বার্থ নয়, দলীয় স্বার্থের বিষয়ও প্রাধান্য থাকছে না প্রার্থীদের কাছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য গভীরতর প্রতিষ্ঠা লাভ করছে। প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও এটিকে গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কোটিপ্রতি প্রার্থীর সংখ্যা আগের বারের তিন গুণ। এই ধাপে ১১৬ জন প্রার্থীর সম্পদ ১ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে এবার প্রায় ২৫ শতাংশ প্রার্থীর ঋণ বা দায় আছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ঋণগ্রস্ত। দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই ধাপে ভোট হবে ২১ মে।
টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮১১ জন। চেয়ারম্যান পদে মহিলা প্রার্থী তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পুরুষ প্রার্থী ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এই ধাপে ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ (৩৯ দশমিক ২৩ শতাংশ), ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬৭ (২৪ দশমিক ২৪ শতাংশ) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন (১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ)।
টিআইবি জানায়, প্রথম ধাপে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের ১৩ স্বজন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই ধাপে তা বেড়ে ১৭ জন হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ; ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ দশমিক ৭৩ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসায়ী দেখিয়েছেন। প্রার্থীদের ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
টিআইবির দাবি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গৃহিণী বা গৃহস্থালি, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থী ক্রমেই কমছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপে জমির মালিকানার দিক দিয়ে আইনি সীমা অতিক্রম করেছেন চার প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর জমির মালিক হতে পারেন। আইনি সীমার বাইরে চার প্রার্থীর মোট অতিরিক্ত জমি আছে ৩৮ দশমিক ৭৩ একর। এই তালিকার শীর্ষে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম। তাঁর জমির পরিমাণ ৫৪ দশমিক ৬ একর। বাকি তিন প্রার্থী হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের মোহাম্মদ আব্দুল হালিম (৪১ দশমিক ৩ একর), কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের সামসুল আলম (৪০ দশমিক ৫৪ একর) এবং মানিকগঞ্জের শিবালয়ের মো. আবদুর রহিম খান (৩৪ দশমিক ২৯ একর)।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশ বা তার বেশি আয় বেড়েছে ১২০ প্রার্থীর। দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যে আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ। ঠাকুরগাঁও সদরের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুর রশিদের আয় বেড়েছে ১০ হাজার ৮৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ১০০ শতাংশ বা তার বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৫৬ জন প্রার্থীর। স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ অন্তত ১০০ শতাংশ বেড়েছে ৪২ প্রার্থীর।
টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচিত হননি, এমন প্রার্থীর গত পাঁচ বছরের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, অনির্বাচিতদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে শুধু নিজেদেরই নয়, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় দুই দলই দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। ফলে শুধু জনস্বার্থ নয়, দলীয় স্বার্থের বিষয়ও প্রাধান্য থাকছে না প্রার্থীদের কাছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য গভীরতর প্রতিষ্ঠা লাভ করছে। প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও এটিকে গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে